সুরেখা যাদব বা সুরেখা শঙ্কর যাদব (জন্মঃ ১৯৬৫ মহারাষ্ট্র) ভারত রেলওয়ের প্রথম ট্রেন চালক[] এবং একইসঙ্গে এশিয়ার প্রথম ট্রেনচালক।[]। এপ্রিল ২০০০ সালে ভারতের তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চারটি শহরে ট্রেন চালু করেন, তখন সুরেখা যাদব মধ্যমাঞ্চল রেলের মহিলাদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালান।[][] ২০১১ সালের ৮ মার্চ তার কর্মজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যেদিন আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তিনি এশিয়ার প্রথম মহিলা ট্রেন চালক হিসাবে পুনে থেকে ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস পর্যন্ত কঠিন কিন্তু নাটকীয় ভৌগোলিক স্থান দিয়ে "ডেকান কুইন" ট্রেন পরিচালনা করেন,[][][] যেখানে তাকে মুম্বইয়ের মেয়র শ্রদ্ধা যাদব অভ্যর্থনা জানান।[] তার স্বপ্ন সত্য হয় যখন তিনি মধ্যাঞ্চলের মর্যাদাপূর্ণ ট্রেনগুলির একটি পরিচালনা করেন, যেটি একজন মহিলার নামে; মুম্বই-পুণে প্রবাসি সংঘ তার ট্রেন চালনা সমর্থন করে।[]

সুরেখা যাদব
জন্ম
সুরেখা শঙ্কর যাদব

১৯৬৫
দাম্পত্য সঙ্গীশঙ্কর যাদব
সন্তানদুইটি ছেলে
পিতা-মাতারামচন্দ্র ভোসলে

প্রথম জীবন

সম্পাদনা

সুরেখা যাদব সনাবাঈ ও রামচন্দ্রের পরিবারে ১৯৬৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন, তার জন্মস্থান মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায়। তার বাবা ছিলেন কৃষক এবং ৫ ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়।[] তিনি সেন্ট পল কনভেন্ট স্কুলে পড়াশুনা করেন। পরে তিনি পশ্চিম মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার কারাদে অবস্থিত সরকারি পলিটেকনিক থেকে তড়িৎ কৌশল থেকে ডিপ্লোমা করেন।[][]

পেশাগত জীবন

সম্পাদনা

সুলেখা, রেলওয়ে নিয়োগ বোর্ড, মুম্বই-এ পরীক্ষা দেন। তিনি নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৬ সালে মধ্যাঞ্চলীয় রেলে শিক্ষানবিশ সহকারী চালক হিসাবে যোগদেন এবং কল্যাণ ট্রেনিং স্কুলে ৬ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[][১০][] তিনি ১৯৮৯ সালে নিয়মিত সহকারী চালক হন।[] তিনি ওয়াদি বন্দর ও কল্যান-এর মধ্যে চলাচলকারী স্থানীয় মালবাহী ট্রেন চালান এবং ট্রেন ইঞ্জিন পরীক্ষা এবং সংকেতসহ আনুসাঙ্গিক সকল কাজ পরিচালনা করেন।[][] ১৯৯৬ সালে তাকে মালবাহী ট্রেনের চালক নির্বাচন করা হয় এবং ১৯৯৮ সালে তিনি পরিপূর্ণ পণ্য ট্রেন ড্রাইভার হয়ে ওঠেন।[][১০] ২০১০ সালে তিনি পশ্চিমঘাট পর্বতমালা রেলওয়ের পর্বতমালা রেললাইনে চালক হন।[] পর্বতমালা রেললাইনে ট্রেন চালানর জন্য তিনি বিশেষ প্রশিক্ষণ ঘহন করেন এবং দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করেন। তিনি বলেন "মহিলা হিসাবে আমি পারব কিনা জানার জন্য সবাই উৎসুক ছিল।[] মে ২০১১ সালে, তিনি এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক হিসাবে পদোন্নতি লাভ করেন।[] বর্তমানে তিনি চালক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (কল্যাণ) এর ঊর্ধ্বতন প্রশিক্ষক।

বৈবাহিক জীবন

সম্পাদনা

তিনি ১৯৯০ সালে শঙ্কর যাদব-কে বিয়ে করেন,[১১] যিনি মহারাষ্ট্র সরকারে কর্মরত পুলিশ ইন্সপেক্টর। তাদের দুইটি ছেলে আছে।

পুরস্কার

সম্পাদনা
  • জিজাও পুরস্কার (১৯৯৮)
  • নারী অর্জনকারী পুরস্কার (২০০১) (লায়ন্স কর্তৃক)
  • রাষ্ট্রীয় মহিলা আয়োগ (২০০১)
  • লোকমত সখী মঞ্চ (২০০২)
  • S.B.I. Platinum jubilee year celebrations (২০০৩-২০০৪)
  • Sahyadri hirkani award (২০০৪)
  • Prerna puraskar (২০০৫)
  • G.M.award (২০১১)
  • Woman achievers award (২০১১) (মধ্যাঞ্চল রেলওয়ে)
  • RWCC Best Women award of year 2013. For first lady locopilot on Indian Railways on date 5 April 2013
  • GM award for first lady locopilot on Indian Railways. April 2011

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Rights 2001, পৃ. 185।
  2. Hanshaw 2003, পৃ. 96।
  3. "Bold, Bindaas And Successful date=10 March 2011"। Cityplus। 
  4. "Indian Female Engine Loco Drivers"। scientificindians.com। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৫ 
  5. "Realigning the tracks"। The Hindu। ৮ জানুয়ারি ২০১৩। 
  6. "Mumbai Western Railway believes in woman-power"। DNAIndia। ৯ মার্চ ২০১১। 
  7. Costa, Roana Maria (৮ মার্চ ২০১১)। "Asia's first motor woman to pilot Deccan Queen"The Times of India 
  8. Nair, Sulekha (৩১ মে ২০০০)। "The woman in the engine"The Indian Express। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৫ 
  9. "Railwaywomen Around The World - A selection of press cuttings - India: Surekha Yadav (source: The Financial Express)"। Hastings Press। ২০০১। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৫ 
  10. Book 2006, পৃ. 230।
  11. Documentation on Women, Children & Human Rights। Sandarbhini, Library and Documentation Centre, All India Association for Christian Higher Education। ২০০১। 

গ্রন্থপঞ্জি

সম্পাদনা