সিল্ক স্মিতা
বিজয়লক্ষ্মী ভদলাপতি (২রা ডিসেম্বর, ১৯৬০ - ২৩শে সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬, মঞ্চ নাম সিল্ক স্মিতা দিয়েই বেশি পরিচিত), ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যিনি মূলত দক্ষিণ ভারতীয় ছবিতে কাজ করেছেন। [১] তিনি অভিনেত্রী হিসাবে এই শিল্পে প্রবেশ করেছিলেন [২] এবং ১৯৭৯ সালের তামিল ছবি ভান্দিচক্রমে "সিল্ক" চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম নজরে পড়েছিলেন। তিনি একটি চূড়ান্ত যৌন প্রতীক হয়ে উঠে ছিলেনএবং ১৯৮০ দশকের সর্বাধিক কাঙ্ক্ষিত আবেদনময়ী অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন। [৩] ১৭ বছরের অভিনয় জীবনে তিনি মালায়ালাম, তামিল, তেলুগু, কন্নড় এবং হিন্দি ভাষায় ৪৫০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৯৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ের অ্যাপার্টমেন্টে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন।
সিল্ক স্মিতা | |
---|---|
জন্ম | বিজয়লক্ষ্মী ভদলপতি ২ ডিসেম্বর ১৯৬০ |
মৃত্যু | ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ | (বয়স ৩৫)
মৃত্যুর কারণ | আত্মহত্যা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | চলচ্চিত্র অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৭৯-১৯৯৬ |
পিতা-মাতা | রামল্লু, সরসাম্মা |
জীবনের প্রথমার্ধ
সম্পাদনাস্মিথার জন্ম তেলুগু পরিবারে, এলুরুর দেনদুলুরু মন্ডল, কোভভালি গ্রামের রামল্লু এবং সরসম্মার পরিবারে। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তিনি চতুর্থ শ্রেণিতে (যখন তার বয়স প্রায় ১০ বছর) থাকাকালে তিনি স্কুল ছেড়েছিলেন। তাঁর আকর্ষণীয় চেহারার কারণে কেউ তাঁর থেকে চোখ সরাতে পারতো না। এই কারণে তাঁর পরিবার তাকে খুব অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেন। তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর সাথে খারাপ ব্যবহার করলে স্মিতা সেখান থেকে পালিয়ে আসেন।[৪][৫]
পেশা
সম্পাদনাএক অভিনেত্রীর মেকআপ সহযোগী হিসাবে ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে স্মিতা তার অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন। [৪] পরে, এভিএম স্টুডিওর কাছে একটি ময়দা মিলের পরিচালক বিনু চক্রবর্তী তাকে আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি তার নাম পরিবর্তন করে স্মিতা রাখেন এবং তাঁকে তার বাসায় নিয়ে যান; তার স্ত্রী তাকে ইংরেজি শিখিয়েছিলেন এবং নাচ শিখানোর ব্যবস্থা করেছিলেন,[৬] যদিও শীঘ্রই, তাঁর চিহ্নিত যৌন আবেদনের কারণে তিনি ক্যাবারে নৃত্যশিল্পী এবং ভ্যাম্পের ভূমিকা পেতে থাকেন। ১৯৭৯ সালে সালে তামিল ছবি ভান্দিচক্রমে [৭] প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের পর তিনি প্রচুর প্রশংসা পেয়েছিলেন, তাই স্মিতা এই ছবির চরিত্রের নাম ''সিল্ক'' অনুসারে তাঁর পর্দার নাম গ্রহণ করেছিলেন। [৮][৯] এটি জনপ্রিয় হওয়ার পরেও, তিনি যৌন আবেদনময়ী চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব থেকে বাঁচতে পারেননি, তার পুরো অভিনয়জীবন জুড়ে তিনি এক সীমার মধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
স্মিতা তেলুগু, তামিল, মালয়ালম, কন্নড় এবং কয়েকটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর নৃত্যের সংখ্যা এবং মুনড্রু মুগমের মতো ছবিতে সাহসী অভিনয় তাঁকে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমায় যৌনতার চূড়ান্ত প্রতীক করে তুলেছিল। অমরান, হলি মেশত্রু (কন্নড়) এর মতো ছবিতে তাঁর আইটেম নাচগুলিও বক্স অফিসে সাড়া পেয়েছিল। কিছু ফিল্ম সমালোচক, ঐতিহাসিক এবং সাংবাদিকরা তাঁকে "হালকা অশ্লীল" অভিনেত্রী হিসাবে উল্লেখ করেছেন। [১০] তাঁর বেশিরভাগ সিনেমা ভারতীয় মানে "সফটকোর" হিসাবে বিবেচিত এবং একটি সাধারণ প্রসঙ্গ হল যতসামান্য বিকিনিতে এক খামখেয়ালী দৃঢ় এজেন্ট হিসাবে অভিনয় করা এবং মারধর করা। তাঁর অভিনয়ের দক্ষতা পুরোপুরি নজর এড়ায়নি, তাঁর বিরল অ-যৌন ভূমিকায় তিনি সমালোচক এবং শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। [৪] তাঁর একটি চলচ্চিত্র লায়ানাম (১৯৮৯) ভারতীয় প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র জগতে সংস্কৃতির মর্যাদা অর্জন করেছিল এবং হিন্দি সহ অসংখ্য ভাষায় ডাব করা হয়েছিল। (রেশমা কি জাওয়ানি, ২০০২) ছাড়াও আরো চলচ্চিত্র, সংস্কৃতির মান অর্জন করেছিল। [১১] তাঁর সবচেয়ে শ্রদ্ধেয় চলচ্চিত্রটি হল বালু মহেন্দ্র পরিচালিত মুন্দরাম পিরাই, হিন্দি পুনর্নির্মাণ সাদমা চলচ্চিত্র, যেখানে শ্রীদেবী, কমল হাসান এবং সিল্ক স্মিতা সহ অভিনেতাদের বেশিরভাগই পুনরাভিনয় করেছিলেন। [১২]
তামিল চলচ্চিত্রের ইতিহাসবিদ রেন্ডার গাইয়ের মতে তাঁর কর্মজীবনের শীর্ষে থাকার সময়, তাঁর দর্শক-আকর্ষণ শক্তি এমন ছিল, "বছরের পর বছর ধরে যে ছবিগুলি ক্যানের মধ্যে ছিল, সেগুলিতে সিল্ক স্মিতার গানের সংযোজন করেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল।" [৪]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাসিল্ক স্মিতার খুব কাছের বন্ধুদের একটি ছোট্ট বৃত্ত ছিল। তিনি একজন অন্তর্মুখী ছিলেন এবং কারও সাথে দ্রুত বন্ধুত্ব করেননি। তিনি তাঁর বদ মেজাজ, ইচ্ছাশক্তি এবং সোজাসাপটা জবাবের জন্যও পরিচিত ছিলেন। বাস্তবে, তিনি সময়ানুগ ছিলেন (শ্যুটিং শুরুর আগেই হাজির), দায়বদ্ধ এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী (স্বল্প পড়াশুনা সত্ত্বেও ইংরেজিতে সাবলীলভাবে কথা বলতে সক্ষম) ছিলেন। তিনি তাঁর বন্ধু এবং অনুরাগীদের দ্বারা একটি "নরম" এবং "শিশুসুলভ" ব্যক্তিত্বের অধিকারী হিসাবে বর্ণিত হয়েছেন। তিনি মেকআপে দক্ষ ছিলেন এবং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের আগে এটিকে নিজের পেশায় পরিণত করেছিলেন।
মৃত্যু
সম্পাদনা২৩ শে সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬ সালের সকালে তিনি তাঁর বন্ধু, নৃত্যশিল্পী অনুরাধার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন, বলেছিলেন যে একটা বিষয় নিয়ে তিনি আলোচনা করতে চান যা তাঁকে বিরক্ত করছে। বলেছিলেন তাঁর বাচ্চাকে স্কুলে রেখে এসেই তিনি দেখা করবেন।
পরে ঐ সকালেই, স্মিতাকে তাঁর চেন্নাইয়ের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, যা তাঁর ভক্তদের শোকে নিমজ্জিত করে অনেকটাই। তাঁর মৃত্যুর পেছনের কারণটি এখনও রহস্যই রয়ে গেছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে তাঁর ঋণ জমা হওয়া নিয়ে হতাশার কারণেই এটি হয়েছে, অন্যরা অব্যাহত অভিনয় সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে চলেছে। তাঁর মৃত্যুর কয়েকমাস পরে পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, শাড়ী দিয়ে পাখা থেকে নিজেকে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে স্মিতা মারা গিয়েছিলেন এবং তাঁর শরীরে প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল পাওয়া গিয়েছিল। [১৩][১৪]
উত্তরাধিকার
সম্পাদনা২০১১ সালে, দ্য ডার্টি পিকচার নামে সিল্ক স্মিতার জীবন থেকে অনুপ্রাণিত একটি চলচ্চিত্র হিন্দিতে একতা কাপুর প্রযোজনা করেছিলেন। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন মিলান লুথরিয়া [১৫] এবং অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালান (যিনি পরে সেরা অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন)। চলচ্চিত্রটি তামিল ও তেলুগু ভাষায় ডাব করা সংস্করণ সহ স্মিতার জন্মদিনে প্রকাশিত হয়েছিল (২ ডিসেম্বর ২০১১) এবং অনুকূল রিভিউ পেয়েছিল। খবরে বলা হয়েছে যে সিল্ক স্মিতার পরিবার, যার উপরে ছবিটি নির্মিত হয়েছে, তারা চলচ্চিত্রটি নিয়ে খুশি নন। স্মিতার ভাই, ভি নাগা ভারা প্রসাদ দাবি করেছেন যে, চলচ্চিত্রটি পরিবারের সম্মতি ছাড়াই নির্মিত হয়েছিল। [১৬] দাবির পরে, একতা কাপুর তাৎক্ষণিকভাবে দ্য ডার্টি পিকচার এর উদ্ধৃতি দিয়ে তাঁর বক্তব্য পরিবর্তন করেছিলেন যে এটি সিল্ক স্মিতার জীবনের ভিত্তিতে নয়। [১৭]
যাইহোক, ২০১৩ সালে, ডার্টি পিকচার: সিল্ক সাক্কাথ হট নামে একটি কন্নড় চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছিল, পাকিস্তানি অভিনেত্রী বীণা মালিক অভিনীত। ছবিটি সিল্ক স্মিতা অবলম্বনে ছিল এবং বীনা মালিক ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন। ছবিটি কর্ণাটকে জনপ্রিয় হয়েছিল।
২৪ মে ২০১৩ সালে সিল্ক স্মিতা চরিত্রে সানা খান অভিনীত ক্লাইম্যাক্স নামে একটি মালয়ালম ছবি মুক্তি পেয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Zainab Mulla (২ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Silk Smitha Happy Birthday: Top song videos of the bad girl of Southern cinema!"। India.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৬।
- ↑ Anupama Chopra (২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Why Silk Smitha is Bollywood's favourite bad girl"। NDTV Movies। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "The mysterious death of India's biggest sex symbol Silk Smitha"। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ ক খ গ ঘ "Silk Route: Ekta Kapoor's forthcoming film 'The Dirty Picture' revisits a sequins-and-pelvic-thrust era of Tamil cinema."। Mint। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ Kuldip, Hussain (২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬)। "Obituary"। The Independent cited in BNET। ১৭ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০০৬।
- ↑ "Chronicle of a death foretold"। Rediff India Abroad। ৪ এপ্রিল ১৯৯৭। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০০৯।
- ↑ "கவர்ச்சி நடனத்தால் ரசிகர்களைக் கவர்ந்த 'சில்க்' சுமிதா தூக்கில் தொங்கினார்"। Cinema.maalaimalar.com। ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ Staff Correspondent, Pradeep (২৬ অক্টোবর ২০০৬)। "Some reel-life role models"। Deccan Herald। ২২ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০০৬।
- ↑ Vicky Lalwani (২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। "Ekta slams Silk Smitha's boyfriend"। The Times of India। ২৭ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২০।
- ↑ Sebastian (৬ মার্চ ২০০৫)। "Magic workers"। The Hindu। ২৯ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০০৬।
- ↑ Bhattacharya, Roshmila (৮ নভেম্বর ২০০২)। "Sex Sells"। Screen Weekly। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০০৬।
- ↑ Ashok Kumar, SR (৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬)। "A saga of success"। The Hindu। ২১ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০০৬।
- ↑ "'சுமிதாவுக்கு திருமணத்தில் நம்பிக்கை இல்லை': 'சில்க்' சுமிதாவின் காதலர் பேட்டி"। Cinema.maalaimalar.com। ২১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "'எனக்கு வாழ்க்கை தருவதாக"। ১৪ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Vidya's nothing like Silk"। Pune Times of India। ২ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ "'The Dirty Picture' irks Silk's kin"। Indianexpress.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১২।
- ↑ "THE DIRTY PICTURE is not about Silk Smitha! – Bollywood news"। glamsham.com। ৭ নভেম্বর ২০১১। ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১২।
আরও পড়া
সম্পাদনা- আশীষ রাজাধ্যক্ষ, ভারতীয় চলচ্চিত্রের বিশ্বকোষ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস, ১৯৯৪ (আইএসবিএন ০-৮৫১৭০-৬৬৯-X)
- রূপা স্বামীনাথন, স্টার ডাস্ট: ভিগেনেটস ফ্রম দ্য ফ্রিঞ্জেস অব দ্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, পেঙ্গুইন, ২০০৪ (আইএসবিএন ০-১৪-৩০৩২৪৩-৭)
- সুপর্ণা ভাস্করান, মেড ইন ইন্ডিয়া: ডিকোলোনাইজেশন, কুইর সেক্সুয়ালিটিস, ট্রান্স/ন্যাশনাল প্রজেক্টস, পালগ্রাভ ম্যাকমিলান, ২০০৪ (আইএসবিএন ১-৪০৩৯-৬৭২৬-১)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে সিল্ক স্মিতা (ইংরেজি)