শের আলি খান
শের আলি খান (পশতু: شير علي خان )(আনুমানিক ১৮২৫ – ২১ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৯) ছিলেন আফগানিস্তানের আমির। ১৮৬৩ থেকে ১৮৬৬ এবং ১৮৬৮ থেকে ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আমিরের দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি দোস্ত মুহাম্মদ খানের তৃতীয় পুত্র।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
শের আলি খান | |||||
---|---|---|---|---|---|
আফগানিস্তানের আমির | |||||
আফগানিস্তানের আমির | |||||
রাজত্ব | বারাকজাই রাজবংশ: ১৮৬৩ – ১৮৭৯ | ||||
পূর্বসূরি | দোস্ত মুহাম্মদ খান | ||||
উত্তরসূরি | মুহাম্মদ আফজাল খান | ||||
জন্ম | ১৮২৫ কাবুল, আফগানিস্তান আমিরাত | ||||
মৃত্যু | ২১ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৯ কাবুল, আফগানিস্তান আমিরাত | ||||
সমাধি | |||||
| |||||
রাজবংশ | বারাকজাই রাজবংশ | ||||
পিতা | দোস্ত মুহাম্মদ খান | ||||
মাতা | বিবি খাদিজা[১] |
পিতার মৃত্যুর পর শের আলি খান ক্ষমতালাভ করেন। পরে তার বড় ভাই মুহাম্মদ আফজাল খান তার কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করেন। শের আলি খান পুনরায় আমির হওয়ার আগ পর্যন্ত দুইপক্ষের লড়াই হয়েছে। যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার পারস্পরিক দ্বন্দ্বসংঘাত থেকে তিনি আফগানিস্তানকে নিরপেক্ষ রাখতে সচেষ্ট থাকলেও তাদের চাপের কারণে তার শাসনকাল বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দে নিরপেক্ষতা নষ্ট হয় এবং দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ শুরু হয়। ব্রিটিশরা কাবুলের দিকে যাত্রা করলে শের আলি খান রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে কাবুল ত্যাগ করেন। তার পরে তার পুত্র মুহাম্মদ ইয়াকুব খান শাসনভার লাভ করেন। ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি মাজার-ই-শরিফে মৃত্যুবরণ করেন।
শের আলি খানের সাথে পাকিস্তানের পোতোহার অঞ্চলের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি তার এক মেয়েকে গাখার উপজাতির নেতা খান বাহাদুর রাজা জাহানদাদ খানের সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর গাখার উপজাতি পাকিস্তানের অংশ হয়।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Vogelsang, Willem (২০০২)। "16-War with Britain"। The Afghans। LONDON: Willey-Blackwell, John Willey & SOns, Ltd, UK.। পৃষ্ঠা 257। আইএসবিএন 978-1-4051-8243-0।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনারাজত্বকাল শিরোনাম | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী দোস্ত মুহাম্মদ খান |
আফগানিস্তানের আমির ১৮৬৩–১৮৬৬ |
উত্তরসূরী মুহাম্মদ আফজাল খান |
পূর্বসূরী মুহাম্মদ আজম খান |
আফগানিস্তানের আমির ১৮৬৭–১৮৭৯ |
উত্তরসূরী মুহাম্মদ ইয়াকুব খান |