সেভ দ্য চিলড্রেন
সেভ দ্য চিলড্রেন (ইংরেজিতে Save the children) একটি আর্ন্তজাতিক বেসরকারী সংস্থা।[২] যুদ্ধ বিধবস্ত দেশ বা অঞ্চলের শিশুদের নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে ইংল্যান্ডের বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিক্ষক এগল্যান্টাইন জেব ১৯১৯ সালে সেভ দ্য চিলড্রেন ফান্ড গঠন করেন।[৩] ২০১৯ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর উদযাপন করে।[৪] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু সমাজ সচেতন ব্যক্তি জেব এর উদ্যোগে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৩২ সালে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন ইউনাইটেড স্টেট প্রতিষ্ঠা করেন।[৫] প্রথম দিকে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে এর কর্মসূচি পালিত হলেও বর্তমানে ১২০ দেশে এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে । ২০১৪ সাল নাগাদ ৫০ মিলিয়নের বেশি শিশুকে সহায়তা দিয়েছে সেভ দ্য চিল্ড্রেন। ২০২১ সালে সংগঠনটি ১২০ টি দেশে ১ কোটি ৮৩ লক্ষ শিশুকে সহায়তা প্রদান করেছে।[৬]
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৫ এপ্রিল ১৯১৯ |
---|---|
প্রতিষ্ঠাতা | এগল্যান্টাইন জেব ডরোথি বাক্সটন |
ধরন | আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা |
নিবন্ধন নং | ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস 213890 SC039570 EIN: 06-0726487 |
আইনি অবস্থা | জামানত দ্বারা নিবন্ধিত কোম্পানি লিমিটেড[১] |
অবস্থান |
|
উৎপত্তি | লন্ডন, ইংল্যান্ড |
এলাকাগত সেবা | বিশ্বব্যাপী |
নেতা | ইঙ্গার অ্যাশিং (বর্তমান প্রধান নির্বাহী) |
ওয়েবসাইট | savethechildren |
ইঙ্গার অ্যাশিং সেভ দ্য চিলড্রেন-এর বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।[৭]
সেভ দ্য চিলড্রেন-এর উদ্দেশ্যসমূহ:
- ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পতিত শিশু ও তার পরিবারকে সহায়তা।
- জরুরি মুহূর্ত, যেমন- দুর্যোগ, রোগ-ব্যাধি এবং সবধরনের সহিংতা থেকে শিশুদের রক্ষা করা।
- শিক্ষাবঞ্চিত শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করা।
- এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ শিশুকে সুরক্ষা দেওয়া।
- শিশু পাচার, অপব্যবহার ও শোষণ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
- শিশুর পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
- শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করা এবং অভিভাবকদের এ ব্যাপারে সচেতন করা।
উৎপত্তি
সম্পাদনা১৯১৯ সালে এগল্যান্টাইন জেব ও তাঁর বোন ডরোথি বাক্সটন জার্মানি ও অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির শিশুদের মিত্রশক্তির অবরোধ চলাকালিন সময়ে খাদ্য সহায়তা প্রদান করার লক্ষ্যে 'সেভ দ্য চিলড্রেন ফান্ড' গঠন করেন।[৮] পরবর্তীতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমন আরও সংগঠন গড়ে ওঠে যাদের মধ্যে ১৯৩২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে ওঠা ইন্টারন্যাশনাল সেভ দ্য চিলড্রেন ফান্ড অব আমেরিকা (বর্তমানে সেভ দ্য চিলড্রেন) উল্লেখযোগ্য।[৮][৯] ১৯৭৯ সালে ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহজতর করার লক্ষ্যে কিছু দেশের জাতীয় কমিটির সমন্বয়ে 'সেভ দ্য চিলড্রেন এলায়েন্স' (বর্তমানে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল) গড়ে ওঠে। বর্তমানে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালে ৩০ টি জাতীয় দল আছে।
বাংলাদেশ
সম্পাদনাবাংলাদেশে 'সেভ দ্য চিলড্রেন' ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত ভোলা জেলায় জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাদেশে সংগঠনটির ১২০০ কর্মী ও ৮৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক কর্মরত আছে।[১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Save the Children website
- ↑ "SAVE THE CHILDREN INTERNATIONAL - Charity 1076822"। register-of-charities.charitycommission.gov.uk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৫।
- ↑ "Eglantyne Jebb"। Save the Children (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৫।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "১০০ বছরে পা দিল সেভ দ্য চিলড্রেন"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৫।
- ↑ "The History of Save the Children"। Save the Children (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৫।
- ↑ "Explore What You Made Possible for Kids in 2021"। Save the Children (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৫।
- ↑ "Our CEO"। Save the Children International (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৫।
- ↑ ক খ "Save the Children | international organization | Britannica"। www.britannica.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৫।
- ↑ "Save the Children Federation | Company Overview & News"। Forbes (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৫।
- ↑ "What We Do | Bangladesh"। Save the Children | Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৫।
সেভ দ্য চিল্ড্রেন
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |