স্ট্যানলি মিডলটন

ব্রিটিশ লেখক

স্ট্যানলি মিডলটন এফআরএসএল (১ আগস্ট, ১৯১৯ - ২৫ জুলাই, ২০০৯) ছিলেন একজন ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক। তিনি হলিডে উপন্যাস রচনার ১৯৭৪ সালে ম্যান বুকার পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি রয়্যাল সোসাইটি অফ লিটারেচার-এর ফেলোশিপ লাভ করেন।

স্ট্যানলি মিডলটন

স্থানীয় নাম
Stanley Middleton
জন্ম(১৯১৯-০৮-০১)১ আগস্ট ১৯১৯
বুলওয়েল, নটিংহামশায়ার
মৃত্যু২৫ জুলাই ২০০৯(2009-07-25) (বয়স ৮৯)
পেশালেখক
ভাষাইংরেজি
জাতীয়তাব্রিটিশ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানইউনিভার্সিটি কলেজ অফ নটিংহাম
ধরনউপন্যাস
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিহলিডে
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারম্যান বুকার পুরস্কার
সক্রিয় বছর১৯৫৮-২০১০
দাম্পত্যসঙ্গীমার্গারেট ওয়েল্‌চ
সন্তানপেনি (মেয়ে)
সারা (মেয়ে)

জন্ম ও শিক্ষা

সম্পাদনা

মিডলটন ১৯১৯ সালের ১ আগস্ট নটিংহামশায়ারের বুলওয়েলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নটিংহামশায়ারের হাই পেভমেন্ট স্কুলে এবং পরে ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ নটিংহামে পড়াশুনা করেন।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

কর্মজীবনে মিডলটন হাই পেভমেন্ট গ্রামার স্কুলে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষকতা করেছেন। নাট্যকার ও কবি পিটার মর্টিমার[] এবং অভিনেতা পিটার বোল্‌স পেভমেন্ট স্কুলে মিডলটনের ছাত্র ছিলেন। ১৯৮০ সালে বোল্‌স জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান দিস ইজ ইউর লাইফ-এ প্রধান ছিলেন তখন মিডলটন অতিথি হিসেবে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন।

সাহিত্যজীবন

সম্পাদনা

১৯৫৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন মিডলটনের প্রথম উপন্যাস অ্যা শর্ট আনসার প্রকাশিত হয়। তার পরবর্তী উপন্যাস হ্যারিস্‌স রিকোয়েম (১৯৬০) এ একজন ধ্রুপদী সুরকারের জীবন তুলে ধরেন যিনি তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সুর তৈরি করতে মরিয়া হয়ে আছেন। ১৯৭৪ সালে তার হলিডে উপন্যাস প্রকাশিত হয়। সদ্য বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া একজন অধ্যাপকের সমুদ্র তীরবর্তী এক রিসোর্টে ছুটি কাটানো ও কয়েকজনের সাথে পরিচয় ও তাদের সাথে কথোপকথনের কাহিনী চিত্রিত হয়েছে বইটিতে।[] এই উপন্যাস রচনার জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে নাডিন গর্ডিমারের সাথে যৌথভাবে ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেন।[] ২০০৮ সালে তার ৪৪তম এবং তার জীবিতকালীন শেষ উপন্যাস হার থ্রি ওয়াইজ মেন প্রকাশিত হয়।[]

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

মিডলটন ১৯৫১ সালে মার্গারেট ওয়েল্‌চকে বিয়ে করেন।[] তাদের দুই মেয়ে, পেনি ও সারাহ কোর্টহোপ।[]

তিনি একজন দক্ষ অর্গান বাদক ছিলেন। তিনি নিয়মিত বুলওয়েলের র‍্যাভেন্সওর্থ রোডের সেন্ট মার্ক্‌স মেথডিস্ট চার্চে অর্গান বাজাতেন এবং প্রায়ই নটিংহামের ম্যান্‌সফিল্ড রোড ব্যাপ্টিস্ট চার্চেও বাজাতেন। এছাড়া মিডলটন জলরঙ চিত্রশিল্পী ছিলেন এবং তিনি তার নিজের ১৯৯৪ সালের উপন্যাস ক্যাটালিস্টস্‌স্ট্যানলি মিডলটন অ্যাট এইটি বইয়ের প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন।[]

মৃত্যু

সম্পাদনা

তিনি ২০০৯ সালের ২৫ জুলাই তার ৯০তম জন্মদিনের এক সপ্তাহ পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং একটি নার্সিং হোমে মৃত্যুবরণ করেন। বুলওয়েলের সেন্ট মার্ক্‌স মেথডিস্ট চার্চে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়।[]

সাহিত্যকর্ম

সম্পাদনা

উপন্যাস

সম্পাদনা
  • অ্যা শর্ট আনসার (১৯৫৮)
  • হ্যারিস্‌স রিকোয়েম (১৯৬০)
  • অ্যা সিরিয়াস ওম্যান (১৯৬১)
  • দ্য জাস্ট এক্সচেঞ্জ (১৯৬২)
  • টুজ কোম্পানি (১৯৬৩)
  • হিম দে কম্পেল্‌ড (১৯৬৪)
  • টার্মস্‌ অফ রেফারেন্স (১৯৬৬)
  • দ্য গোল্ডেন ইভিনিং (১৯৬৮)
  • ওয়েজ অফ ভার্চু (১৯৬৯)
  • অ্যাপল অফ দ্য আই (১৯৭০)
  • ব্রেজেন প্রিজন (১৯৭০)
  • কোল্ড গ্রেডেশন্‌স (১৯৭২)
  • অ্যা ম্যান মেড অফ স্মোক (১৯৭৩)
  • হলিডে (১৯৭৪)
  • ডিস্ট্রেকশন্‌স (১৯৭৫)
  • স্টিল ওয়াটার্স (১৯৭৬)
  • এন্ড্‌স অ্যান্ড মিন্‌স (১৯৭৭)
  • টু ব্রাদার্স (১৯৭৮)
  • ইন অ্যা স্ট্রেঞ্জ ল্যান্ড (১৯৭৯)
  • দ্য আদার সাইড (১৯৮০)
  • ব্লাইন্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং (১৯৮২)
  • এন্ট্রি ইনটু জেরুজালেম (১৯৮৩)
  • দ্য ডেজম্যান (১৯৮৪)
  • ভ্যালি অফ ডিসিশন (১৯৮৫)
  • অ্যান আফটার-ডিনার্‌স স্লিপ (১৯৮৬)
  • আফটার অ্যা ফ্যাশন (১৯৮৭)
  • রিকভারি (১৯৮৮)
  • ভ্যাকেন্ট প্লেসেজ (১৯৮৯)
  • চেঞ্জেজ অ্যান্ড চান্সেজ (১৯৯০)
  • বিগিনিং টু এন্ড (১৯৯১)
  • অ্যা প্লেস টু স্ট্যান্ড (১৯৯২)
  • ম্যারিড পাস্ট রিডেম্পশন (১৯৯৩)
  • ক্যাটালিস্টস্‌ (১৯৯৪)
  • টুয়ার্ডস দ্য সী (১৯৯৫)
  • লিভ অ্যান্ড লার্ন (১৯৯৬)
  • ব্রিফ আওয়ার্স (১৯৯৭)
  • অ্যাগেইন্‌স্ট দ্য ডার্ক (১৯৯৮)
  • নেসেসারি এন্ড্‌স (১৯৯৯)
  • স্মল চেঞ্জেজ (২০০০)
  • লাভ ইন দ্য প্রভিন্সেজ (২০০২)
  • ব্রিফ গার্ল্যান্ডস্‌ (২০০৪)
  • স্টার্নার স্টাফ (২০০৫)
  • মাদার্‌স বয় (২০০৬
  • হার থ্রি ওয়াইজ মেন (২০০৮)
  • অ্যা কশাস অ্যাপ্রোচ (২০১০)

নন-ফিকশন

সম্পাদনা
  • স্ট্যানলি মিডলটন অ্যাট এইটি (১৯৯৯) - বইটি সম্পাদনা করেছেন ডেভিড বেলবিন এবং জন লুকাস, বইতে মিডলটনের ছোটগল্প ও প্রবন্ধ এবং তার সাক্ষাৎকার রয়েছে।

সম্মাননা

সম্পাদনা

১৯৭৪ সালে তিনি ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেন। বিবিসি অনুরোধে ১৯৭৯ সালে তাকে ওবিই সম্মাননায় ভূষিত করলে তিনি তার কাজের জন্য এই সম্মানের যোগ্য নয় বিবেচনা করে এই সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেন।[] ১৯৯৮ সালে তিনি রয়্যাল সোসাইটি অফ লিটারেচার-এর ফেলো নির্বাচিত হন।[] ২০০০ সালে তিনি নটিংহাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মাননা ডিগ্রী লাভ করেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Tributes paid to Nottingham author"নটিংহামপোস্ট। ২৯ জুলাই ২০০৯। ২৭ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৭ 
  2. "Obituary: Stanley Middleton"টেলিগ্রাফ। ৩০ জুলাই ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৭ 
  3. ডেভিস, ফিলিপ (২৯ জুলাই ২০০৯)। "Stanley Middleton"দ্য গার্ডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৭ 
  4. ফ্লাড, অ্যালিসন (২৬ জানুয়ারি ২০১২)। "Roald Dahl and CS Lewis among writers revealed to have refused honours"দ্য গার্ডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা