সুরেশচন্দ্র দে (১২ ডিসেম্বর ১৮৯৮ — ?) একজন বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শিক্ষাবিদ।

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

সুরেশচন্দ্র দে শরীয়তপুর জেলার গয়ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতৃমাতৃহীন হয়ে মামার বাড়ি কাছাড়ে চলে আসেন। সেখানে তার বাল্যকাল কেটেছিল। ১৯১৮ সালে শরীয়তপুর জেলার চিকন্দী শরফ আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পেয়ে ম্যাট্রিক পাশ করেন তিনি। ঢাকা কলেজ থেকে আই এস সি পাশ করে ইংরেজি অনার্স নিয়ে পড়ার সময় স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।[]

কৃতিত্ব

সম্পাদনা

১৯২১ সাল থেকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন সুরেশচন্দ্র। তিনি অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেছিলেন। অভয় আশ্রমেহরিপদ চট্টোপাধ্যায়, দেবেন সেন, মুনীন্দ্র ভট্টাচার্য ও আরো অনেক কর্মীর সাথে নবাবগঞ্জ থানার প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে পৌছে দেন চরকা ও তুলা। মজুরি দিয়ে সেই সুতো কিনে এনে গ্রামের তাতিদের দিয়ে খদ্দরের কাপড় তৈরী করাতেন তারা। পরবর্তীকালে এম এ পাশ করে কলকাতার আশুতোষ কলেজে অধ্যাপনা করতেন সুরেশচন্দ্র। তার লেখা মুক্তির মন্ত্র নামে একটি নাটকের গ্রন্থ আছে।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. প্রথম খন্ড, বসু, অঞ্জলি; সেনগুপ্ত, সুবোধচন্দ্র (২০১৩)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৫৯৫। আইএসবিএন 978-8179551356 
  2. "পাতা:মুক্তির মন্ত্র - সুরেশচন্দ্র দে.pdf/১ - উইকিসংকলন একটি মুক্ত পাঠাগার"bn.wikisource.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০