সরহ পা

ভারতীয় কবি

সরহ পা বা সরহপাদ বা রাহুলভদ্র একজন বৌদ্ধ মহাসিদ্ধচর্যাপদের গীতিকার ছিলেন।

সরহ পার ব্রোঞ্জ মূর্তি
 
সরহ পার রচনায় ওড়িয়া লিপির সাথে মিল

সরহ পার জন্ম পূর্ব ভারতের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে হয়। তিনি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করেন।[][] সরহ পাকে বাংলা ভাষার ও প্ৰথম ওড়িয়াঅঙ্গিকা কবি এবং প্রাচীনতম মহাসিদ্ধ রূপে অনুমান করা হয়। তিনি অষ্টম শতাব্দীর বিখ্যাত বৌদ্ধ পণ্ডিত শান্তরক্ষিতের[] শিষ্য হরিভদ্রের ছাত্র ছিলেন। সেই হিসেবে সরহ পা অষ্টম শতাব্দীর শেষ বা নবম শতাব্দীর প্রথমার্ধের সময়কালের মানুষ বলে মনে করা হয়।[] তিনি লুই পার শিক্ষক ছিলেন ও শবর পাকে শিক্ষা দান করেন।

সরহপা : তান্ত্রিক যোগাচার পালনের সহজ আদর্শ সরহপাদের চর্যাগানের মূল বিশেষত্ত্ব। বৌদ্ধপণ্ডিত তারানাথ, সরহপা ও শবরপাকে একই ব্যক্তি বলে মনে করেছেন এবং সরহপাদাকে ‘আদি সিদ্ধাচার্য’ বলে মনে করেন।  সরহপাকে চর্যাগীতিকার প্রধান কবি বলেও মান্য করা হয়।  সংগত কারণে প্রশ্ন উঠে আদি সিদ্ধাচার্য বলতে কি বুঝি?

সরহপা ‘সহজ’ বা নৈসর্গিক জীবনাবেদন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনিই ছিলেন ‘সহজবাদের’ প্রথম আচার্য তাই তার মতবাদকে ‘সহজবাদ’ বলা হয়। সরহপা বলেছেন-‘জ্ঞানহীন প্রব্রজ্যায় থাকে এবং গৃহী বসন্তে ভার্যার সঙ্গে থাকে।’ সরহপাদা জীবনে ভোগকে ত্যাজ্য করেননি কিন্তু ভোগের প্রতি আসক্তিকে ত্যাজ্য করেছেন। তিনি আসক্ত জীবনের বিরোধী ছিলেন। সরহ ভিক্ষুদের চীবর প্রত্যাখ্যান করেন এবং তাদের নিয়মও অস্বীকার করেছিলেন। সরহপাদ বলেছেন ‘বিষয়ের মধ্যে রমণ করতে কিন্তু বিষয়ে লিপ্ত হবে না। পানি তুলতে গিয়ে পানি স্পর্শ করবেনা।’ রাহুল সাংকৃত্যায়ন বলেছেন যে, সরহ শুধু যোগী নন, যোগীশ্বর ছিলেন।

বৌদ্ধ দর্শনের আদি সিদ্ধ পুরুষ মহামানব বুদ্ধ, সরহপা যদি আদি সিদ্ধাচার্য হন, তাহলে মহামতি বুদ্ধের অবস্থান কোথায়?

কে প্রাচীন আর কে অর্বাচীন? মহামতি বুদ্ধ যদি প্রাচীন হন তাহলে, সরহপাদা কোন দর্শনের (ধর্মের) আদি সিদ্ধ পুরুষ?

সে প্রশ্নের উত্তর অদ্যাবধি কেউ ব্যাখ্যা করেন নি। আমরা চর্যাগীতিকাতে পাওয়া সরহপাদার রচিত চারটি চর্যাগীতির আলোচনা করে তার সৃষ্ট ধর্ম ও দর্শনের সিদ্ধান্তে উপনিত হতে চেষ্টা করবো।

২২ নং গানে অচিন্ত্য যোগীর জন্ম-মরণ-বন্ধন ছেদের কথা, ৩২ নং গানে বাহ্য উপকরণ ও জপতপের পরিবর্তে সাধকের সহজপন্থী আত্মজ্ঞান লাভের কথা, ৩৮ ও ৩৯ নং গানে সাধকের পক্ষে গুরুর উপর নির্ভর শীলতা ও সহজ পথ অবলম্বনের নির্দেশ আছে। তাছাড়া গানে পারিভাষিক শব্দের সংখ্যাও অত্যন্ত কম। এতেও পদকর্তার প্রাচীনতার প্রমাণ পাওয়া যায়।  চুরাশি সিদ্ধ কাহিনী মতে, ‘তার সময় রত্নফলের রাজত্ব কাল। ‘রত্নফল’ রামপাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।  সে মোতাবেক সরহপার সময় দাঁড়ায় খ্রিস্টিয় ১০৭৭ থেকে খ্রিস্টিয় ১১২০ অব্দের মধ্যে। রাহুল সাংকৃত্যায়ণ সরহপাদার সময় ধরেছেন ধর্মপালের রাজত্ব কাল খ্রিস্টিয় ৭৭০ থেকে ৮১৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে। শরৎচন্দ্র দাশের মত, ‘নাগার্জ্জুনের শিক্ষক ও আধ্যাত্মিক গুরু সরহপাদার বদৌলতে খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে নালন্দার গৌরব ও উপযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছিল।’

তন্ত্রপন্থী (তান্ত্রিক) নাথ দর্শনের আদি সিদ্ধ পুরুষ যদি সরহপা হয়, তবে তার সময় খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে হওয়া সম্ভবনা বেশি। কারণ, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য যে খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকের আগেই সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল, তার প্রমাণ রয়েছে ‘ললিতবিস্তর’ গ্রন্থে।

জানা যায়, সরহপা মদ্যপ ও তান্ত্রিক, প্রচলিত সকল ধর্মমতের বিরোধী। তিনি সাধন সঙ্গীনি গ্রহণ করেছিলেন। কামুকতা বৌদ্ধ শূন্যবাদি দর্শনে নেই। ফলে, সাধারণ ভাবে বলা যায়-সাধন সিদ্ধির প্রয়োজনে তিনি নালন্দা ত্যাগ করেছিলেন এবং সিদ্ধি লাভের প্রয়োজনে সঙ্গীনি গ্রহণ করেন এবং সেই সঙ্গীনির উপদেশে তিনি সিদ্ধি প্রাপ্ত হন। প্রচলিত সকল ধর্মের বিরোধীতাই তাঁকে তান্ত্রিক ‘নাথধর্মে’র প্রতিষ্ঠাতা আদি সিদ্ধ পুরুষের মর্যদা দিয়েছে।

তারানাথের মতে, মহাসিদ্ধ শবরপাদার নামান্তর সরহপাদা। তিনি লূইপাদের গুরু ছিলেন। চর্যাগীতির ২৮ নং কবিতাটি শবরপাদার নামে থাকলেও এ কবিতাটি সরহপাদার বলে উল্লেখ করেছেন সৈয়দ আলী আহসান।  তাহলে শবরপাদার নামে চর্যায় উল্লেখিত ৫০ নং কবিতাটি কার? এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায় না সৈয়দ আলী আহসানের আলোচনায়। ফলে, সরহপাদা এবং শবরপাদা পৃথক ব্যক্তি বলেই রয়ে যায়। ‘‘সরহপাদের ‘কথস্য দোহা’ তন্ত্রের মন্ত্র নির্মাণের উপযোগী’’ বলে মনে করা হয় । কিন্তু তন্ত্রের মন্ত্র এসেছে আগে, সরহপাদার ‘কথস্য দোহা’ এসেছে পরে। এ কারণেই বলা যায়, সরহপাদার ‘কথস্য দোহা’ তন্ত্রের মন্ত্র অনুসরণ করেই লেখা হয়েছিল। সংস্কৃত ভাষায় সরহপাদার অনেকগুলি তান্ত্রিক গ্রন্থ রয়েছে।  সরহপাদার গানগুলির ভাষা বাংলা, দোহার ভাষাও বাংলা; গাথার ভাষাও যে বাংলা হবে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

সরহপাদার দোহায় চর্তুবেদের উল্লেখ থাকায়  তাঁকে প্রাচীন বলা যায় না এবং তিনি যে, বৌদ্ধ, জৈন, নাথ সম্প্রদায় সহ প্রচলিত কোনো ধর্ম দর্শন মেনে চলেন নি বরং তাদের উপহাস করেছেন, তা তার দোহাকোষের সহজ পথের উপদেশে সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। চর্যাগীতিতে স্থান পাওয়া তার চারটি গীতিকবিতায় আমরা দোহাকোষের এই ধারাবাহিকতা দেখি, ২২ নাম্বার চর্যায় কবি বলেন, যোগীর কাছেও জন্ম মৃত্যু ভেদ চিন্তার অতীত। জন্ম-মৃত্যু যদি সাংসারিক কর্মময় জীবনের ফল হয় এবং তা মানুষ যদি নিজেই সৃষ্টি করেন, তাহলে মানবরূপে জন্মের কারণ কী হতে পারে। মানব রূপে জন্মের আগে কী হয়ে কোথায় জন্ম নিয়েছিলাম। সরহপাদার এই প্রশ্ন উত্থাপনের পরবর্তী সময়ে, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজতেই বৌদ্ধ পণ্ডিতেরা ‘জাতক’ কাহিনী সৃষ্টি করেছিলেন। তাই বলা যায়, সহরপাদা জাতক সাহিত্য সৃষ্টির পূর্ববর্তী সময়ের লোক। চর্যাগীতিতে সরহপাদার চর্যার মধ্যে ২২ নাম্বারের পরে স্থান পেয়েছে ৩২ নাম্বার গীতি কবিতাটি। এ কবিতায় কবি আত্মসূদ্ধির জন্যে প্রচলিত ধর্ম দর্শনের মতবাদ বা গুরুর প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না। ৩৮ নাম্বার চর্যায় ৩২ নাম্বার চর্যার প্রতিচ্ছবি দেখি, কবি বলেন-সহজ জীবনাচারণ পালনের মধ্যদিয়ে জীবন তরী বা দেহ পরম প্রভুর কাছে পৌঁছে যায়। সদজীবনাচারণের পর আত্মা যখন দেহ থেকে বাইরে চলে যায়, তখন জীবন দশায় আচরণীয় কর্ম ভাল থাকলে মুক্তি স্বরূপ পরম প্রভু নিজেই এসে উদ্ধার করবে। কিন্তু, সেই উদ্ধার পাওয়ার জন্য এবার কবি গুরুর প্রয়োজনীয়তা দেখেছেন। তিনি গুরুকেই করেছেন মুক্তি পথের পথ প্রর্দশক, ৩৯ নাম্বার চর্যাটি গুরুবাদী। গুরুর উপদেশ ছাড়া ভিন্ন পথে আত্মার মুক্তি পাওয়া যায় না। আত্মত্যাগি সাধকের ধ্যান, জ্ঞান, চলন, বলন সবই নির্ভর করে গুরুর অনুমতিতে। তাই তার ইহ জাগতিক চাহিদা থাকে না, তিনি সুখ দুখের উর্দ্ধে অবস্থান করেন।

প্রাচীন বৌদ্ধসাহিত্যে ত্রিবেদের উল্লেখ পাওয়া যায়। সে অর্থে দুজন সরহপাদার অস্তিত্ব অনুমেয়। প্রাচীন সরহপা জীবিত ছিলেন খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে। তিনি নালন্দার অধ্যক্ষ ছিলেন। তেঙ্গুরে পাওয়া তান্ত্রিক গ্রন্থগুলি দ্বিতীয় সরহপাদার রচনা। আর এই দ্বিতীয় সরহপাদের সঙ্গে শবরপাদের মিল থাকলেও থাকতে পারে।

চর্যাগীতিতে পাওয়া ২২, ৩২, ৩৮ ও ৩৯ নং চারটি কবিতা তার লেখা। ২২ নং কবিতায় সরহপাদা জন্ম মৃত্যুর কারণ জানেন না, তবু সংসারীদের অবজ্ঞা করেছেন। তবে, জন্ম-মৃত্যু, সংসার, ধর্ম, কর্ম এবং জন্মান্তরের সংশয়ে চমৎকার উপল্বব্ধি-কর্ম আগে না জন্ম আগে? কর্মগুণে যদি জন্মান্তরে যোনি প্রাপ্তি হয়, তাহলে কর্মের আগে কেমন করে কোথায় কোন যোনি প্রাপ্ত হয়েছিল? সংশয়ের এই পর্বে কবি প্রাথিব সব রকম চিন্তা ছেড়ে আতœ উপলব্ধির কথা বলেছেন। তার এই উপলব্ধির জ্ঞানে নাই সহজানন্দ, নাই শূন্যতা, ডানেও কাদা, বামেও কাদা, সোজা পথে চলাই মুক্তি। নিজের মনে মনকে বুঝে মনকেই করতে হবে দেহ নৌকার দাঁড়, ৩২ সংখ্যক কবিতায় এই তত্ত্বজ্ঞানই দেখি।

সরহপাদা বঙ্গীয় লোককবি, বঙ্গের লৌকিকতা তার চর্যার কবিতায় চমৎকার ভাবে স্থান পেয়েছে। তিনি ভুসুকুপাদা প্রমুখ কবি বঙ্গের ডোম্বী বা ডাকিনী সাধন সঙ্গীনি জায়া গ্রহণ করে যে ভাবে উল্লাস করেছেন, সরহপা সেভাবে উল্লাস করেননি। তিনি পূর্ববর্তী শূন্যবাদি দর্শনের বিচার বুদ্ধি, অহংকার, ভালো মন্দের বিবেক বোধ ত্যাগ করে অবধূতীর আনন্দের আনন্দ করেই বললেন-‘বঙ্গের জায়া গ্রহণের পরে তোর নাশ হলো বিবেক।।’  এ বিচার বিবেক বোধ সাধকের শূন্যবাদি সাধনে যায়নি। এ থেকে বুঝা যায়, তিনি শূন্যতার সাধন ত্যাগ করে সহজানন্দের পথে অবধূতী প্রাপ্ত হয়েছিলেন।

সরহপাদার চারটি কবিতায় বাংলায় প্রচলিত সংস্কৃত শব্দ সংখ্যা ২৪টি; সংস্কৃত হতে উৎপন্ন বাংলা শব্দ ৩৫টি; পুরাতন বাংলা ৯৫টি এবং চলতি বাংলা ২৮টি শব্দ থাকায় তাঁকে বঙ্গীয় বলতে কোনো আপত্তি থাকে না।

চর্যাপদ

সম্পাদনা

সরহ পা চর্যাপদের ২২, ৩২, ৩৮ এবং ৩৯ নম্বর পদের রচয়িতা ছিলেন। এই পদগুলিতে যে লিপি ব্যবহৃত হয়, তার সঙ্গে ওড়িয়া লিপির মিল রয়েছে, যাতে অনুমান করা হয় যে, সরহ পা তার সাহিত্য ওড়িয়া ভাষাঅঙ্গিকা ভাষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোন প্রাচীন ভাষায় রচনা করেছিলেন।[][] ১১০১ খ্রিষ্টাব্দে নেপালী ভাষায় তার পদগুলিকে অনুবাদ করা হয়। এই অনুবাদকর্ম পরবর্তীকালে নেপালের রাজকীয় দরবার গ্রন্থাগার থেকে পাওয়া যায়।[]

তঞ্জুরে সরহ পার রচনা

সম্পাদনা
 
অন্যান্য মহাসিদ্ধ দ্বারা পরিবেষ্টিত সরহ পার চিত্র

তঞ্জুর নামক প্রাচীন তিব্বতী বৌদ্ধগ্রন্থে সরহ পার নিম্নলিখিত রচনা স্থান পেয়েছে।[]

  • শ্রীবুদ্ধকপালতন্ত্রপঞ্জিকা
  • শ্রীবুদ্ধকপালসাধনানাম
  • সর্বভূতবলিবিদ্ধি
  • শ্রীবুদ্ধকপালমণ্ডলবিদ্ধিক্রম প্রদ্যোত্ননামা
  • দোহাকোষগীতি
  • দোহাকোষনাম চর্যাগীতি
  • দোহাকোষোপদেশগীতিনাম
  • কখস্যদোহনাম
  • কখদোহাতিপ্পণ
  • কায়কোষামৃতবজ্রগীতি
  • বাক্কোসারুচিরস্বরবজ্রগীতি
  • চিত্তকোষাজবজ্রগীতি
  • কায়বাকচিত্তামনসিকারণাম
  • দোহাকোষনাম মহামুদ্রোপদেশ
  • দ্বাদশোপদেশগাথা
  • স্বাধিষ্ঠানাক্রম
  • তত্ত্বোপদেশশিখরদোহাগীতি
  • ভাবনাদৃষ্টিচর্যাফলদোহাগীতিকানাম
  • বসন্ততিলকদোহা্কোষগীতিকানাম
  • মহামুদ্রোপদেশবজ্রগুহ্যগীতি
  • ত্রৈলোকবশঙ্করলোকেশ্বরসাদন

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Masters of Mahāmudrā By Abhayadatta, Keith Dowman, Hugh R. Downs (Page 233)
  2. Masters of Mahāmudrā: Songs and Histories of the Eighty-four Buddhist Siddhas by Abhayadatta, translated by Keith Dowman, Hugh R. Downs. State University of New York Press: 1986. আইএসবিএন ০-৮৮৭০৬-১৬০-৫ p. 233
  3. Pasang Wandu and Hildegard Diemberger. dBa' bzhed: The Royal Narrative concerning the bringing of the Buddha's Doctrine to Tibet (Vienna, 2000). আইএসবিএন ৩-৭০০১-২৯৫৬-৪.
  4. Dasgupta, Shashibhusan, Obscure Religious Cults, Firma KLM, Calcutta, 1995 CE, আইএসবিএন ৮১-৭১০২-০২০-৮, pp.8-9
  5. Pandit Rahul Sanskrutayan, Bihar Rashtrabhasha Parishad
  6. Dr. Banshidhar Mohanty. Oriya Sahityara Itihasa. Vol I. Frends Publishers, Cuttack, Orissa, India (1970)
  7. সুকুমার সেন চর্যাগীতি পদাবলী, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা, আইএসবিএন ৮১-৭২১৫-৪৫৮-৫, পৃঃ-২৬
  8. Ui, H. 1934 A Complete Catalogue of the Tibetan Buddhist Canons Tohoku Imperial University, Sendai, Japan

আরো পড়ুন

সম্পাদনা