সুমতি মুটাটকার
সুমতি মুটাটকার (১০ই সেপ্টেম্বর ১৯১৬ - ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০০৭) ছিলেন একজন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের হিন্দুস্তানী আগ্রা ঘরানার সঙ্গীতজ্ঞ, কণ্ঠশিল্পী এবং সঙ্গীতবিদ। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক.[১] এবং আকাশবাণীর সঙ্গীত বিভাগের প্রধান রূপেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।
সুমতি মুটাটকার | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | সুমতি আম্বেরদেকার |
জন্ম | বালাঘাট, মধ্যপ্রদেশ | ১০ সেপ্টেম্বর ১৯১৬
মৃত্যু | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ কোলকাতা | (বয়স ৯০)
ধরন | হিন্দুস্থানী কন্ঠ সঙ্গীত |
পেশা | কণ্ঠশিল্পী, সঙ্গীত্তত্ববিদ |
আজীবন কৃতিত্বের জন্য তিনি ভারতের জাতীয় সংগীত, নৃত্য ও নাটকের সংস্থা সংগীত নাটক আকাদেমির সর্বোচ্চ পুরস্কার সঙ্গীত নাটক অকাদেমি ফেলোশিপ অর্জন করেন ১৯৭৯ সালে[২]।২০০১-২০০২ সালে তিনি মধ্যপ্রদেশ সরকার দ্বারা কালিদাস সম্মানও পেয়েছিলেন[৩][৪]। ১৯৯৯ সালে ভারত সরকার দ্বারা ভারতের চতুর্থ সর্ব্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি[৫] ।
প্রাথমিক জীবন ও প্রশিক্ষণ
সম্পাদনাসুমতির জন্ম ১৯১৬ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ভারতের সি পি এবং বেরার প্রদেশের বালাঘাট অঞ্চলে এক সঙ্গীতপ্রিয় পরিবারে গজানন আম্বেরদেকার এবং সুন্দরি সুবেদারের কোলে। তাঁর পিতা ছিলেন একজন বিচারপতি। তিনি নাগপুরের শ্রী সাওলা রাম এবং অমরাবতীর পণ্ডিত ওয়ামানবাওয়া জোশীর কাছ থেকে তাঁর প্রাথমিক সংগীত প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।
নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পরে সুমতি লক্ষ্ণৌর ভাতখণ্ডে সঙ্গীত বিদ্যাপীঠে যোগদান করেন। সেখানে পণ্ডিত শ্রীকৃষ্ণ নারায়ণ রতনজঙ্করের তত্ত্বাবধানে 'ভারতীয় সংগীতের সাংস্কৃতিক দিক' শিরোনামে একটি থিসিসের ভিত্তিতে তিনি সঙ্গীতে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন[৬]। পরে তিনি পণ্ডিত রতনজঙ্কর ছাড়াও, গোয়ালিয়র ঘরানার পণ্ডিত রাজাভইয়া পুঞ্চওয়াল, আগ্রা ঘানার উস্তাদ বিলায়ত হুসেন খান, রামপুর ঘরনার ওস্তাদ মোশতাক হুসেন খান এবং পণ্ডিত অনন্ত মনোহর যোশীর অধীনেও প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন[৭]। তিনি পণ্ডিত গোবিন্দ রাও বুরহানপুরকরের কাছ থেকে ধ্রুপদ এবং ধামার গান শিখেছিলেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনা১৯৫৩ সালে তিনি আকাশবাণীতে (এআইআর) সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীকালে সঙ্গীতের উপ-প্রধান নির্মাতা হন। পরে, ১৯৬৮ সালে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ও চারুকলা অনুষদে যোগদান করেন এবং শেষ পর্যন্ত ১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষদের ডিন রূপে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর আমলে তিনি সংগীতের ক্ষেত্রে অসংখ্য গবেষণা প্রকল্প তদারকি করেছিলেন, পাশাপাশি এই বিষয়টিতে বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ করেছেন।[১]
তিনি ভারত সরকারের সংস্কৃতি বিভাগের সাথেও যুক্ত ছিলেন তাদের সংস্কৃতি প্রকল্পের প্রচারের প্রধান হিসাবে। তিনি সংস্কৃতি সম্পদ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাম্মানিক সভাপতিরূপেও কাজ করেছেন।
তিনি ২০০৭ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ৯১ বছর বয়সে সংক্ষিপ্ত অসুস্থতার পরে মারা যান; মৃত্যুকালে তাঁর এক কন্যা বর্তমান ছিল।
সম্মাননা ও পুরস্কার
সম্পাদনা- ১৯৭৯ সালে সঙ্গীত নাটক অকাদেমি ফেলোশিপ
- ১৯৯৯ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার
- ২০০১-০২ সালে মধ্যপ্রদেশ সরকার দ্বারা কালিদাস সম্মান
রচিত বইয়ের সংস্করণ
সম্পাদনা- শ্রীকৃষ্ণ নারায়ণ রত্নজঙ্কর 'সুজন': এ মেনি স্প্লেন্ডার্ড জিনিয়াস, লোটাস কালেকশন, ২০০১. আইএসবিএন ৮১-৭৪৩৬-১৭৫-৮.
- গীত নির্ঝরি : সুমতি মুটাটার রচিত বন্দিশোঁ কা স্ংগ্রহ ( হিন্দি) . কণিষ্ক পাবলিশার্স, ২০০২.
- আস্পেক্টস. অফ ইন্ডিয়ান মিউসিক, সংগীত নাটকঅকাদেমি, ২০০৬. আইএসবিএন ৮১-৭৮৭১-০৯৬-X
- সুমতি সঙ্গীতাভরণম: জেমস অফ ইন্ডিয়ান মিউসিন আন্ড মিসিওলজি ,আভা কুলশ্রেষ্ঠ, সুমতি মুটাটকার, জগদীশ সহায়. ১৯৯৪, আইএসবিএন ৮১-৮৫২৬৮-৩১-২
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "OBITUARY: In Memoriam Professor Dr. Sumati Mutatkar"। ২০০৮-০৭-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৫।
- ↑ "SNA: List of Sangeet Natak Akademi Ratna Puraskar winners (Akademi Fellows)"। Official website। ২০১১-০৭-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Rashtriya Kalidas Samman (in Hindi)"। Department of Public Relations, Madhya Pradesh Government। ২০১০-০৭-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Kalidas award for Yamini Krishnamurthy"। The Hindu। ২৯ আগস্ট ২০০১। ২৩ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Padma Awards"। Ministry of Communications and Information Technology।
- ↑ Ghosh, p. 29
- ↑ Mukherji, p. 134