সৈয়দ মকবুল হোসেন

বাংলাদেশের সাবেক সাংসদ

সৈয়দ মকবুল হোসেন (১৯৪৬ – ১৬ মার্চ ২০২২) যিনি নিজ এলাকায় লেচু মিয়া নামে পরিচিত ছিলেন। বাংলাদেশী সাবেক সরকারি কর্মকর্তা যিনি মুক্তিযুদ্ধা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি সিলেট-৬ আসনের ২ বারের সংসদ সদস্য ছিলেন।[][][]

ডক্টর
সৈয়দ মকবুল হোসেন
সিলেট-৬ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ মে ১৯৮৬ – ৩ মার্চ ১৯৮৮
পূর্বসূরীলুৎফুর রহমান
উত্তরসূরীএ.কে.এম গৌছ উদ্দিন
কাজের মেয়াদ
১ অক্টোবর ২০০১ – ২৮ অক্টোবর ২০০৬
পূর্বসূরীনুরুল ইসলাম নাহিদ
উত্তরসূরীনুরুল ইসলাম নাহিদ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মসৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া
১৯৪৬
সুন্দিশাইল গ্রাম, গোলাপগঞ্জ, সিলেট, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু১৬ মার্চ ২০২২
ঢাকা
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দল
দাম্পত্য সঙ্গীসাজেদা পারভিন
সন্তান১ ছেলে ও ১ মেয়ে
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাব্যবসা ও রাজনীতি
ডাকনামলেচু মিয়া

জন্ম ও প্রথমিক জীবন

সম্পাদনা

সৈয়দ মকবুল হোসেন ১৯৪৬ সালে সিলেটের গোলাপগঞ্জের পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিসাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ এবং এমএ পাশ করেন। পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।[]

তার স্ত্রী সাজেদা পারভিন। তার ১ ছেলে সৈয়দ তানভীর হোসেন ও ১ মেয়ে সৈয়দা আদিবা হুসাইন।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

মকবুল সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি উপসচিব পদ থেকে পদত্যাগ করে ব্যবসা শুরু করেন।[] তার জন্মস্থান সুন্দিসাইল গ্রামে প্রতিষ্ঠাতা করেন ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় ও ডিগ্রি কলেজ। এছাড়া বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।[]

রাজনৈতিক জীবন

সম্পাদনা

সৈয়দ মকবুল হোসেন ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিলেট-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।[][] বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে তিনি জড়িত থাকলেও ১৯৯১ সালের পর যোগ দেন বিএনপিতে[]

১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে একই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়ে ছিলেন।[][]

সমালোচনা

সম্পাদনা

নানা কারণে আলোচিত সমালোচিত মকবুল হোসেন সিলেট অঞ্চলে লেচু মিয়া নামেই সমাধিক পরিচিত। নির্বাচনে ঢালাও অর্থব্যয়ের কারণে বিভিন্ন সময় আলোচনায় ওঠে এসেছে এই ধনকুবেরের নাম।[] গাজীপুরের টঙ্গীতে মকবুল হোসেনের টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৩৪ জনের মৃত্যু, ৩৫ জন আহত হওয়া এবং ১০ জন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ও দেশ ব্যাপী সমালোচিত হন। বনানীর কবরস্থানের সি ব্লকে ২৬টি কবর কিনেও সারা দেশে আলোচিত হন তিনি।[][]

মৃত্যু

সম্পাদনা

সৈয়দ মকবুল হোসেন ১৬ মার্চ ২০২২ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।[][]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "সিলেট-৬ আসনের সাবেক এমপি বিশিষ্ট শিল্পপতি লেচু মিয়ার ইন্তেকাল"দৈনিক ইনকিলাব। ১৬ মার্চ ২০২২। Archived from the original on ১৬ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২২ 
  4. "সিলেটের সাবেক সাংসদ সৈয়দ মকবুল হোসেন আর নেই"দৈনিক প্রথম আলো। ১৭ মার্চ ২০২২। Archived from the original on ২৯ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২২ 
  5. "দুর্ঘটনাকবলিত কারখানার মালিক সিলেটের সাবেক সাংসদ সৈয়দ মকবুল হোসেন"web.archive.org। ২০১৯-০৬-২৪। Archived from the original on ২০১৯-০৬-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪ 
  6. "রাজনীতি থেকে অবসর নিলেন ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন"archive.is। ২০১৯-০৬-২৪। Archived from the original on ২০১৯-০৬-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪ 
  7. BanglaNews24.com। "খালেদার পাশে বসতে 'দো-দিল বান্দা'র খরচ ২০ লাখ টাকা"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪ 
  8. "বনানীতে কেন ২৬ টি কবর কিনেছিলেন টাম্পাকো মালিক? | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। ২০১৯-০৬-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪ 
  9. "বনানীতে কেন ২৬ টি কবর কিনেছিলেন টাম্পাকো মালিক?...-406779 | কালের কণ্ঠ | kalerkantho"web.archive.org। ২০১৯-০২-১৮। Archived from the original on ২০১৯-০২-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪