শিলিগুড়ির পরিবহন ব্যবস্থা
শিলিগুড়ি নগরের পরিবহন ব্যবস্থা রিক্সা, স্থানীয় বাস এবং টেম্পো অন্তর্ভুক্ত করে। কোনও মিটার যুক্ত যানবাহন নেই। ছয়টি আসনের ডিজেল চালিত টেম্পো প্রায় সময় ১০–১৫ কিমির দুই গন্তব্যের মধ্যে নিয়মিতভাবে চলাচল করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের দ্বারা নির্ধারিত ভাড়াতে। পেট্রোল চালিত অটোরিক্সাও ভাড়া করা যেতে পারে। মোট ১৬,০০০ রিক্সা পৌরসভা সম্বন্ধীয় কর্পোরেশন দ্বারা লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং আরও অতিরিক্ত ৫৫,০০০ বেআইনি রিক্সা এই ক্রমবর্ধমানভাবে ঘিঞ্জি শহরটিতে নিয়মিতভাবে চলাচল করে। শিলিগুড়ি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এক প্রধান শহর, ইহা ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে। একটি মূল বাণিজ্য কেন্দ্র হিসাবে এই শহর বিমান, সড়ক ও রেল পথের একটি উন্নত পরিবহন জালবিন্যাস দ্বারা সু-সজ্জিত। যদি পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং এবং সিকিমের গ্যাংটক এর মত শহরগুলি ভ্রমণ করতে হয়, শিলিগুড়ি হল এই প্রতিটি জায়গার প্রবেশদ্বার।
সড়কপথ
সম্পাদনাশিলিগুড়ি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র তথা ভারতের উত্তর-পূর্বের প্রবেশদ্বার। একটি বিস্তৃত সড়ক জালবিন্যাস শিলিগুড়িকে কলকাতার সাথে সংযুক্ত করে, যা দেশের বাকি অংশের সাথেও সংযোগস্থাপনের একটি প্রধান বিন্দু। শিলিগুড়ি সড়কপথের দ্বারা ভারতীয় রাজ্য সিকিম এবং নেপাল ও ভুটান দেশের সাথে সংযুক্ত। জাতীয় মহাসড়ক ৩১,৩১-এ, ৩১-ডি এবং ৫৫ শিলিগুড়িকে প্রতিবেশী শহর এবং রাজ্যগুলির সঙ্গে সংযুক্ত করে। তেনজিং নোরগে সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাস বেসরকারি এবং সরকারি মালিকানাধীন বাসের একটি প্রধান কেন্দ্রস্থল। এছাড়াও ভুটানের রাজকীয় সরকার শিলিগুড়ি থেকে তার সীমান্ত শহর ফুন্টসোলিং পর্যন্ত বাস পরিষেবা প্রদান করে। ভাড়ার জিপ গাড়িগুলিও এই শহরকে তার প্রতিবেশী শৈলশহর দার্জিলিং, কালিম্পং, গ্যাংটক, কার্শিয়াং ইত্যাদির সাথে সংযুক্ত করে। সিকিম সরকারের সিকিম রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন, বাস স্টেশন থেকে সিকিমের বিভিন্ন গন্তব্যস্থলে বাস পরিচালনা করে।
রেলপথ
সম্পাদনাশিলিগুড়িতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন আছে; শিলিগুড়ি টাউন, শিলিগুড়ি জংশন এবং নিউ জলপাইগুড়ি জংশন।[১] নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন বর্তমানে এই অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। এটি দেশের প্রতিটি প্রধান রেলপথের সাথে সংযুক্ত।
বিমানপথ
সম্পাদনাবাগডোগরায় একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে যা শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৭ কিমি দূরে অবস্থিত। বাগডোগরা বিমানবন্দর [২][৩] দিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই ও গুয়াহাটির সাথে নিয়মিত বিমান দ্বারা সংযুক্ত। বিমানবন্দরটির দ্বারা শিলিগুড়ি ভুটানের থিম্পু শহর ও থাইল্যান্ডের ব্যাংকক শহরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ব ও বেশ কিছু বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা এই বিমানবন্দরে পরিষেবা প্রদান করে। এই অঞ্চলে একটি বিমানঘাঁটি রয়েছে, যেখান থেকে গ্যাংটক, সিকিমের নিয়মিত হেলিকপ্টার পরিষেবা পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Alastair Boobyer। "India: the complex history of the junctions at Siliguri and New Jalpaiguri" (ইংরেজি ভাষায়)। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ০২-০১২-২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "কম ভাড়ায় বেশি উড়ান চেয়ে চিঠি"।
- ↑ "যন্ত্রের হাতে জিয়নকাঠি, অপেক্ষায় বাগডোগরা"।