সালাহউদ্দীন (ক্রিকেটার)
সালাহউদ্দীন মোল্লা (জন্ম: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৭) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের উত্তরপ্রদেশের আলীগড় এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সালাহউদ্দীন মোল্লা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | আলীগড়, উত্তরপ্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে - ভারত) | ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | সাল্লু | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | শাহাবুদ্দীন (ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫২) | ২৭ মার্চ ১৯৬৫ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩০ অক্টোবর ১৯৬৯ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ আগস্ট ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে করাচি ও পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘সাল্লু’ ডাকনামে পরিচিত সালাহউদ্দীন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৬৪-৬৫ মৌসুম থেকে ১৯৭৯-৮০ মৌসুম পর্যন্ত সালাহউদ্দীনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বন্দর নগরী করাচিতে সালাহউদ্দীনের জন্ম। মাত্র ছয়টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের পরপরই ১৮ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন।
ধ্রুপদী ঢংয়ে ডানহাতে অপূর্ব ড্রাইভে খেলায় অংশ নিতেন। এছাড়াও, ধীরলয়ের অফ ব্রেক বোলিংয়ের মাধ্যমে বোলিং আক্রমণ পরিচালনা করতেন তিনি। সংক্ষিপ্ত খেলোয়াড়ী জীবনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তেমন সাড়া জাগাতে পারেননি। কিন্তু, ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়ানৈপুণ্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। স্কটল্যান্ডের ক্লাব ক্রিকেটেও সফলতার সাথে খেলেছেন। এক পর্যায়ে তিনি দেশান্তরী হন ও স্কটল্যান্ডে নিবাস গড়েন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন সালাহউদ্দীন। ২৭ মার্চ, ১৯৬৫ তারিখে রাওয়ালপিন্ডিতে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩০ অক্টোবর, ১৯৬৯ তারিখে লাহোরে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৬৭ সালে একবার ইংল্যান্ড গমন করেন। তবে ঐ সফরে তাকে কোন টেস্ট খেলায় রাখা হয়নি।
প্রশাসনে অংশগ্রহণ
সম্পাদনাক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে খ্যাতি কুড়ান। ১৯৮০ সালের পর থেকে নয়বার ভিন্ন ভিন্ন দল নির্বাচক কমিটির সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি, দুইবার প্রধান দল নির্বাচক হন।
২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর ওয়াসিম বারি’র পরিবর্তে তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর অবশ্য আবারও প্রশাসনিক পরিবর্তন আসে। এছাড়াও, ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় সফলতার সাথে খেলোয়াড়ী জীবন অতিক্রম করা করাচি দলের নির্বাচক হিসেবে তিনি দায়িত্বে ছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Salahuddin"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে সালাহউদ্দীন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে সালাহউদ্দীন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)