স্কয়ার হাসপাতাল
স্কয়ার হাসপাতাল বাংলাদেশের বেসরকারি পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবায় আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল।[১] সর্বোচ্চ পর্যায়ে সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে বিপুল পরিমাণে সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তির উপর সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।[২] এটি বাংলাদেশে তিনটি হাই-প্রাইভেট হাসপাতালের মধ্যে অন্যতম। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী।[৩]
স্কয়ার হাসপাতাল | |
---|---|
স্কয়ার গ্রুপ | |
ভৌগোলিক অবস্থান | |
অবস্থান | ১৮/এফ, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪৫′১১″ উত্তর ৯০°২২′৫৪″ পূর্ব / ২৩.৭৫২৯৬° উত্তর ৯০.৩৮১৫৮° পূর্ব |
সংস্থা | |
ধরন | বেসরকারি হাসপাতাল |
পরিষেবা | |
হেলিপ্যাড | আছে |
ইতিহাস | |
চালু | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৬ |
সংযোগ | |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
সম্পাদনাস্কয়ার হাসপাতাল বাংলাদেশের বেসরকারি পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবায় আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল। সাধারণ এবং বিশেষায়িত সব ধরনের সুযোগ সুবিধা এখানে প্রদান করা হয়। স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামসন এইচ চৌধুরীর হাত ধরে ২০০৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যক্রম পরিচালনা করা শুরু করে। এখানে অভ্যন্তরীণ হেলিকপ্টার সার্ভিসেস, আইসিইউ সেবা সহ অ্যাম্বুলেন্স, আমেরিকান হাউজ কিপিং সিস্টেম, সার্বক্ষণিক ডিউটি ডাক্তার সহ সব ধরনের স্বাস্থ্য এবং বিলাসবহুল সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এই সেবা কার্যক্রমকে আরো ফলপ্রসূ করতে ইউএসএ, ইউকে সহ মধ্যপ্রাচ্যের উন্নতমানের হাসপাতালকে পরামর্শক হিসেবে বেছে নিয়েছে।[৪][৫][৬][৭]
২০০৮ সালে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আটক থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।[৮][৯] জেনারেটর থেকে শব্দ দূষণের অপরাধে ১১ জানুয়ারি ২০১২ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর স্কয়ার হাসপাতালকে জরিমানা করে।[১০] ২০১৫ সালে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে স্কয়ার হাসপাতালকে জরিমানা করা হয়।[১১]
পরিষেবা
সম্পাদনাঅত্যাধুনিক স্বাস্থ্যসেবা, উন্নত প্রযুক্তি, সার্বক্ষনিক ইর্মাজেন্সী সার্ভিস সমৃদ্ধ এই হাসপাতালটি মূলত স্কয়ার গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। এই হাসপাতাল AT SQUARE WE CARE এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০০৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যক্রম পরিচালনা করা শুরু করে। হাসপাতালটি সেন্ট্রাল এসি, লিফট এবং এলিভেটরযুক্ত।
স্বাস্থ্য সেবা সেন্টারসমূহ
সম্পাদনা- স্কয়ার হার্ট সেন্টার
- ইনটেনসিভ কেয়ার সেন্টার
- সেফটি সার্জারি সেন্টার
- রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং সেন্টার
- প্যাথলজি এন্ড ল্যা সেন্টার
- লিভার এন্ড গ্যাস্ট্রিক সেন্টার
- ওমেন সেন্টার
- পেডিয়াট্রিক ও নিউনেটলজি সেন্টার
- এক্সিকিউচেক সেন্টার
- ফ্যাসিলিটি সেন্টার
- অর্থপেডিক্স এন্ড ট্রমা সেন্টার
- স্কিন এন্ড লেজার সেন্টার
- অনকোলজি এন্ড রেডিওথেরাপি সেন্টার
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Notice on Square, Apollo hospitals to stop VAT collection"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ অক্টোবর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "Apollo Hospital running at 50pc of capacity"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ মার্চ ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "BTMA elects chairman"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "SQUARE Hospital starts journey"। archive.thedailystar.net। দ্য ডেইলি স্টার। ১১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "Square Hospital Comes into being early next year"। archive.thedailystar.net। দ্য ডেইলি স্টার। ১১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "Square: the rise of a giant"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "Square Hospitals Ltd"। squarehospital.com। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "Hasina should be treated abroad"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ মার্চ ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "হাসিনা যে সুযোগ পেয়েছিলেন, খালেদা তা পাচ্ছেন না"। DW.COM। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২০।
- ↑ "City hospital fined"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "স্কয়ার হাসপাতালকে জরিমানা"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২০।