শ্রীমন্তুডু
শ্রীমন্তুডু (অনু. ধনী ব্যক্তি) হল ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় তেলুগু অ্যাকশন ড্রামা চলচ্চিত্র। এটি রচনা ও পরিচালনা করেন কোরতাল শিব এবং প্রযোজনা করে মৈত্রী মুভি মেকার্স ও জি. মহেশ বাবু এন্টারটেইনমেন্ট। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন মহেশ বাবু, শ্রুতি হাসান, জগপতি বাবু ও রাজেন্দ্র প্রসাদ। সম্পৎ রাজ, মুকেশ ঋষি, সুকন্যা ও হরিশ উতমন পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি বিশ্বব্যাপী পরিবেশনা করে ইরোস ইন্টারন্যাশনাল।
শ্রীমন্তুডু | |
---|---|
পরিচালক | কোরতাল শিব |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | কোরতাল শিব |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | দেবী শ্রী প্রসাদ |
চিত্রগ্রাহক | আর. মাধী |
সম্পাদক | কোটগিরি বেঙ্কটেশ্বর রাও |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | ইরোস ইন্টারন্যাশনাল |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৫৮ মিনিট[১] |
দেশ | ভারত |
ভাষা | তেলুগু |
নির্মাণব্যয় | |
আয় | প্রা. ১৪০-২০০ কোটি টাকা[খ] |
এই ছবির মূল উপজীব্য হল হর্ষ বর্ধন (মহেশ বাবু) নামে এক যুবকের কাহিনি। সে তার বাবা রবিকান্তের (জগপতি বাবু) থেকে এক বিশাল বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয়। তাদের পৈত্রিক ভিটে দেবরকোট নামে এক প্রত্যন্ত গ্রামে, এ কথা জানার পর বান্ধবী চারুশীলার অনুরোধে হর্ষ গ্রামটিকে দত্তক গ্রহণ করে এবং স্থানীয়দের জীবনযাত্রার মান ও গ্রামের পরিকাঠামো উন্নয়নে কিছু সময় অতিবাহিত করে। তার এই উদ্যোগের ফলে স্থানীয় গুন্ডা সর্দার শশী (সম্পৎ রাজ) ও তার ভাই তথা রাজনীতিবিদ বেঙ্কট রত্নম (মুকেশ ঋষি) ক্রুদ্ধ হয়।
প্রথমে শ্রীমন্তুডু ছবিটি প্রযোজনার কথা ছিল ইউটিভি মোশন পিকচার্সের। কিন্তু শিবের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ায় কোম্পানিটি পিছিয়ে যায়। পরিচালনা ছাড়াও এই ছবির চিত্রনাট্য রচনা করেছিলেন শিব। দেবী শ্রী প্রসাদ সংগীত পরিচালনা করেন এবং আর. মাধী ছিলেন সিনেম্যাটোগ্রাফার। কোটগিরি বেঙ্কটেশ্বর রাও ছবিটি সম্পাদনা করেন। ২০১৪ সালের ১১ অগস্ট হায়দ্রাবাদের রামনাইডু স্টুডিওজে ছবিটির প্রযোজনা শুরু হয়। সেই বছরই ৭ নভেম্বর পুনেতে ছবির প্রিন্সিপ্যাল ফোটোগ্রাফির কাজ শুরু হয় এবং তা চলে পরের বছর জুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। ছবির অধিকাংশ শ্যুটিং হায়দ্রাবাদ ও তার আশেপাশের এলাকায় হলেও কয়েকটি অংশের শ্যুটিং হয় তামিলনাড়ু ও মালয়েশিয়ায়।
শ্রীমন্তুডু ও ছবিটির সেলবন্ধন নামাঙ্কিত তামিল-ডাবকৃত সংস্করণ ২০১৫ সালের ৭ অগস্ট একই সঙ্গে সারা বিশ্বের ২৫০০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত এই ছবিটি বাণিজ্যিকভাবেও সাফল্য অর্জন করে। ৪০ – ৭০ কোটি টাকা বাজেটে নির্মিত ছবিটির মোট আয় ছিল প্রায় ২০০ কোটি টাকা, যার ফলে এটি সর্বকালের তৃতীয় সর্বাধিক লাভজনক তেলুগু ছবিতে পরিণত হয়। ছবিটি মুক্তিলাভের পর অনেক অভিনেতা, সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ পিছিয়ে পড়া গ্রামগুলির উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন এবং তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের গ্রামগুলিকে দত্তক গ্রহণ করতে উৎসাহ দিতে থাকেন। ছবিটি তিনটি নন্দী পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় কাহিনিচিত্র পুরস্কার সহ), তিনটি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড সাউথ, ছয়টি আইআইএফএ উৎসবম পুরস্কার, পাঁচটি দক্ষিণ ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার ও চারটি সন্তোষম চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করে।
কাহিনি-সারাংশ
সম্পাদনারবিকান্তের পঁচিশ হাজার কোটি টাকা মূল্যের বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যের একমাত্র উত্তরসূরি পুত্র হর্ষ বর্ধন। বন্ধু আপ্পারাওয়ের জন্মদিনের পার্টিতে চারুশীলার সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর হর্ষ বর্ধন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রামোন্নয়ন পাঠক্রমে ভর্তি হয়। চারুশীলার পৈত্রিক ভিটে উত্তরান্ধ্র অঞ্চলের দেবরকোট নামে এক প্রত্যন্ত গ্রাম। সেই গ্রামের উন্নতিতে প্রযুক্তির ব্যবহার করাই ছিল চারুশীলার লক্ষ্য। হর্ষ বর্ধন ও চারুশীলার মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। কিছুদিনের মধ্যে সেই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়।
দেবরকোটের প্রাকৃতিক সম্পদ নিজের স্বার্থে ব্যবহার করত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কট রত্নমের ভাই শশী। এদের জুলুমের দলে অনেক গ্রামবাসীই ভালো থাকার আশায় গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও গ্রামের প্রধান নারায়ণ রাও আশা করতেন যে একদিন গ্রামের সাধারণ অবস্থার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীদের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হবে। এদিকে রত্নমের ছেলে রাধা রবিকান্তকে ব্ল্যাকমেল করে তার পরিবারের ক্ষতি করার ভয় দেখায়। তার দাবি ছিল রবিকান্তকে একটি সম্মানজনক হাইওয়ে কনট্র্যাক্ট থেকে সরে আসতে হবে। রবিকান্তের ভাইপো কার্তিক রবিকান্তের বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যের উত্তরসূরি হওয়ার স্বপ্ন দেখত। সে রাধার কাছে কনট্র্যাক্টটির আসন্ন দর প্রস্তাবের বিস্তারিত তথ্য ফাঁস করে দেয়। হর্ষ এই বিষয়টি জানতে পারে। রত্নমকে তার দিল্লির বাসভবনে সূক্ষ্মভাবে সাবধান করার পর হর্ষ গোপনে বাবার কোম্পানির হয়ে অপেক্ষাকৃত কম দর প্রস্তাব করে এবং কনট্র্যাক্টটি লাভ করে।
চারুশীলা যখন জানতে পারে যে হর্ষ আসলে রবিকান্তের ছেলে, তখন সে হর্ষকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। হর্ষ তার কারণ জিজ্ঞাসা করলে, চারুশীলা জানায় যে রবিকান্তও দেবরকোটের বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু অর্থ উপার্জনের আশায় তিনি গ্রাম ছেড়ে হায়দ্রাবাদে চলে এসেছিলেন। কিন্তু চারুশীলার বাবা নারায়ণ রাও নিজের গ্রামকে কখনও ত্যাগ করেননি। এই বলে চারুশীলা হর্ষকে বিদায় জানিয়ে চলে যায়। অফিসে যোগ দেওয়ার আগে বাবার কাছ থেকে একটি লম্বা ছুটি চেয়ে নিয়ে হর্ষ বাবার অজান্তেই দেবরকোটে এসে পৌঁছায়। দেবরকোটে গিয়ে হর্ষ রাওয়ের সঙ্গে দেখা করে এবং নিজের পরিচয় দেয় পড়াশোনার উদ্দেশ্যে গ্রাম পরিদর্শনে আসা গ্রামোন্নয়ন পাঠক্রমের এক ছাত্র হিসেবে।
দেবরকোট ও শশীর জুলুম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার পর হর্ষ ঘোষণা করে যে সে গ্রামটিকে দত্তক গ্রহণ করবে। সে যখন গ্রামের উন্নতিসাধনের জন্য কাজ করছিল তখন রত্নমও শশীকে বলে গ্রামের উন্নয়নে কিছু করতে। রত্নমের উদ্দেশ্য ছিল আসন্ন নির্বাচনে জয়লাভ করা। কিন্তু উন্নয়নের কৃতিত্ব গ্রহণের জন্য নিজের উদ্দেশ্যটি সে প্রকাশ্যে আনে না। ইতোমধ্যে হর্ষ রাওয়ের থেকে জানতে পারে হর্ষের মতো রবিকান্তও যৌবনে গ্রামের উন্নতি ঘটাতে চাইতেন এবং স্থানীয়দের কল্যাণের উদ্দেশ্যে তিনি একটি ডেয়ারি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু তারপরই রত্নম ও শশী সেই ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেয়। তার ফলে অনেকের মৃত্যু ঘটে। রবিকান্তকে অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী করে অপমান, এমনকি গ্রেফতারও করা হয়েছিল। রবিকান্ত গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে যান এবং পরে প্রচুর সম্পত্তি উপার্জন করেন।
দেবরকোটে এসে চারুশীলা মনে করে হর্ষ তাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে তার পরিবারকে খুশি করার জন্য এই সব করছে। প্রথমে হর্ষের উপর বিরক্ত হলেও হর্ষ যখন চারুশীলার কাকার পরিবারকে শহরে নিজেদের কর্মরত পুত্রের কাছে চলে যাওয়া থেকে বিরত করে এবং পরিবর্তে প্রত্যেক সপ্তাহান্তে সম্ভব হলে তাদের ছেলেকে গ্রামে আসতে রাজি করায় তখন চারুশীলা হর্ষের প্রতি প্রসন্ন হয়। পরে হর্ষ ও চারুশীলা জানতে পারে যে একটি নতুন উপকূলীয় শিল্প করিডোরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরেই জমির দাম বাড়বে আর সেই কারণে গ্রামে রাজনৈতিক লাভের আশায় রত্নম গ্রামের সব কৃষিজমি অধিগ্রহণ করে নিতে চলেছে। হর্ষ তাদের মোকাবিলা করে এবং সাবধান করে দিয়ে বলে গ্রামোন্নয়নের জন্য সে যা করছে তাতে বাধা না দিতে।
হর্ষ পরে একটি ওয়াটার বটলিং ইউনিট দেখতে যায়। সেখানে যে শুধু মদ তৈরি হত তা-ই নয়, বরং সেই ইউনিটটির জন্য গ্রামের পানীয় জলের উৎসেও টান পড়ত। ইউনিটটি বন্ধ করতে গিয়ে সে শশীর গুন্ডাদের হাতে আক্রান্ত হয় এবং তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিকান্ত জানতে পারেন যে হর্ষ দেবরকোটকে দত্তক গ্রহণ করেছে। তিনি হর্ষকে হায়দ্রাবাদে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হন। সেখানে সুস্থ হয়ে হর্ষ অফিসের কাজে যোগ দেয়। পরে রবিকান্ত দৃশ্যত বিমর্ষ হর্ষের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলেন এবং তাকে দেবরকোটে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। তিনি অনেক দিন ধরে হর্ষের কাছ থেকে ভালোবাসা পাওয়ার প্রত্যাশী ছিলেন। এই কাজের ফলে তিনি হর্ষের ভালোবাসা অর্জনও করেন। হর্ষ বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যের কর্তৃত্ব কার্তিকের হাতে তুলে দিয়ে চলে যায়।
দেবরকোটে হর্ষ রত্মম ও শশীকে কারখানার মধ্যে হত্যা করে এবং ঘটনাটিকে একটি অসাবধানে ঘটে যাওয়া শর্ট সার্কিটের ফলে ঘটা দুর্ঘটনা হিসেবে সাজায়। বহু বছর আগে রবিকান্তকে গ্রেফতারের সময় শশী একইভাবে ডেয়ারি ফার্মে আগুন লাগিয়েছিল। ছবির শেষে দেখা যায়, সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে রবিকান্ত সপরিবারে রাওয়ের বাড়িতে এসেছেন এবং সেখানে বর্তমানে চারুশীলার স্বামী হর্ষ সবাইকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে।
অভিনেতা-অভিনেত্রী
সম্পাদনা- মহেশ বাবু – হর্ষ বর্ধন
- শ্রুতি হাসান - চারুশীলা
- জগপতি বাবু – রবিকান্ত
- রাজেন্দ্র প্রসাদ – নারায়ণ রাও
- সুকন্যা – হর্ষ বর্ধনের মা
- সিতারা – চারুশীলার মা
- মুকেশ ঋষি – বেঙ্কট রত্নম
- সম্পৎ রাজ - শশী
- হরিশ উতমন - রাধা
- বেন্নেল কিশোর - আপ্পারাও
- শ্রীরাম এডিডা – নারায়ণ রাওয়ের ভাই
- তুলসী – নারায়ণ রাওয়ের ভ্রাতৃবধূ
- সুব্বরাজু – রবিকান্তের ভাই
- রাহুল রবীন্দ্রন - কার্তিক
- আলি - রাজরত্নম
- শ্রাবণ – রাধার শাগরেদ
- শিবাজি রাজা - সূর্যম
- রবি প্রকাশ - ড. গণেশ
- সূর্য – রবিকান্তের কোষাধ্যক্ষ
- তেজস্বী মদীবড – বেঙ্কট রত্নমের কন্যা
- সুরেখা বাণী - সুমতি
- আনন্দ – মেঘনার বাবা
- সনম শেট্টি - মেঘনা
- অঙ্গনা রায় – হর্ষের জ্ঞাতিভগিনী
- রবি বর্মা – চারুশীলার জ্ঞাতিভ্রাতা
- ছত্রপতি শেখর – টিভি সাংবাদিক
- রাজিতা – আপ্পারাওয়ের মা
- নিক্কিতা অনিল কুমার – হর্ষের বোন
- আপ্পাজি অম্বরীশ দর্ভ – পরিচালক পর্ষদের প্রধান
- পূর্ণা - "রামা রামা" গানে বিশেষ উপস্থিতি
- রামযোগ্য শাস্ত্রী - "রামা রামা" গানে বিশেষ উপস্থিতি
প্রযোজনা
সম্পাদনাক্রমবিকাশ
সম্পাদনা২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে ইউটিভি মোশন পিকচার্স ঘোষণা করে যে তারা মহেশ বাবু অভিনীত ও কোরতাল শিব পরিচালিত একটি ছবি প্রযোজনা করবে। এটি হবে মহেশের বোন মঞ্জুলা চট্টমানেনির সঙ্গে তাদের প্রথম তেলুগু প্রযোজনা এবং ছবিটি পরিবেশিত হবে ইন্দিরা প্রোডাকশনসের ব্যানারে।[৭] মহেশ ইতিপূর্বে আগডু (২০১৪) ছবির কাজ সম্পূর্ণ করে রাজ নিডিমোরু ও কৃষ্ণ ডি.কে. পরিচালিত ও অশ্বিনী দত্ত প্রযোজিত একটি ছবিতে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। এই কারণে একটি সম্ভাব্য দেরি প্রত্যাশিতই ছিল।[৮] ২০১৪ সালের মার্চ মাসের শেষ দিকে ইউটিভি মোশন পিকচার্সের জি. ধনঞ্জয়ন ঘোষণা করেন যে, ছবির প্রযোজনার কাজ শুরু হবে সেই বছর জুলাই মাসে।[৯] পরে শিবের সঙ্গে মতানৈক্যের কথা প্রকাশ করে ইউটিভি মোশন পিকচার্স ছবিটি প্রযোজনা থেকে সরে আসে এবং বহির্ভারতে পরিবেশনাকারী সংস্থা মৈত্রী মুভি মেকার্স ছবির প্রধান বিনিয়োগকারীর ভূমিকা গ্রহণ করতে রাজি হয়।[১০]
ছবির বাজেট নিয়ন্ত্রণের জন্য মহেশ জি. মহেশ বাবু এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যানারে ছবিটি সহ-প্রযোজনায় উদ্যোগী হন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণের পরিবর্তে লভ্যাংশের একটি অংশ গ্রহণ।[১১] দেবী শ্রী প্রসাদ ছবির সংগীত পরিচালনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন।[১২] ছবির সিনেম্যাটোগ্রাফার আর. মাধী পারিশ্রমিক হিসেবে ১.৪০০ কোটি টাকা গ্রহণ করেছিলেন।[১৩] ২০১৪ সালের ১১ অগস্ট হায়দ্রাবাদের রামনাইডু স্টুডিওজে ছবির আনুষ্ঠানিক মহরত অনুষ্ঠিত হয়।[১৪] মহেশ শিবের সঙ্গে গল্প নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন এবং চিত্রনাট্যটির উন্নতিসাধনে নিজের ধ্যানধারণার কথাও ব্যক্ত করেন।[১৫] ২০১৫ সালের ২৯ মে ছবির নাম শ্রীমন্তুডু বলে পাকাপাকিভাবে ঘোষণা করা হয়।[১৬] ইতিপূর্বে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে এই নামটিই নথিভুক্ত করা হয়েছিল।[১৭]
অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচন
সম্পাদনামহেশ বাবু এই ছবিতে এক কোটিপতির পুত্রের চরিত্রে অভনয় করেন।[১৮] এই চরিত্রটির চেহারা ফুটিয়ে তোলার জন্য তিনি কার্ডিগান, জ্যাকেট ও স্কার্ফের মাধ্যমে একটি আটপৌরে রূপ বেছে নেন। ছবির বিভিন্ন পর্বের প্রয়োজনে তিনি স্তরযুক্ত চুল, এলোমেলো চুল ও সাদামাটা ছাঁট সহ বিভিন্ন ধরনের কেশবিন্যাস করেছিলেন।[১৯] নায়িকার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত হন শ্রুতি হাসান। মনে করা হয়েছিল যে এই ছবিটিই মহেশ বাবুর বিপরীতে শ্রুতির প্রথম ছবি হতে চলেছে। তবে তিনি এই ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর আগডু ছবিতে একটি আইটেম নাম্বারে আবির্ভূত হয়েছিলেন।[২০] এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি এক কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক দাবি করেছিলেন। এই পরিমাণ পারিশ্রমিকই অদ্যাবধি কোনও ছবিতে শ্রুতির সর্বাধিক উপার্জন।[২১] শ্রুতি বলেন যে এই ছবিতে তিনি এক "বলিষ্ঠ, স্বাধীনচেতা, বুদ্ধিমতী" অথচ সাধারণ মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন এবং এই ছবির নায়ক-নায়িকার প্রেম "খুব শান্ত, শ্লথ ও উচ্চ শ্রেণির" প্রেম।[২২] শিব নায়িকার চারুশীলা নামটি নির্বাচন করেন একই নামের একটি গানের রেকর্ডিং-এর সময় সেই গানের কথাগুলি পড়তে পড়তে।[২৩]
লেজেন্ড (২০১৪) ছবিতে জগপতি বাবুর কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে শিব জগপতিকেই এই ছবিতে হর্ষের বাবার ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য মনোনীত করেন।[২৪] মহেশের মায়ের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নাদিয়া ও গ্রেসি সিং-এর নাম বিবেচনার পর শেষপর্যন্ত ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে সুকন্যাকে নির্বাচিত করা হয়।[২৫] অন্যান্য পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য রাজেন্দ্র প্রসাদ, সম্পৎ রাজ, ব্রহ্মানন্দম ও তুলসীর নাম ঘোষিত হয়।[২৬][২৭] সম্পৎ রাজ খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করলেও[২৮] এই ছবিতে ব্রহ্মানন্দমের অন্তর্ভুক্তি কখনই পাকাপাকিভাবে ঘোষণা করা হয়নি।[২৯] হরিশ উতমন ছবির অপর খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। উতমন ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিসকে বলেছিলেন যে, ভাষাগত সমস্যার কারণে কয়েকটি দৃশ্যের অনেকবার রিটেক করতে হয়েছিল এবং মহেশ এই কাজে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন।[৩০]
রাহুল রবীন্দ্রন একটি ছোটো অথচ গুরুত্বপূর্ণ অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন।[৩১] গ্রাম্য প্রেক্ষাপটে একটি উত্তেজক নৃত্যের জন্য শাস্ত্রীয় নৃত্যে পারঙ্গমা একাধিক অভিনেত্রীর নাম বিবেচনার পর পূর্ণা নির্বাচিত হন তিনি একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কথক শিল্পী বলে।[৩২] সত্তর জন অভিনেত্রীর অডিশন নেওয়ার পর ছবিতে একটি "গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে" অভিনয়ের জন্য অঙ্গনা রায়কে নির্বাচিত করা হয়। এটিই ছিল অঙ্গনার প্রথম তেলুগু ছবি।[৩৩] সনম শেট্টির মুক্তি-না-পাওয়া প্রথম তেলুগু ছবি ইনটিনটা অন্নময়-এর একজন ইউনিট সদস্য এই ছবির নির্মাতাদের কাছে সনমের নাম প্রস্তাব করার পর তিনি এই ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হন।[৩৪] মালয়ালি অভিনেত্রী নিক্কিতা অনিল কুমার এই ছবিতে মহেশের বোনের চরিত্রে এবং বৈষ্ণব নামে এক কিশোর নিক্কিতার জ্ঞাতিভ্রাতার চরিত্রে অভিনয় করেন। বৈষ্ণবই অ-তেলুগু অভিনেতাদের সংলাপ বলতে সাহায্য করেছিল।[৩৫] তেজস্বী মদীবদ ইতিপূর্বে মহেশের সঙ্গে সীতাম্মা বকিটলো সিরিমল্লে চেট্টু (২০১৩) ছবিতে কাজ করেছিলেন। এই ছবিতে তিনি এক রাজনীতিবিদের কন্যার চরিত্রে অভিনয় করেন।[৩৬]
পাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া পত্রিকার অনুমান, ছবিটির বাজেট ছিল ৪০ কোটি টাকা[২] ডেকান ক্রনিকল পত্রিকার অনুমান, ছবিটির বাজেট ৬০ কোটি টাকা।[৩] ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের অনুমান, ছবিটির বাজেট ছিল ৭০ কোটি টাকা।[৪]
- ↑ ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া-র অনুমান, ছবিটির মোট লাভ ১৪০ কোটি টাকা,[৫] কিন্তু বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর অনুমান ছবিটির মোট লাভ ২০০ কোটি টাকা।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "শ্রীমন্তুডু (১২এ)"। ব্রিটিশ বোর্ড অফ ফিল্ম ক্লাসিফিকেশন। ১০ আগস্ট ২০১৫। ১২ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Dist IBT
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ কবিরায়ানি, সুরেশ (৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "শ্রীমন্তুডু ক্রসেস রুপিজ ১৫০ ক্রোর"। ডেকান ক্রনিকল। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "মহেশ বাবু'জ 'শ্রীমন্তুডু' টু রিলিজ অ্যাজ 'সেলবন্ধন' ইন তামিল"। দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস। ২৫ জুলাই ২০১৫। ২৫ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "'জনতা গ্যারেজ' বক্স অফিস কালেকশন: উইল জেআর এনটিআর'স ফিল্ম বিট 'সাররাইনোডু,' 'শ্রীমন্তুডু,' 'মগধীরা' লাইফটাইম রেকর্ডস"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ১৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৭।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;gross full run
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "ইউটিভি রোপস ইন মহেশ বাবু ফর ইটস তেলুগু ফিল্ম"। সিএনএন-আইবিএন। ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস। ২১ অক্টোবর ২০১৩। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "মহেশ বাবু শকস কোরতাল শিব"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ২০ ডিসেম্বর ২০১৩। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ সালভাডোর, সারা (২০ মার্চ ২০১৪)। "মহেশ বাবু, কোরতাল শিব ফিল্ম টু রোল ইন জুলাই"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ১২ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ সেহগিরি, সংগীতা (১৬ এপ্রিল ২০১৪)। "আফটার 'আগডু, মহেশ বাবু টু ওয়ার্ক উইথ কোরতাল শিব; হোয়াট অ্যাবাউট মণিরত্নম'স প্রোজেক্ট?"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ রেড্ডি, গায়ত্রী (২৩ জুলাই ২০১৫)। "নম্রতা, দ্য ইন-হাউস প্রোডিউসার"। ডেকান ক্রনিকল। ২৩ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "ডিএসপি টু কমপোজ ফর মহেশ, কোরতাল ফিল্ম"। দ্য হান্স ইন্ডিয়া। ১৫ এপ্রিল ২০১৪। ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "মাধী'জ শকিং রেম্যুনারেশন ফর মহেশ বাবু'জ ফিল্ম"। ইন্ডিয়াগ্লিটজ। ১৩ অক্টোবর ২০১৪। ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "মহেশ বাবু অ্যান্ড কোরতাল শিব'স মুভি মুহুরতম অ্যাট রামনাইডু স্টুডিওজ ইন হায়দ্রাবাদ"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ১২ আগস্ট ২০১৪। ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "মহেশ বাবু টু ট্রাই হিজ হ্যান্ড অ্যাট স্ক্রিনপ্লে?"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ১ অক্টোবর ২০১৪। ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "মহেশ বাবু'জ শ্রীমন্তুডু ফার্স্ট লুক পোস্টার"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ২৯ মে ২০১৫। ১২ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "মহেশ বাবু-কোরতাল ফিল্ম টাইটেলড শ্রীমন্তুডু"। দ্য হান্স ইন্ডিয়া। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪। ১২ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ এইচ. হুলি, শেখর (৩ মার্চ ২০১৫)। "মহেশ বাবু'জ রোল ইন 'শ্রীমন্তুডু' রিভিলড: প্রিন্স টু স্পোর্ট ব্র্যান্ড নিউ হেয়ারস্টাইল"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ৪ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৫।
- ↑ শশীধর, এ. এস. (২ মার্চ ২০১৫)। "মহেশ বাবু টু স্পোর্ট আ নিউ লুক ইন কোরতাল শিব'স ফিল্ম"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ৪ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৫।
- ↑ এ. এস., শশীধর (২৬ অক্টোবর ২০১৪)। "টলিউড অ্যাক্ট্রেসেস আর দ্য নিউ ড্যান্সিং ডিভাস"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "ওএমজি!! রেম্যুনারেশন অফ শ্রুতি হাসান ফর মহেশ বাবু'জ ফিল্ম"। ইন্ডিয়াগ্লিটজ। ২৭ অক্টোবর ২০১৪। ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ ইয়েল্লাপান্টুলা, সুহাস (১ আগস্ট ২০১৫)। "ফাইন্ডিং সিমপ্লিসিটি ইন গ্ল্যামাস"। দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ২০ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ পাসুপুলাটে, কার্তিক (১ আগস্ট ২০১৫)। "শ্রুতি'জ নেম ইন শ্রীমন্তুডু ওয়াজ ইনস্পায়ার্ড বাই দ্য সং চারুশীলা: ডিএসপি"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ২০ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "জগপতি বাবু টু প্লে মহেশ বাবু'জ ফাদার"। ডেইলি নিউজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস। ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস। ২২ এপ্রিল ২০১৪। ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ শশীধর, এ. এস. (২৩ জানুয়ারি ২০১৫)। "সুকন্যা টু প্লে মহেশ বাবু'জ মম"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "শ্রুতি হাসান ইন মহেশ বাবু'জ নেক্সট"। দ্য হিন্দু। ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস। ১১ আগস্ট ২০১৪। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "তুলসী রেডি টু প্লে মাদার রোলস"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস। ৬ অক্টোবর ২০১৪। ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ কিং, ভিনসেন্ট (৪ অক্টোবর ২০১৪)। "কলিউড টাউন অ্যাক্টর ইন মহেশ বাবু'জ ফিল্ম"। ডেকান ক্রনিকল। ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ প্রকাশ, বি. ভি. এস. (১৬ আগস্ট ২০১৫)। "টি-টাউন ইন আ বাইন্ড ওভার ইউজ অফ ব্রাহ্মী বাম!"। দ্য হান্স ইন্ডিয়া। ২০ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "ওয়াজ অস্ট্রাক হিয়ারিং মহেশ বাবু স্পিক তামিল: হরিশ উতমন"। দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস। ১৩ জুলাই ২০১৫। ২০ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ এ. এস., শশীধর (৫ মার্চ ২০১৫)। "রাহুল রবীন্দ্রন রেভস অ্যাবাউট মহেশ"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ১২ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "পূর্ণা'জ স্পেশাল সং ইন মহেশ'জ ফিল্ম"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ কুমার, হেমন্ত (১৩ এপ্রিল ২০১৫)। "অঙ্গনা রায় টু ডেব্যু ইন তেলুগু উইথ মহেশ বাবু'জ ফিল্ম"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ৬ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৫।
- ↑ কুমার, হেমন্ত (১১ মে ২০১৫)। "সনম শেট্টি ব্যাগস আ রোল অপোজিট মহেশ বাবু"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ১৪ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৫।
- ↑ "শ্রীমন্তুডু ওয়াজ আ ব্লাস্ট: নিক্কিতা"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ৩ আগস্ট ২০১৫। ২১ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ কুমার, হেমন্ত (২২ মে ২০১৫)। "তেজস্বী মহীবদ ইলেটেড টু ওয়ার্ক উইথ মহেশ বাবু"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ২৭ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৫।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে Srimanthudu (ইংরেজি)