সুভা (চলচ্চিত্র)

চলচ্চিত্র

সুভা চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ২০০৫ সালের বাংলাদেশী নাট্য চলচ্চিত্র। ছবিটি নির্মিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর সুভা ছোটগল্প অবলম্বনে। সুভা চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা এবং পরিবেশনায় রয়েছেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। ছবিটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী পূর্ণিমা[][] এবং আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান। এছাড়াও সহ-শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন সুজাতা, তুষার খান, সালেহ আহমেদ। শাকিব খান ও পূর্ণিমা তাদের অসাধারন অভিনয়ের জন্য সর্বস্তরে প্রশংসিত হয়েছিলেন।[]

সুভা
সুভা চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকচাষী নজরুল ইসলাম
প্রযোজকফরিদুর রেজা সাগর
ইবনে হাসান খান (ইমপ্রেস টেলিফিল্ম)
রচয়িতামমতাজ উদ্দীন আহমদ (কাহিনী বিন্যাস ও সংলাপ)
চিত্রনাট্যকারমমতাজ উদ্দীন আহমদ
ওয়াকিল আহমেদ
উৎসরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক 
সুভা
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারইমন সাহা
চিত্রগ্রাহকমজিবুল হক ভূইয়া
সম্পাদকআতিকুর রহমান মল্লিক
পরিবেশকইমপ্রেস টেলিফিল্ম
মুক্তি
  • ১২ আগস্ট ২০০৫ (2005-08-12)[]
স্থিতিকাল১২০ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

কাহিনী সংক্ষেপ

সম্পাদনা

সুভাসিনীকে গ্রামে সবাই সুভা বলেই ডাকে। সুভাসিনী হল যে মিষ্টি স্বরে কথা বলে। তার বড় দুই বোন সুহাসিনী ও সুকেশিনীর নামের সাথে মিলিয়ে তার নাম রাখা হয়। কিন্তু সুভা জন্ম থেকে কথা বলতে ও শুনতে পারে না। বোবা ও কালা হওয়ায় সমবয়সীদের সাথে সে খেলা করতে গেলে তারা তাকে খেপিয়ে তোলে। সে তাদের খেলা পণ্ড করে দিয়ে চলে যায়। সমবয়সী মেয়েদের সাথে খেলতে না পারায় তার সখ্যতা গড়ে ওঠে গ্রামের যুবক প্রতাপের সাথে। প্রতাপ ও সুভা একে অপরকে বুঝে এবং ভালবাসতে শুরু করে। প্রতাপ সুভার বাবাকে তাদের বিয়ের কথা বলে। সুভার বাবা বাণীকণ্ঠ প্রতাপের বাবা গোবিন্দের কাছে তাদের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে। কিন্তু গোবিন্দ তা ফিরিয়ে দেয় এবং তাকে অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

অপমানিত হয়ে বাড়ি ফিরে বাণীকণ্ঠ তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে কোলকাতায় তার বড় মেয়ের বাড়ি চলে যায়। সেখানে তারা সুভার বিয়ের জন্য পাত্র দেখে। পাত্র নিবারণ তার বন্ধুকে নিয়ে সুভাকে দেখতে আসে এবং তাদের মেয়ে পছন্দ হয়। ফলে শীঘ্রই নিবারণ সুভাকে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পরদিন সে জানতে পারে সুভা কথা বলতে পারে না, যা সুভার জন্য দুঃখ বয়ে নিয়ে আসে।

কুশীলব

সম্পাদনা

সঙ্গীত

সম্পাদনা

সুভা চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছে ইমন সাহা। গীত রচনা করেছেন কবির বকুল। এছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি গান ব্যবহৃত হয়েছে। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, মিতা হক, ঝুমু খান, বাপ্পা মজুমদারসাদী মহম্মদ

গানের তালিকা

সম্পাদনা
নং.শিরোনামরচয়িতাকণ্ঠশিল্পীদৈর্ঘ্য
১."সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে"রবীন্দ্রনাথ ঠাকুররেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা 
২."চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙ্গে যাবে"কবির বকুলবাপ্পা মজুমদার 
৩."তুমি কেমন করে গান করো"কবির বকুলমিতা হক 
৪."তুমি রবে নীরবে"রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসাদী মহম্মদ 

পুরস্কার

সম্পাদনা
লাক্স চ্যানেল আই পারফরমেন্স পুরস্কার

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. জোয়াদ, আবদুল্লাহ (২০১০)। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র: পাঁচ দশকের ইতিহাস। ঢাকা: জ্যোতিপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬৩৮। আইএসবিএন 984-70194-0045-9 
  2. "তিন সুভা"দৈনিক প্রথম আলো। ৫ আগস্ট ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. অলি, সোমেশ্বর (৮ মে ২০১৪)। "সুভা এবং চন্দরার গল্প"দৈনিক সমকাল। ১৩ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭ 
  4. আদনান, জামাল উদ্দিন (১৬ জুলাই ২০১৩)। "শাকিব আর পূর্ণিমার "সুভা""বাংলা মুভি ডেটাবেজ। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা