শৈলকুপা জমিদার বাড়ি
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (জুন ২০১৯) |
শৈলকুপা জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি, যা একসময় "শিকদার স্ট্রিট" নামে পরিচিত ছিল। [১]
শৈলকুপা জমিদার বাড়ি | |
---|---|
বিকল্প নাম | শিকদার স্ট্রিট |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | শৈলকুপা উপজেলা |
ঠিকানা | আবাইপুর গ্রাম |
শহর | শৈলকুপা উপজেলা, ঝিনাইদহ জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
উন্মুক্ত হয়েছে | ১২০০ বঙ্গাব্দের মাঝামাঝি |
স্বত্বাধিকারী | রামসুন্দর শিকদার |
কারিগরি বিবরণ | |
উপাদান | ইট, সুরকি ও রড |
তলার সংখ্যা | ০২ (দুই) |
তলার আয়তন | ৪০০ বিঘা |
ভূতল | ৪০০ বিঘা |
অন্যান্য তথ্য | |
কক্ষসংখ্যা | ৩৫০ (তিনশত পঞ্চাশ) |
ইতিহাস
সম্পাদনাজমিদার রামসুন্দর শিকদার ১২০০ বঙ্গাব্দের মাঝামাঝি সময়ে বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলায় উক্ত জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই জমিদার বংশের আগের বংশগত উপাধি ছিল তিলিকুণ্ড। পরবর্তীতে জমিদার রামসুন্দর শিকদারের ঠাকুর দাদা কার্তিক শিকদার মুর্শিদাবাদের নবাবের কাছ থেকে এই শিকদার উপাধি লাভ করেন। তখন থেকেই তারা তিলিকুণ্ড সম্প্রদায় থেকে শিকদার সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত হন। রামসুন্দর এখানে জমিদারী প্রতিষ্ঠা করার পর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, থিয়েটার হল ও এক বড় বাজার স্থাপন করেন। যার ফলে তার জমিদারী এখানে আরো প্রভাবশালী হয়ে উঠে। তার ০৭ জন পুত্র ছিলেন। তিনি ২৫শে বৈশাখ ১২৭০ বঙ্গাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। পরে তার সন্তানেরা সকলে মিলে তার জমিদারী ও ব্যবসা দেখাশুনা করেন। তারা "শিকাদর অ্যান্ড কোম্পানি" নামে পাট ব্যবসা করে বাংলা ১৩০৪ সালে আরো বেশি ব্যবসায় সফলতা অর্জন করেন। বাংলা ১৩১৯ সালে তাদের কোম্পানির পাট বিশ্বের মধ্যে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা লাভ করে। যার ফল সরূপ তখনকার ভারতবর্ষের গভর্নর জেনারেল "লর্ড কার্জন" তাদের কোম্পানিকে "প্রিন্স অব জুট বেলার্স" উপাধি প্রদান করেন। পরবর্তীতে তাদের বংশের লোকদের মধ্যে এই জমিদার বংশের সকল সম্পত্তি ভাগ হয়ে যায় এবং তারা অধিকাংশ বিদেশে বসবাসের জন্য পাড়ি জমান। আবার অনেকে বিভিন্ন সরকারি চাকুরিতে যোগদান করেন। এইভাবেই তাদের দীর্ঘদিনের জমিদারী শেষ হয়ে যায়। জমিদার রামসুন্দর এর পুত্ররা তার মৃত্যুর ২৫ বছর পর তার নামে আবাইপুর গ্রামে "রামসুন্দর ইনস্টিটিউট" উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
অবকাঠামো
সম্পাদনাএখানে প্রায় চারশত বিঘা জমির উপর দ্বিতল বিশিষ্ট্য একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়।
বর্তমান অবস্থা
সম্পাদনাজমিদার বাড়ির প্রাসাদ এখন আর আগের মত নেই। অনেকাংশই প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রাসাদের এক অংশে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস রয়েছে। আরেকাংশে জমিদার বাড়ির উত্তরসূরি বা বংশধররা এখনো বসবাস করতেছেন। তাদের কাছে এখনো জমিদার বাড়ির ব্যবহৃত কিছু আসবাবপত্র গুচ্ছিত রয়েছে। যেগুলো হলো একটি সচল বৃহত গ্রামফোন (কলের গান), পাথরের তৈরি হুক্কা, একটি তরবারি, প্রাচীন আমলের শ্রীমদ্ভাবতম, বাদ্যযন্ত্র এসরাজ, সাল কাঠের তৈরি পুরাতন দুটি মন্দির ও রূপার তৈরি জরির নকশা করা বেনারসি শাড়ির অংশবিশেষসহ বেশ কিছু প্রততাত্ত্বিক নিদর্শন। এগুলো এখন মূলত রামসুন্দরের উত্তরসুরি রাজকুমার শিকদারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |