সাঈদ হায়দার
সাঈদ হায়দার (আনুমানিক ২০ ডিসেম্বর, ১৯২৫-১৫ জুলাই ২০২০) একজন বাংলাদেশী ডাক্তার, লেখক ও ভাষা সৈনিক ছিলেন। তিনি ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি একুশের চেতনা পরিষদের সহসভাপতি ও প্রথম শহীদ মিনারের অন্যতম সহযোগী নকশাবিদ।[১] ভাষা আন্দোলনে তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৬ তাকে একুশে পদক প্রদান করে।[২]
সাঈদ হায়দার | |
---|---|
জন্ম | আনুমানিক ২০ ডিসেম্বর, ১৯২৫ |
মৃত্যু | ১৫ জুলাই ২০২০ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা মেডিকেল কলেজ পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | চিকিৎসক |
পুরস্কার | একুশে পদক (২০১৬) |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাহায়দার ১৯২৫ সালের ৫ পৌষ পাবনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে আইএ পাশ করেন।
হায়দার কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হলেও দেশ ভাগের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি সহশিক্ষার্থীদের মধ্যে সবার বয়োজ্যেষ্ঠ ছিলেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৫৮ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণস্বাস্থ্যে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা নেন।[৩]
ভাষা আন্দোলন
সম্পাদনাতিনি ভাষা আন্দোলন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৫২ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ছাত্ররা প্রথম শহীদ মিনার গড়ে তোলেন আর এর নকশা করেন বদরুল আলম, বদরুল আলমকে সহযোগিতা করেছিলেন সাঈদ হায়দার, যা ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংস করে দেয়।[৩]
কর্মজীবন
সম্পাদনাতিনি ইপিআইডিসির প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ছিলেন। চাকরির ধারাবাহিকতায় বিটিএমসি থেকে ১৯৮৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
গ্রন্থ
সম্পাদনা- রোগ নিরাময় সুস্থ জীবন (১৯৬৯)
- লোকসমাজ চিকিৎসাবিজ্ঞান
- পিছু ফিরে দেখা (আত্মজীবনী)
- রবীন্দ্রজীবনের তিন অধ্যায়
- শিক্ষাবিদ সদরুদ্দিন আহমেদের জীবন কথা, তার কথা, আমার কথায়।
- The Language Movement
- ডেভিডসনের চিকিৎসা বিজ্ঞান মুলসূত্র ও প্রয়োগ
- উপমহাদেশে বিভাজনের রাজনীতি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ
- ওরমা, যেয়ারত, হ্বজ
- ছবিতে, স্মৃতিতে, প্রেম ও প্রীতিতে
- সুন্দরী হতে হলে
- নেশা সর্বনাশা
- ওষুধ নিয়ে কথা
- ইরাবতীর তীরে, প্যাগোডার নীড়ে
- দিল্লীতে পনের দিন, বেড়ানো ও চিকিৎসা
- বাংলা ভাষা, সাহিত্য নিদর্শন এবং
- Rashid, Khabir, Hyders's Community Medicine and Public Health
- Prescriber's Guide
- নানা পেশার স্বাস্থ্যকথা, নানা শিল্পের গল্পগাথা
পুরস্কার
সম্পাদনামৃত্যু
সম্পাদনা২০২০ সালের জুনে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরে করোনামুক্ত হলেও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। এর পর থেকে তিনি ঢাকার উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৫ জুলাই ২০২০ সালে তিনি সেখানে মৃত্যুবরণ করেন।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "রক্ত ঝরেছে বলেই ওরা আমাদের ভাষা কেড়ে নিতে পারেনি"। কালের কণ্ঠ। ২০১৭-০১-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১২।
- ↑ "ভাষাসংগ্রামী ডা. সাঈদ হায়দার আর নেই"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২০।
- ↑ ক খ "চলে গেলেন ভাষাসংগ্রামী ডা. সাঈদ হায়দার"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২০।
- ↑ "ভাষাসৈনিক সাঈদ হায়দার আর নেই"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২০।