শেন ওয়াটসন

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার

শেন রবার্ট ওয়াটসন (ইংরেজি: Shane Watson; জন্ম: ১৭ জুন, ১৯৮১) কুইন্সল্যান্ডের ইপসুইচ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারঅস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের অল-রাউন্ডার হিসেবে পরিচিত খেলোয়াড় শেন ওয়াটসন ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মূলতঃ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে তিনি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে থাকেন; কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে সাধারণতঃ তিনি তা করেন না।

শেন ওয়াটসন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
শেন রবার্ট ওয়াটসন
ডাকনামওয়াটো, ডেঞ্জার ম্যান
উচ্চতা১.৮৩[]
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার (উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৯১)
২ জানুয়ারি ২০০৫ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪৮)
২৪ মার্চ ২০০২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ ওডিআই২৬ জানুয়ারি ২০১৪ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই শার্ট নং৩৩
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ ১৯)
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টি২০আই১০ অক্টোবর ২০১৩ বনাম ভারত
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০১–২০০৪তাসমানিয়া
২০০৪–২০০৯কুইন্সল্যান্ড
২০০৫হ্যাম্পশায়ার
২০০৮–রাজস্থান রয়্যালস
২০০৯–নিউ সাউথ ওয়েলস
২০১১–২০১২সিডনি সিক্সার্স
২০১২–ব্রিসবেন হিট
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৫১ ১৭৩ ৩৯ ১২৪
রানের সংখ্যা ৩,৩৪৩ ৫,২৫৬ ১,০৩০ ৮,৮২২
ব্যাটিং গড় ৩৬.৩৩ ৪১.৭১ ২৯.৪২ ৪৩.৬৭
১০০/৫০ ৪/২২ ৯/৩০ ০/১০ ২০/৪৯
সর্বোচ্চ রান ১৭৬ ১৮৫* ৮১ ২০৩*
বল করেছে ৪,৭০৫ ৬,০০০ ৬৫৪ ১১,১১৬
উইকেট ৬৮ ১৬২ ৩৬ ২০২
বোলিং গড় ৩১.৮৩ ৩০.০১ ২২.৫০ ২৮.৭৭
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৩৩ ৪/৩৬ ৪/১৫ ৭/৬৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩৩/– ৫৯/– ১৪/– ৯৫/–
উৎস: ক্রিকইনফো.কম, ৫ জানুয়ারি ২০১৪

বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় বোলার টেরি অল্ডারম্যান তার পরামর্শদাতার ভূমিকায় রয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। ৩ জুন, ২০১০ সালে ফক্স স্পোর্টস অস্ট্রেলিয়ার উপস্থাপক লি ফার্লং-কে বিয়ে করেন।[]

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

২০০০ সালে ওয়াটসন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট একাডেমী'র বৃত্তিধারী খেলোয়াড় ছিলেন।[] নিজ প্রদেশ কুইন্সল্যান্ড ত্যাগ করার পর তাসমানিয়ার পক্ষ হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের মাধ্যমে খেলা শুরু করেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষিক্ত হবার পর পুনরায় কুইন্সল্যান্ডে ফিরে এসে প্রাদেশিক দলে অংশগ্রহণ করেন। ২০০৫ সালে ইংলিশ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে হ্যাম্পশায়ারের পক্ষ হয়ে খেলেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

সম্পাদনা

২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে অভিষিক্ত হন। এরপর থেকেই একদিনের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া দলের নিয়মিত সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। তিনি কিছু টেস্ট ম্যাচও খেলেছেন। জানুয়ারি, ২০০৫ সালে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক ঘটান। টেস্টে তিনি অল-রাউন্ডার হিসেবে পরিচিতি পান। কিন্তু আঘাতপ্রাপ্তির কারণে প্রায়শঃই তাকে টেস্ট দলের বাইরে অবস্থান করতে হয়। এরপরও তিনি ২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে সাইমন ক্যাটিচের সাথে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরূপে মাঠে নামছেন।

সম্মাননা

সম্পাদনা

শেন ওয়াটসন ২০১০ সালে অ্যালান বর্ডার পদক পান। ঐদিনই তিনি বছরের সেরা একদিনের ক্রিকেট খেলোয়াড়, বছরের সেরা ২য় টেস্ট খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেছিলেন। এছাড়াও, ২০১১ সালে অ্যালান বর্ডার পদক লাভ করেন। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের পর তিনি হচ্ছেন দ্বিতীয় খেলোয়াড়, যিনি পরপর দুইবার এ পদক লাভ করেছেন।

২০১২ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় তিনি ৪৯.৮০ গড়ে ২৪৯ রান সংগ্রহের পাশাপাশি বল হাতে ১১ উইকেট পান। এরফলে তাকে ম্যান অব দ্য সিরিজ ঘোষণা করা হয়। আইসিসির ক্রিকেট ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ধারাবাহিকভাবে চারবার ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান। এছাড়াও, ২০০৮ ও ২০১৩ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের প্রতিযোগিতায় ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট ঘোষিত হন তিনি।

ফোর্বসের মতে, ২০১২ ও ২০১৩ সালে ওয়াটসন বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তিনি ৫.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ উপার্জন করেন। এছাড়াও, ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত খেলোয়াড় তিনি।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Shane Watson"cricket.com.auCricket Australia। ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৪ 
  2. Casamento, Jo (30 May 2010). "Sport's golden couple tie knot in unassuming style". Sydney Morning Herald. Retrieved 2010-05-30.
  3. Excellence : the Australian Institute of Sport. Canberra: Australian Sports Commission. 2002.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা