সেলুলার জেল
সেলুলার জেল বা কালাপানি (হিন্দি ভাষায়: काला पानी क़ैद ख़ाना) ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত একটি পূর্বতন কারাগার। ১৯০৬ সালে এই কারাগারটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বহু বিশিষ্ট আন্দোলনকারী যেমন বটুকেশ্বর দত্ত, উল্লাসকর দত্ত ও বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে এই কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। এখন এই দালানটি জাতীয় স্মৃতি স্মারক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।[২] আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে একমাত্র সেলুলার জেলটিই পোড়ামাটির ইঁটে নির্মিত।
সেলুলার জেল | |
---|---|
লুয়া ত্রুটি মডিউল:মানচিত্রের_কাঠা এর 318 নং লাইনে: attempt to perform arithmetic on local 'lat_d' (a nil value)। | |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
স্থাপত্যশৈলী | সেলুলার, কাঁটার দণ্ড |
শহর | পোর্ট ব্লেয়ার, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ |
দেশ | ভারত |
স্থানাঙ্ক | 11.675°N 92.748°E |
নির্মাণ শুরু | ১৮৯৬ |
সম্পূর্ণ | ১৯০৬ |
নির্মাণব্যয় | ৫১৭,৩৫২ টাকা[১] |
গ্রাহক | ব্রিটিশ সরকার |
ইতিহাস
স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি বিশেষ অংশ হয়ে উঠেছিল এই সেলুলার জেল। ১৮৯৩ সালে শুরু হয়েছিল এই জেল তৈরির কাজ তা শেষ হয়েছিল ১৯০৬ সালে । স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধ এবং সিপাহী বিদ্রোহের পর প্রায় ২০০ জন বিদ্রোহীকে আন্দামান দ্বীপান্তরে পাঠিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশরা। বলা হয় ১৮৫৭ সালের ডিসেম্বর মাসে দ্বীপগুলিকে পরিদর্শন করেছিলেন তারা। ১৮৫৮ সালের জানুয়ারিতে ব্রিটিশ সরকার একটি প্রতিবেদনও জমা দেন। সে সময় সরকার আন্দামান দ্বীপকে কারাগার বা জেল হিসাবে ব্যবহার করার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম ১০ মার্চ ২০০ জন বিদ্রোহীকে এখানে আনা হয়েছিল।
উনিশ শতকে যখন ভারত পরাধীন ঠিক সে সময় স্বাধীনতার সংগ্রাম ছিল তুঙ্গে। অনেক বিদ্রোহীদের ফাঁসি তো দেওয়া হতোই, আবার অনেকের ঠাঁই হত সেই ভয়ংকর দ্বীপে। তখন ব্রিটিশ সরকার ভাবলেন এবার আন্দামানের দরকার এক নিরাপত্তা সমেত একটি কারাগার। তখনই নির্মিত হয়েছিল এই কালাপানি বা সেলুলার জেল। সে সময় বহু বিদ্রোহীকে এই কারাগারে রাখা হতো। ব্রিটিশ রাজকর্মচারী চার্লস জেমস ল্যাল এবং চিকিৎসক এ এস লেথব্রিজের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি কমিটি ১৮৯০ সালে পোর্ট ব্লেয়ার পরিদর্শন করেন এবং পোর্ট ব্লেয়ারের কাছে নির্মিত হয়েছিল এই কারাগার। বর্মা থেকে লাল রঙের ইট এনে প্রথম তৈরি হয়েছিল এই কারাগার।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে
সম্পাদনা১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দের ১১ ই ফেব্রুয়ারি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজী দেশাই এটিকে জাতীয় স্মারক স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে স্বীকৃতি দেন।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Article on Hinduonnet.com"। ২৩ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২, ২০০৬।
- ↑ "Andaman Cellular Jail - A National Memorial"। web.archive.org। ২০০৮-১২-১৮। Archived from the original on ২০০৮-১২-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৪।
- ↑ https://whc.unesco.org/en/tentativelists/5888/।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)