সূরা জ্বিন
সূরা আল জ্বিন (আরবি: الجنّ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৭২ তম সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২৮ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আল জ্বিন মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরায় জ্বিন সম্প্রদায়ের কথা বলা হয়েছে।
শ্রেণী | মাক্কী সূরা |
---|---|
নামের অর্থ | জ্বিন সম্প্রদায় |
অন্য নাম | ঘোষণা |
পরিসংখ্যান | |
সূরার ক্রম | ৭২ |
আয়াতের সংখ্যা | ২৮ |
পারার ক্রম | ২৯ |
রুকুর সংখ্যা | ২ |
সিজদাহ্র সংখ্যা | নেই |
← পূর্ববর্তী সূরা | সূরা নূহ |
পরবর্তী সূরা → | সূরা মুজাম্মিল |
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ |
নামকরণ
সম্পাদনাজিন অর্থ অদৃশ্য জাতি। রাসুল এর কাছে জিনেরা এসে কুরআন শ্রবন করত। এই সুসংবাদ মমিনদের কাছে পৌছানোর জন্য যে এই সুরাতে জিনদের আলোচনা হয়েছে বিধায় সুরাটির নাম করন করা হয়েছে জিন।
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
সম্পাদনাকুরআন মক্কা
শানে নুযূল
সম্পাদনাইবনে আব্বাস বর্ণনা করেন, এই ঘটনায় নবী মুহাম্মাদ জিনদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে কোরআন শোনাননি এবং তিনি তাদের দর্শনও করেননি। এই ঘটনা তখনকার, যখন শয়তানদেরকে আকাশের খবর শোনা থেকে উল্কাপিণ্ডের মাধ্যমে প্রতিহত করা হয়েছিল। এ সময়ে জিন জাতি পরস্পরে পরামর্শ করল যে, আকাশে খবরাদি শোনার ব্যাপারে বাধাদানের এই ব্যাপারটি কোন আকস্মিক ঘটনা মনে হয় না। পৃথিবীতে অব্যশই কোন নতুন ব্যাপার সংঘটিত হয়েছে। অতঃপর তারা স্থির করল যে, পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিমে ও আনাচে-কানাচে জিনদের প্রতিনিধিদল প্রেরণ করতে হবে যারা খোঁজাখুঁজি করে এই নতুন ব্যাপারটি কী তা জেনে আসবে। হেজাযে প্রেরিত তাদের প্রতিনিধিদল যখন 'নাখাল' নামক স্থানে উপস্থিত হল, তখন মুহাম্মদ সাহাবীগণকে সাথে নিয়ে ফজরের নামায পড়ছিলেন। জিনদের এই প্রতিনিধিদল নামাযে কোরআন পাঠ শুনে পরস্পর শপথ করে বলতে লাগলঃ "এই কালামই আমাদের ও আকাশের খবরাদির মধ্যে অন্তরায় হয়েছে।" তারা সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে স্বজাতির কাছে ঘটনা বিবৃত করল এবং বললঃ "আমরা বিস্ময়কর কোরআন শ্রবণ করেছি। আল্লাহ এসব আয়াতে সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে রসূলকে অবহিত করেছেন।"[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন (১১ খন্ডের সংহ্মিপ্ত ব্যাখ্যা)।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ডিজিটাল 'আল কোরআন' - ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ
- আল জ্বিন বাংলায় এবং ইংরেজিতে অনুবাদ
- আল জ্বিন এর তিলাওয়াত