সর্বজনীন পরিষদ বা সাধারণ পরিষদ হলো বিশপ ও অন্যান্য গির্জা কর্তৃপক্ষের সভা যা খ্রিস্টান মতবাদ, প্রশাসন, শৃঙ্খলা এবং অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্ন বিবেচনা এবং শাসন করার জন্য,[] যেখানে ভোটের অধিকারী ব্যক্তিরা সমগ্র বিশ্বের (একুমিন) থেকে সমাহূত হয় এবং যা সমগ্র মণ্ডলীর অনুমোদন নিশ্চিত করে।[]

চ্যালকেদোনীয় খ্রিস্টধর্ম সমন্বিত প্রাচ্য এবং পশ্চিমা উভয় সম্প্রদায়ের দ্বারা স্বীকৃত প্রথম সাত সার্বজনীন পরিষদ, রোমান সম্রাটদের দ্বারা সমাবর্তিত হয়েছিল, যারা রোমান সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রীয় মণ্ডলীর মধ্যে সেই পরিষদের সিদ্ধান্তগুলিকেও বলবৎ করেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তৃতীয় সার্বজনীন পরিষদ থেকে শুরু করে, লক্ষণীয় মতবিরোধের কারণে কিছু সদস্য অ-অংশগ্রহণের দিকে পরিচালিত হয় যা আগে একক খ্রিস্টান মণ্ডলী হিসাবে বিবেচিত হত। এইভাবে, খ্রিস্টধর্মের কিছু অংশ পরবর্তী পরিষদে যোগ দেয়নি, বা অংশগ্রহণ করেনি কিন্তু ফলাফল গ্রহণ করেনি।প্রাচ্য সনাতনপন্থী মণ্ডলী নামে পরিচিত বিশপরা সাত সার্বজনীন পরিষদ গ্রহণ করে। প্রাচ্যের মণ্ডলীরা নামে পরিচিত বিশপরা প্রথম দুটি পরিষদে এবং প্রাচ্য-সম্পর্কীয় সনাতনপন্থী নামে পরিচিত বিশপরা প্রথম চারটি পরিষদে অংশগ্রহণ করে, কিন্তু চতুর্থ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে এবং পরবর্তী কোনো সার্বজনীন পরিষদে যোগ দেয়নি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

সার্বজনীন এবং কর্তৃত্বপূর্ণ হিসাবে পরিষদের গ্রহণযোগ্যতা বিভিন্ন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। খ্রিস্টতত্ত্ব এবং অন্যান্য প্রশ্ন নিয়ে বিবাদের কারণে কিছু শাখা কিছু পরিষদকে প্রত্যাখ্যান করেছে যা অন্যরা গ্রহণ করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Council | Christianity"Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  2. "Catholic Encyclopedia"। ১৩ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০০৬ 

আরও পড়ুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা