সমরেশ রায়

বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী

সমরেশ রায় (৮ অক্টোবর ১৯২২ - ১৭ জানুয়ারি ২০০৩) ছিলেন ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী। আজীবন অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন বরণীয় সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের[] []

সমরেশ রায়
জন্ম(১৯২২-১০-০৮)৮ অক্টোবর ১৯২২
মৃত্যু১৭ জানুয়ারি ২০০৩(2003-01-17) (বয়স ৮০)
কলকাতা
পিতা-মাতা
  • নীতিন্দ্রনাথ রায় (পিতা) (পিতা)

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

সমরেশ রায়ের জন্ম ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের ৮ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায় মাতুলালয়ে। পিতা নীতিন্দ্রনাথ রায় ছিলেন ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক। পড়াশোনা করেন মিত্র ইনস্টিটিউশনে এবং আশুতোষ কলেজে। সঙ্গীত শিক্ষা তারাপদ চক্রবর্তী, চিত্ত রায়, দ্বিজেন চৌধুরী প্রমুখের কাছে। উচ্চাঙ্গ সংগীতের সাথে নজরুলগীতি, অতুলপ্রসাদী, রজনীকান্তের গান ইত্যাদিতে শিক্ষা নেন।

সঙ্গীত-জীবন

সম্পাদনা

সমরেশ রায় ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে দীর্ঘদিন আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে আধুনিক গানের প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়। নিউ থিয়েটার্সের পথ নির্দেশ ছবিতে তিনি প্রথম নেপথ্যে রবীন্দ্রসঙ্গীতে কণ্ঠ দান করেন। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে থেকে তিনি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সহকারী হিসাবে বাংলা ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার কাজ আরম্ভ করেন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে গরীবের মেয়ে ছবিতে তাঁর গাওয়া প্রেম মুরলী বাজে বৃন্দাবনে জনপ্রিয় হয়। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ছবিতেও তিনি নেপথ্যে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোকরঞ্জন শাখার সাংগীতিক বিভাগে পঙ্কজকুমার মল্লিকের সহকারী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬৩-৬৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি আকাশবাণীর লখনউ এবং এলাহাবাদ কেন্দ্রে আমন্ত্রিত শিল্পী হিসাবে গজল এবং ভজন পরিবেশন করেন। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়ে তিনি সহকারী সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলগীতির প্রশিক্ষক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। আশির দশকে কিশোর কুমার তাঁর জীবনের শেষ রবীন্দ্রসঙ্গীতগুলি সমরেশ রায়ের প্রশিক্ষণেই গেয়েছিলেন।

বাংলা সঙ্গীত মেলার প্রথম বর্ষে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক সংবর্ধিত হন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. অভীক চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক (২০১৯)। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় আনন্দধারা। সপ্তর্ষি প্রকাশন, কলকাতা। পৃষ্ঠা ৯১। আইএসবিএন 978-93-8270-654-0 
  2. অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ৪১৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬