শেরুল আজম
শেরুল আজম (উর্দু: شعر العجم) উপমহাদেশের ফার্সি কবিদের জীবনী ও তাদের সাহিত্যকর্ম নিয়ে রচিত শিবলী নোমানীর একটি ঐতিহাসিক ও সাহিত্য সমালোচনামূলক গ্রন্থ।[১][২] ৫ খণ্ডে রচিত এই গ্রন্থটির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডে ফার্সি কবিতার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ দেখানো হয়েছে। কবিদের মধ্য থেকে চব্বিশ জন কবি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাদের জীবনী ও কবিতা উল্লেখ করে পর্যালোচনা করা হয়েছে। চতুর্থ খণ্ডে কাব্যের রূপ ও ফার্সি কাব্যের সৌন্দর্য ও ত্রুটি আলোচনা করা হয়েছে। পঞ্চম খণ্ডে কাব্যের বিভিন্ন শাখা, ইশক, চরিত্র, দর্শন, তাসাউফ ইত্যাদি আলোকপাত করা হয়েছে। প্রথম খণ্ডের কাজ শুরু করেন ১৯০৬ সালের ৬ মার্চ। দেড় বছর পর ৬ সেপ্টেম্বর ১৯০৭ সালে তা শেষ করেন। আর এটি প্রকাশ পায় ১৯০৮ সালে। একই বছর দ্বিতীয় খণ্ডের কাজ শুরু করেন। ১৯০৯ সালে দ্বিতীয় খণ্ড ছাপা হয়। ১৯১০ সালে তৃতীয় ও ১৯১২ সালে চতুর্থ খণ্ড প্রকাশিত হয়। ৫ম খণ্ড লিখে যান তার জীবদ্দশায় কিন্তু প্রকাশিত হয় তার মৃত্যুর পর ১৯১৮ সালে সুলাইমান নদভীর তত্ত্বাবধানে। মূল গ্রন্থের পৃষ্ঠা সংখ্যা ১১০০।[৩]
লেখক | শিবলী নোমানী |
---|---|
মূল শিরোনাম | উর্দু: شعر العجم |
দেশ | ব্রিটিশ ভারত |
ভাষা | উর্দু |
বিষয় | সাহিত্য সমালোচনা |
ধরন | ফার্সি সাহিত্য |
প্রকাশিত | ১৯০৬—১৯১৮ |
প্রকাশক | দারুল মুসান্নিফীন শিবলী একাডেমি |
মিডিয়া ধরন | শক্তমলাট |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১১০০ |
ওসিএলসি | ২৩৪৮৫৪৯৩ |
মূল্যায়ন
সম্পাদনাগ্রন্থটি মূল্যায়ন করে অধ্যাপক নজির আহমদ বলেন,
“ | এই বইটির যে পরিমাণ গ্রহণযোগ্যতা অর্জিত হয়েছে এবং মাওলানা শিবলীর যে খ্যাতি অর্জিত হয়েছে সম্ভবত মাওলানা নিজেও সে সম্পর্কে অনুমান করতে পারেননি। ইতঃপূর্বে দুই-তিন খণ্ডের লিখিত বই যেগুলোর বয়স আনুমানিক সত্তর বছর হবে, এ সময়ে ফার্সি ভাষায় অনেক সাহিত্য ভান্ডার জমা হয়েছে যেগুলি মাওলানার হাতে পৌঁছায়নি। কিন্তু এতদসত্ত্বেও শেরুল আজমে আলোচিত বিষয়ের উপর রচিত কোন বই এখন পর্যন্ত শেরুল আজমের মত গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। মাওলানা শিবলীর এই গ্রন্থটি আজ পর্যন্ত প্রথম মাইল ফলকের মর্যাদা রাখে। মাধ্যমিকতা ও উপকরণের কমতি সত্ত্বেও এমন বই রচিত হয়েছে যা ফার্সি কাব্য ও সাহিত্যের সীমানায় সত্তর বছরের ইতিহাসে এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করে আছে। | ” |
— [৪] |
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনাউদ্ধৃতি
সম্পাদনা- ↑ নাবিল আহমদ, ডক্টর (৩১ ডিসেম্বর ২০১৬)। "شبلی نعمانی تہذیب و ثقافت کے مباحث (شعر العجم کے تناظر میں)" [শিবলী নোমানীর সভ্যতা ও সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা (শেরুল আজিম প্রসঙ্গে)]। ইমতেজাজ (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ (১): ১৬৬–২১৯।
- ↑ তাজি, আনজুম (৫ জানুয়ারি ২০১৮)। "শেরুল আজিমের গুরুত্ব"। সামাহি আলমি উর্দু আদব। ১: ৫৬–৬৪। আইএসএসএন 2394-7624।
- ↑ গোলাম রব্বানী, ডক্টর (২০১৪)। উর্দু সাহিত্যে খ্যাতিমান আলিমদের অবদান (১৮৫৭ - ১৯৪৭)। বাংলাবাজার, ঢাকা: মাকতাবাতুত তাকওয়া। পৃষ্ঠা ৫৩–৬৩। আইএসবিএন 9789849039107।
- ↑ মাহমুদ, মিনহাজ উদ্দীন (২০১৬)। উর্দু সাহিত্যে আল্লামা শিবলী নোমানীর অবদান (গবেষণাপত্র)। উর্দু বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১২৮।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- আহরারি, মুহাম্মদ জাফর (১৯৯৯)। উর্দু সাহিত্যের নবজাগরণ এবং শিবলী (গবেষণাপত্র) (ইংরেজি ভাষায়)। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১৩৭–১৪৭।
- খাতুন, শায়েস্তা (২০১৩)। মুসলিম মহিলাদের শিক্ষা ও সামাজিক বিকাশে আল্লামা শিবলীর ভূমিকা (গবেষণাপত্র) (উর্দু ভাষায়)। উর্দু বিভাগ, বীর বাহাদুর সিং পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৫৮–৫৯।
- ইয়াকুব, মুহাম্মদ (অক্টোবর ২০১৮)। "Analytical Study Of Allamah Shibli's Persian Poetry" [আল্লামা শিবলীর ফার্সি কবিতার বিশ্লেষণাত্মক অধ্যয়ন]। গ্লোবাল জার্নাল ফর রিসার্চ অ্যানালাইসিস। ৭ (১০): ৮৮–৯০। আইএসএসএন 2277-8160।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- শেরুল আজম–এর উর্দু সংস্করণ