সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের অন্যতম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
ঠিকানা
বণিক পাড়া উওর মৌড়াইল, গোকর্ণ রোড ব্রাহ্মণবাড়িয়া , ৩৪০০ বাংলাদেশ
তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরন	সরকারি
নীতিবাক্য	আলো আরো আলো
প্রতিষ্ঠাকাল	১৯৬৪ ইং
প্রতিষ্ঠাতা	জনাব আবদুস সোবহান
অবস্থা	সক্রিয়
বিদ্যালয় বোর্ড	কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড
বিদ্যালয় জেলা	ব্রাহ্মণবাড়িয়া
কর্তৃপক্ষ	বাংলাদেশ সরকার
বিভাগ	উচ্চ বিদ্যালয়
নিয়ন্ত্রক	মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড
সেশন	ডিসেম্বর-জানুয়ারি
বিদ্যালয় কোড	১০৩২১৬
ইআইআইএন	১০৩২১৬
প্রধান শিক্ষক	মো:বদিউজ্জামান ভূঞা
অনুষদ	মানবিক, বিজ্ঞান, বাণিজ্য
শিক্ষকমণ্ডলী	৪৯
কর্মচারী	৬
শ্রেণি	৬ষ্ঠ-১০ম
লিঙ্গ	নারী
বয়সসীমা	১২-২০
শিক্ষার্থীর সংখ্যা	১৭০০+
ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত	৩৫:১
শিক্ষা ব্যবস্থা	সরাসরি
ভাষা	বাংলা
সময়সূচির ধরন	প্রভাতী - দিবা
সময়সূচি	০৭:০০ ঘটিকা হতে ১২:০০ ঘটিকা; ১২:০০ ঘটিকা হতে ০৫:০০ ঘটিকা
শ্রেণিকক্ষ	২২+
শিক্ষায়তন	১.১৭ একর
ক্যাম্পাসের ধরন	শহুরে
হাউস	১
রং	হলুদ
ডাকনাম	সাবেরা, সাসোসবাউবি, এসএসজিজিএইচএস
ওয়েবসাইট	http://www.ssgghs.edu.bd/

অবকাঠামো

বিদ্যালয়টি ইউ আকারে ত্রিতল ভবন বিশিষ্ট। বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে একটি খেলার মাঠ রয়েছে। মাঠের উত্তর পূর্ব কোণে বাগানের পাশে একটি শহীদমিনার রয়েছে।

ইতিহাস

১৯৬৪ খ্রি. তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক জনাব আব্দুস সোবহান মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতায় ও তৎকালীন পৌরসভা চেয়ারম্যান জনাব আজিজুর রহমান মোল্লা, মুন্সি আবদূল কাদির সহ শহরের অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের একান্ত প্রচেষ্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ কান্দিপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে বিদ্যালয়টি সর্বপ্রথম প্রাতিষ্ঠানিক রুপ নেয় এবং তখনকার গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ছিলেন জনাব আজিজুর রহমান মোল্লা।

বিদ্যালয়টির নাম মহকুমা প্রশাসক মহোদয়ের সহধর্মিনীর নামে সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণ করা হয়।

তখন প্রাক্তন জমিদার চন্নু মিয়া সাহেবের ছেলে (কাজীপাড়া) জনাব এনায়েত উল্লাহ সাহেব প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে জনাব আজিজুর রহমান মোল্লা ও বাবু উমেষ বণিক এর প্রচেষ্টায় বর্তমান স্থানে (উত্তর মৌড়াইল) বিদ্যালয়টিকে স্থানান্তর করা হয়।

১৯৬৪ সনে (১ম- ৬ষ্ঠ)শ্রেণি চালু করা হয়। পরবর্তীতে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হয় ও ৬ষ্ঠ- ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত জাতীয়করণ হয় এবং সর্বমোট শাখা ছিল ১২টি । পরে ২০১০ খ্রি. বর্তমান সরকার বিদ্যালয়টিতে ডাবল শিফট চালু করে। বর্তমানে দিবা ১২টি শাখা ও প্রভাতি শিফটে ১০টি শাখা চালু আছে।

অর্জন

বিদ্যালয়টি জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে সুনামের সাথে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন পদক অর্জন করে আসছে।

1. মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় মেধা তালিকায় বিভিন্ন স্থান দখল করে আসছে।
2. ২০১০,২০১১ ও ২০১২ সালের জেএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয়টি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে যথাক্রমে ১৮তম,১৯তম ও ২০তম স্থান দখল করেছে।
3. ২০১০ সনের এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় বিজ্ঞান বিভাগ হতে একজন শিক্ষার্থী ১ম স্থান অধিকার করেছে।
4. ২০১১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১ম স্থান করেছে অধিকার করেছে।
5. ২০১২ সনের এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় বিজ্ঞান বিভাগ হতে একজন শিক্ষার্থী ১ম স্থান অধিকার করেছে।
6. ২০১২ সালের ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষায় ৩৮ জন বৃত্তি পেয়েছে।

অবস্থান

বিদ্যালয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র উত্তর মৌড়াইল, বণিক পাড়া, গোকর্ণ রোডের পাশে অবস্থিত।

বহিঃসংযোগ

• প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট