সা’দ ইবনে খাইসামা

সা’দ ইবনে খাইসামা (আরবী:سعد بن خیثمة) । দ্বিতীয় আকাবায় অংশগ্রহণকারী এবং বদরের যুদ্ধের শহীদদের মধ্যে অন্যতম। হিজরতের সময় মুহাজিরদের যেসব আনসার সাহাবী মেহমানদারী করেছিলেন সা’দ ইবনে খাইসামা তাদের অন্যতম।

সা’দ ইবনে খাইসামা
(আরবি): সা’দ
জন্ম	সা’দ ইবনে খাইসামা মদীনা, হেজাজ, আরব অঞ্চল (বর্তমান সৌদি আরব)
মৃত্যু	দ্বিতীয় হিজরী বদর প্রান্তর
অন্যান্য নাম	আবু আব্দুল্লাহ, আবু খাইসামা
সন্তান	আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ
পিতা-মাতা	পিতা-খাইসাম ইবনে হারেস মাতা- হিন্দ বিনতে আউস

নাম ও বংশ

বংশধারা- সা’দ ইবনে খাইসামা ইবনে হারেস ইবনে মালিক ইবনে সাআব ইবনুন নুহাত ইবনে কা’ব ইবনে হারেসা ইবনে গানাম ইবনে সালাম ইবনে ইমরাউল কায়েস ইবনে মালিক ইবনে আউস আল-আনসারী। উপনাম-আবু খাইসাম বা আবু আবদুল্লাহ। তার পিতা খাইসামা সাহাবী ছিলেন। তিনি উহুদ যুদ্ধে শহীদ হয়ে ছিলেন। তাকে আমর বিন আউফের আমির হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছিল।

কোবায় মেযবান

নবী করীম যখন মদীনা এসেছিলেন তখন তিনি আমর ইবনে আওফ গোত্রের বাসিন্দা হন এবং প্রথমে কুলসুম ইবনুল হাদামের বাড়িতে অবস্থান করেন। ঐ সময়ে তিনি সা’দের বাড়ীতে আসেন এবং মুহাজির ও আনসারদের সাথে সাক্ষাত করেন। এই জন্য সা’দ ইবনে খাইসামার বাড়ী মনজিল আল-আযাব নামে পরিচিত ছিল। মক্কা থেকে আগত মুহাজির প্রথম এই বাড়ীতেই অবস্থান করতেন।

বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ

দ্বিতীয় হিজরীতে যখন বদর যুদ্ধের সময় চলে আসে তখন তার বাবা সিদ্ধান্ত নিলেন একজন ঘরে থাকবেন আরেকজন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন। কে যুদ্ধে যাবে এ নিয়ে তাদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিল। মতপার্থক্য দূর করার জন্য লটারী করল, লটারীতে ছেলের নাম আসল। পিতা বললেন, আমাকে তোমার অধিকারটি দিয়ে দাও। কিন্তু সা’দ বলেছিলেন যে জান্নাত ব্যতীত অন্য কিছু থাকলে আমি আমার অধিকার দিয়ে দিতাম। সুতরাং সা’দ বদরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

মৃত্যু

তিনি দ্বিতীয় হিজরী বদর যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেছেন। তাকে তুআইমা ইবনে আদী বা আমর ইবনে আবদুদ শহীদ করেছে।