সিলভিয়া সিডনি
সিলভিয়া সিডনি (ইংরেজি: Sylvia Sidney; জন্ম: সোফিয়া কোসো, ৮ আগস্ট ১৯১০ - ১ জুলাই ১৯৯৯)[১] ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি ৭০ বছরের অধিক সময় ধরে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৩০-এর দশকে একাধিক চলচ্চিত্রে মুখ্য চরিত্রে কাজ করে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। তিনি পরবর্তীতে টিম বার্টনের বিটলজুস চলচ্চিত্রে জুনো চরিত্রের জন্য পরিচিতি অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে স্যাটার্ন পুরস্কার জয় করেন। এছাড়া তিনি সামার উইশেস, উইন্টার ড্রিমস (১৯৭৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
সিলভিয়া সিডনি | |
---|---|
Sylvia Sidney | |
জন্ম | সোফিয়া কোসো ৮ আগস্ট ১৯১০ দ্য ব্রন্ক্স, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ১ জুলাই ১৯৯৯ | (বয়স ৮৮)
মৃত্যুর কারণ | খাদ্যনালীর ক্যান্সার |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯২৫–১৯৯৮ |
দাম্পত্য সঙ্গী | বেনেট সার্ফ (বি. ১৯৩৫; বিচ্ছেদ. ১৯৩৬) লুথার অ্যাডলার (বি. ১৯৩৮; বিচ্ছেদ. ১৯৪৬) কার্লটন আলসপ (বি. ১৯৪৭; বিচ্ছেদ. ১৯৫১) |
সন্তান | জ্যাকব (১৯৩৯–১৯৮৭) |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাসিডনি ১৯১০ সালের ৮ই আগস্ট নিউ ইয়র্কের দ্য ব্রন্ক্সে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার জন্মনাম সোফিয়া কোসো।[২] তার মাতা রেবেকা (জন্মনাম: সাপেরস্টাইন) ছিলেন একজন রোমানীয় ইহুদি এবং তার পিতা ভিক্তর কোসো ছিলেন একজন রুশ ইহুদি অভিবাসী, যিনি কাপড় বিক্রয়কর্মী ছিলেন।[৩] ১৯১৫ সালে তার পিতামাতার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তার সৎপিতা সিগমুন্ড সিডনি তাকে দত্তক নেন। সিগমুন্ড একজন দন্তচিকিৎসক ছিলেন। তার মাতা পোশাক প্রস্তুতকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে বিয়াত্রিচ সিডনি রাখেন।[৪]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাসিডনি তিনবার বিয়ে করেন। ১৯৩৫ সালের ১লা অক্টোবর তিনি প্রকাশক বেনেট সার্ফকে বিয়ে করেন। ছয় মাস পর ১৯৩৬ সালের ৯ই এপ্রিল তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তিনি পরে ১৯৩৮ সালে অভিনেতা ও অভিনয়ের শিক্ষক লুথার অ্যাডলারকে বিয়ে করেন। তাদের সন্তান জ্যাকব ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করে এবং সে ১৯৮৭ সালে লাউ গেহরিগ রোগে মারা যায়। ১৯৪৭ সালে অ্যাডলারের সাথে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়।[২] ১৯৪৭ সালের ৫ই মার্চ তিনি বেতার প্রযোজক ও ঘোষক কার্লটন আলসপকে বিয়ে করেন। ১৯৫১ সালের ২২শে মার্চ তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
মৃত্যু
সম্পাদনাসিডনি খাদ্যনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৯ সালের ১লা জুলাই নিউ ইয়র্ক সিটির লেনক্স হিল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। তার মরদেহ দাহ করা হয়।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Sylvia Sidney Biography (1910-)"। ফিল্ম রেফারেন্স। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ ক খ গ "Sylvia Sidney, 30's Film Heroine, Dies at 88"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। জুলাই ২, ১৯৯৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ বার্গেন, রোনাল্ড (জুলাই ৬, ১৯৯৯)। "Obituary: Sylvia Sidney"। দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। লন্ডন। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Sylvia Sidney Sued By Father"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। নভেম্বর ১৯, ১৯৩৩। পৃষ্ঠা 20। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৮।