সিমতোখা ডিজং
সিমতোখা ডিজং (ডিজং এর অর্থ প্রাসাদ-আশ্রম)[১]) সাংগাক যাবধন ফোডরাং (ভুটানি ভাষা অর্থ: " অগাধ গুপ্ত মন্ত্রের প্রাসাদ"), ভুটানের একটি ছোট ডিজং যা ১৬২৯ সালে যাবদ্রাং নাগাওয়াং নামগিয়াল, যিনি ভুটানকে একত্রিত করেছিলেন, নির্মাণ করেছিলেন।ভুটানে এটি তাদের নির্মিত প্রথম প্রাসাদ।[২] একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ এবং আগেরকার বৌদ্ধ আশ্রম, বর্তমানে এটি ডিজংখা ভাষা শিক্ষণের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি এটিতে সংস্কারের কাজ চলছে। [২]
সিমতোখা ডিজং | |
---|---|
স্থানাঙ্ক: | ২৭°২৬′১৭″ উত্তর ৮৯°৪০′১০″ পূর্ব / ২৭.৪৩৮০৬° উত্তর ৮৯.৬৬৯৪৪° পূর্ব |
মঠের তথ্য | |
অবস্থান | থিম্পু, ভুটান |
প্রতিষ্ঠাতা | নাগাওয়াং নামগিয়াল |
স্থাপিত | ১৬২৯ |
ধরন | তিব্বতি বৌদ্ধধর্ম |
স্থাপত্যশিল্প | ডিজং স্থাপত্য |
ইতিহাস
সম্পাদনাসিমতোখা ডিজং, ১৬২৯ সালে যাবদ্রাং নাগাওয়াং নামগিয়াল কর্তৃক নির্মিত, ধর্মীয় আশ্রম এবং প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং সবচেয়ে পুরাতন ডিজং যা এখনো পর্যন্ত তার মূল রূপে বিদ্যমান।[২] নামগিয়াল ভুটানে সর্বপ্রথম ডিজং বা প্রাসাদকে আশ্রম হিসেবে গড়ে তোলার ধারণার প্রবর্তন করেন।[১] পাঁচজন বিপদগ্রস্ত লামা অধিবাসী তিব্বতীয় সেনাবাহিনীদের সহযোগিতায়, যারা যাবদ্রাং এর নেতৃত্বে ডিজং এ ধর্মীয় আচার পালনের বিরোধী ছিল, ডিজং এর উপর হামলা করে। হামলায় তারা পরাজিত হয়েছিল এবং পালদেন লামা যিনি ঐ হামলকারী দলের প্রধান ছিলেন তিনি ঐ যুদ্ধে নিহত হন। ১৬৩০ সালে তিব্বতীয়দের দ্বারা ডিজং এর উপর আরেকটি হামলা ঘটে, ডিজং এ আগুন না লাগা পর্যন্ত হামলাকারীরা সফল ছিল; কিন্তু ডিজং এর ছাদ ধ্বসে পড়লে হামলাকারীরা সবাই মৃত্যুবরণ করে।[২]
ডিজং এর প্রথম সংস্কার ও সম্প্রসারণ কাজ মিংয়ুর থেম্পা কর্তৃক ১৬৭০ সালে শুরু হয়েছিল। পরবর্তী বছরগুলোতেও অনেক সংস্কার কাজ চলে এবং সর্বশেষ পালিশের কাজ জাপানের স্থপতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।[২] কথিত আছে যে ডিজংটি এর পাশেই অবস্থিত একটি পাহাড়ের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া দৈত্যের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে নিরাপত্তা প্রদান করত এবং তাই নামটি ‘সিমতোখা’ যার অর্থ "সিম্মো" (দৈত্যগণ) এবং ‘ডো’ যার অর্থ "পাহাড় বা শিলা" থেকে নেওয়া হয়েছে।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Fellowship 1994, পৃ. 85।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Brown ও Mayhew 2014, পৃ. 144।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Bernier, Ronald M. (১৯৯৭)। Himalayan Architecture। Fairleigh Dickinson Univ Press। আইএসবিএন 978-0-8386-3602-2।
- Berry, Steven K. (১ জানুয়ারি ১৯৮৮)। The Thunder Dragon Kingdom: A Mountaineering Expedition to Bhutan। Crowood। আইএসবিএন 978-1-85223-146-0।
- Brown, Lindsay; Mayhew, Bradley (১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। Lonely Planet Bhutan। Lonely Planet Publications। আইএসবিএন 978-1-74321-947-8।
- Fellowship, World Education (১৯৯৪)। New Era in Education। World Education Fellowship।
- Khyentse, Dilgo; Rinpoche, Sogyal (জানুয়ারি ২০১০)। Brilliant Moon: The Autobiography of Dilgo Khyentse। Shambhala Publications। আইএসবিএন 978-1-59030-763-2।