সীমান্ত ইউনিয়ন
সীমান্ত ইউনিয়ন বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নটি ভারতের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের একটি ইউনিয়ন।[১]
সীমান্ত | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
৪নং সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদ | |
বাংলাদেশে সীমান্ত ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°২৪′৩৭.৮″ উত্তর ৮৮°৪৭′১০.৭″ পূর্ব / ২৩.৪১০৫০০° উত্তর ৮৮.৭৮৬৩০৬° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | চুয়াডাঙ্গা জেলা |
উপজেলা | জীবননগর উপজেলা |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
আয়তন
সম্পাদনাসীমান্ত ইউনিয়নের আয়তন ৪৪.৪৬ বর্গ কিলোমিটার।[২]
জনসংখ্যা উপাত্ত
সম্পাদনাসীমান্ত ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ৩৩,০৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯,৮৯২ জন এবং মহিলা ৯,৭৯৪ জন। মোট পরিবার ৬,২০০টি।[২]
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাসীমান্ত ইউনিয়ন জীবননগর উপজেলার আওতাধীন ৯নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম উপজেলার জীবননগর থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ৮০নং নির্বাচনী এলাকা চুয়াডাঙ্গা-২ এর অংশ। এটি ৪১টি বা ৪৪টি মৌজায় বিভক্ত।[২]
- ওয়ার্ডভিত্তিক এ ইউনিয়নের গ্রামগুলো হলো[৩]
ওয়ার্ড নং | গ্রামের নাম |
---|---|
১নং ওয়ার্ড | গয়েশপুর |
২নং ওয়ার্ড | গোয়ালপাড়া |
৩নং ওয়ার্ড | নতুনপাড়া, সদরপাড়া |
৪নং ওয়ার্ড | মেদিনীপুর |
৫নং ওয়ার্ড | হরিহরনগর, নবদূগাপুর |
৬নং ওয়ার্ড | বেনীপুর, ধান্যখোলা |
৭নং ওয়ার্ড | হরিপুর, হাবিবপুর, শাখারীয়া |
৮নং ওয়ার্ড | কয়া |
৯নং ওয়ার্ড | যাদবপুর, গঙ্গাদাসপুর |
অবস্থান ও সীমানা
সম্পাদনাসীমান্ত ইউনিয়নের বর্তমান কার্যালয়টি হরিপুরগ্রামে অবস্থিত। এ ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিমে ভারত, পূর্বে জীবননগর পৌরসভা, উত্তরে উথলী ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুর ইউনিয়ন পরিষদ। জীবননগর উপজেলা থেকে এ ইউনিয়নের দূরুত্ব ৫ কিলোমিটার এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে এ ইউনিয়নের দূরুত্ব ৩৭ কিলোমিটার।[৪]
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৯৭ সালে এই ইউনয়ন পরিষদটি স্থাপিত হয়। জীবননগর ইউনিয়ন জীবননগর পৌরসভায় উন্নীত হওয়ায় অবশিষ্ট গ্রামগুলি নিয়ে সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়। এ ইউনিয়নের গ্রামেগুলো সব সীমান্তবর্তী হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের নামকরণ করা হয় সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদ।[৪]
শিক্ষা ব্যবস্থা
সম্পাদনাএ ইউনিয়নে ৫টি মাদ্রাসা, ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[২]
যোগাযোগ ব্যবস্থা
সম্পাদনাজীবননগর উপজেলা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে সীমান্ত ইউনিয়নের চ্যাংখালী রাস্তা হয়ে শাখারিয়ার উপর দিয়ে সীমান্ত ইউনিয়নে যেতে হয়। সব ধরনের যানবাহনে এ ইউনিয়নে যোগাযোগ করা যায়।[৫]
খাল ও নদী
সম্পাদনাসীমাস্ত ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত খাল ও নদী গুলো হচ্ছে:[৬]
- বেনীপুর খাল
- হাবিবপুর খাল
- করতোয়া নদী
- শাখারিয়া নদী
অর্থনীতি
সম্পাদনাএ ইউনিয়নের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। এখানে ধান, পাট সহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদিত হয়।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "ইউনিয়ন সমূহ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ ঘ "এক নজরে সীমান্ত ইউনিয়ন"। shimanto.chuadanga.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "গ্রাম ভিত্তিক লোকসংখ্যা"। shimanto.chuadanga.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪।
- ↑ ক খ "সীমান্ত ইউনিয়নের ইতিহাস"। shimanto.chuadanga.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "যোগাযোগ ব্যবস্থা"। shimanto.chuadanga.gov.bd। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "খাল ও নদী"। shimanto.chuadanga.gov.bd। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪।