সৈয়দ নাজমুল হক (জন্ম: ১৯৪১ - মৃত্যু: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে অকুতোভয় সাংবাদিক[] ও শহীদ বুদ্ধিজীবী।[] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীর বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের অংশ হিসাবে তিনি অপহৃত ও পরে শহীদ হন।[]

সৈয়দ নাজমুল হক
মৃত্যু১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১
পেশাসাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

সম্পাদনা

তিনি খুলনাতে জন্মগ্রহণ করেন।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

তিনি ছিলেন পিপিআইয়ের (পাকিস্তান প্রেস ইন্টারন্যাশনাল) প্রধান প্রতিবেদক। বংগবন্ধুর বিরুদ্ধে এক গোপন বিচারে সাক্ষী দেবার জন্য তার উপর চাপ প্রয়োগ করা হয় এবং ১৯৭১ সালে তাকে বন্দী করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়।[]

বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৯৬)

সম্পাদনা

মৃত্যু

সম্পাদনা

৩রা নভেম্বর, ২০১৩ সালে চৌধুরী মুঈনুদ্দীন এবং আশরাফুজ্জামান খান কে ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সৈয়দ নাজমুল হক সহ ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।[] []

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Profiles of martyred intellectuals ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে, দি ডেইলি স্টার, তারিখঃ ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৬, সংগৃহীতঃ ১০ নভেম্বর, ২০১৩
  2. বুদ্ধিজীবী হত্যার ৪২ বছর পরে ন্যায়বিচার ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ মে ২০১৪ তারিখে, অশোকেশ রায়, বাংলানিউজটুয়েন্টিফোর।কম, ঢাকা, ৩রা নভেম্বর, ২০১৩।
  3. বুদ্ধিজীবী হত্যার সাজা ফাঁসি, প্রথম আলো দৈনিক পত্রিকা, লেখকঃ কুন্তল রায় ও মোছাব্বের হোসেন, ৪ঠা নভেম্বর, ২০১৩।
  4. মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড, আকবর হোসেন, বিবিসি বাংলা, ঢাকা, ৩রা নভেম্বর, ২০১৩।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা