শৈলেন্দ্রনাথ গুহরায়

ভারতীয় মুদ্রণ শিল্পের ব্যক্তিত্ব

শৈলেন্দ্রনাথ গুহরায় (ইংরেজি: Shailendranath GuhaRoy) ( ৫ নভেম্বর ১৯০০ - ৩১ জুলাই ১৯৮০) ভারতে মুদ্রণ শিল্পের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। []

শৈলেন্দ্রনাথ গুহরায়
জন্ম৫ নভেম্বর ১৯০০
মৃত্যু৩১ জুলাই ১৯৮০ (বয়স ৫৯)
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তনপ্রেসিডেন্সি কলেজ
পেশামুদ্রণ শিল্পের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
পিতা-মাতাযতীন্দ্রনাথ গুহরায় (পিতা)

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

সম্পাদনা

শৈলেন্দ্রনাথ গুহরায়ের জন্ম ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ৫ নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ঢাকার শ্রীনগরে। পিতা যতীন্দ্রনাথ গুহরায়। তবে পৈতৃক নিবাস ছিল যশোহর জেলার নড়াইলের কুড়িগ্রামে। তবে পড়াশোনা বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনার জামতারায়। সেখানকার হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, কলকাতার সাউথ সুবারবন কলেজ বর্তমানের আশুতোষ কলেজ থেকে আই.এ. এবং প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে বি.এ.পাশ করেন। ইতিমধ্যে বিপ্লবী যুগান্তর দলের সাথে যোগাযোগ ঘটে। দলের প্রকাশনার দায়িত্ব নেন।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

বিপ্লবী দলের প্রকাশনাই তার কর্মজীবন মুদ্রণ শিল্পে স্থির করে দেয়। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দেই কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত করেন 'শ্রীসরস্বতী প্রেস' বর্তমানে 'শ্রী সরস্বতী প্রেস লিমিটেড'। তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ছিলেন। মুখ্যত তারই চেষ্টায় ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কৃষ্ণকুমার মিত্রের সভাপতিত্বে প্রথম 'ক্যালকাটা প্রিন্টিং প্রেস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন' স্থাপিত হয়। বর্তমানে এটি 'ওয়েস্ট বেঙ্গল মাস্টার প্রিন্টার্স অ্যাসোসিয়েশন' নামে পরিচিত। ১৯৬৭-৬৯ খ্রিস্টাব্দে শৈলেন্দ্রনাথ এর সভাপতিও ছিলেন। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার যাদবপুরে প্রতিষ্ঠিত 'রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ প্রিন্টিং টেকনোলজি'র (পূর্বতন দ্য স্কুল অফ প্রিন্টিং টেকনোলজি'র) তিনি অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন। ১৯৫৪-৫৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ মাস্টার প্রিন্টার্স- এর সম্পাদক এবং ১৯৭০-৭২ খ্রিস্টাব্দে এই সংস্থার সভাপতি ছিলেন। ভারতের বাইরে বহুবার মুদ্রণ শিল্পের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গ্রাফিক আর্টস টেকনিক্যাল ফাউন্ডেশনের (GATF) প্রথম ভারতীয় ফেলো তিনি। বহু সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মের সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন। শরৎ সমিতির সম্পাদক ছিলেন একবার।

জীবনাবসান

সম্পাদনা

শৈলেন্দ্রনাথ গুহরায় ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ শে জুলাই ৭৯ বৎসর বয়সে প্রয়াত হন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ৭২৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬