শিবসাগর জেলা
শিবসাগর জেলা {উচ্চারণ: ˈsɪvəˌsʌgə(r) or ˈʃɪvəˌsʌgə(r)} (অসমীয়া: শিৱসাগৰ জিলা), ভারতের অসম রাজ্যের একটি প্ৰশাসনিক জিলা৷ ঐতিহাসিকভাবে একটি অতি গুৰুত্বপূৰ্ণ জেলা। ছয়শ বছরের আহোম রাজবংশের বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী এই শিবসাগর। সমগ্ৰ জিলাতে আসামের শাসনকালের অনেক স্থাপত্য, ভাস্কৰ্য, ময়দান, পুকুর, গড়, আলিবাট আদি স্থাপনা আছে।
শিবসাগর জেলা | |
---|---|
জেলা | |
শিবসাগর জিলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | আসাম |
সদর | শিবসাগর |
আয়তন | |
• মোট | ২,৬৬৮ বর্গকিমি (১,০৩০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (2009) | |
• মোট | ২৫,০৮,০২১ |
• জনঘনত্ব | ৯৪০/বর্গকিমি (২,৪০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় মান সময় (ইউটিসি+5:30) |
ওয়েবসাইট | sivasagar.nic.in |
শিবসাগর নামের উৎপত্তি
সম্পাদনাস্বৰ্গদেবতা রুদ্ৰসিংহর মৃত্যুর শিবসিংহ রাজসিংহাসনে বসে। সিংহাসনে বহি চার গৰাকী কুঁৱৰী থকাৰ পিছতো স্বৰ্গদেও শিৱসিংহই চিনাতলীয়া নটৰ জীয়েক ফুলমতী বা ফুলেশ্বরিকে পৰ্বতীয়া কুঁবরি করে আনে।রাজার কুঁবরী হয়ে ফুলমতী নাম নেয় প্ৰমথেশ্বরী। ফুলেশ্বরী কুঁবরী কেবল সুন্দরী ছিলেন না,, ছিলেন অতি বুদ্ধিমতী এবং উচ্চাভিলাষী। রাজ্যাভিষেক হবার ছমাস না হতেই 'ছত্ৰভঙ্গ যোগ' পরার চেলু উলিয়াই স্বৰ্গদেবতাকে রাজকাৰ্যের জন্য অব্যাহতি দিলেন এবং সোনা রূপার মোহর মেরে নিজে বড় রাজা হ'ল। কিন্তু এহেন প্ৰতাপী রাণীরও প্ৰতাপের এদিন শেষ হ'ল। প্ৰসব বেদনাতে জৰ্জরিত হয়ে ফুলেশ্বরী কুঁবরী ঢুকাই থাকিল। ফুলেশ্বরী কুঁবরীর মৃত্যুর পিছনে তেওঁরে ভনীয়েক দ্ৰৌপদীক স্বৰ্গদেবে বিবাহ করায়। রাণী হয়ে দ্ৰৌপদী অম্বিকা নাম নেয়। এইবার বড় রাজা হ'ল অম্বিকা। বড় রাজা হয়ে অম্বিকাই স্বামী শিবসিংহের নামে একটা পুকুর খোঁড়ে এবং তার পাড়ে দৌল নিৰ্মাণ করায়। এই পুকুরটায় হ'ল শিবসাগর পুখুৰী।[১] আহোম শাসনের প্ৰশাসনীয় কেন্দ্ৰ আছিল রংপুর নগর। কারেংঘরকে কেন্দ্ৰ করে চারপাশের অঞ্চলটি ছিল তাহানির রংপুর। বৃটিশরা এসে প্ৰথমে শিবসাগৰ পুকুরের আশে-পাশে এই অঞ্চলের প্ৰশাসনীয় কেন্দ্ৰ স্থাপন করেছিল। তারপর থেকে কালক্রমে এ অঞ্চলকে ধীরে ধীরে শিবসাগর নামে পরিচিত হয়।
ইতিহাস
সম্পাদনাঅৰ্থনৈতিক গুরুত্ব
সম্পাদনাশিবসাগরের অৰ্থনীতি প্ৰধানত তেল গাছ, চা, এবং কৃষির ওপরে নিৰ্ভরশীল৷
ভৌগোলিক বিবরণ
সম্পাদনা- শিবসাগর জেলার অবস্থানঃ
২৬.৪৫- ২৭.১৫ ডিগ্ৰী উত্তৰ অক্ষাংশ আৰু ৯৪.২৫- ৯৫.২৫ ডিগ্ৰী পূব দ্ৰাঘিমাংশত অৱস্থিত। - মাটি কালিঃ
২৬৬৮ বৰ্গ কি.মি. - জলবায়ুঃ
- বাৰ্ষিক বৃষ্টিপাতঃ
- গড় আৰ্দ্ৰতাঃ
- তাপমাত্ৰাঃ
উচ্চতম:....... ডিগ্ৰী চেলচিয়াচ
নিম্নতম:..... ডিগ্ৰী চেলচিয়াচ - চারিসীমাঃ
- উত্তরে ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদী
- পূর্বে ডিব্ৰুগড় জেলা
- দক্ষিণে নাগালেণ্ড এবং অরুণাচল প্ৰদেশ
- পশ্চিমে যোরহাট জিলা।
- জিলাটির উল্লেখযোগ্য নদীঃ
জিলাটির উত্তর দিকে ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদী বয়ে গেছে। অন্য প্ৰধান নদীসমূহ হ'ল- দিচাং, দিখৌ, দরিকা, জাঁজী।
জন গাঁথনি
সম্পাদনা২০১১ সনের লোকগণনা অনুসারে শিবসাগর জেলার জনসংখ্যা ১,১৫০,২৫৩ জন; ইয়াৰে পুরুষ ৫,৮৯,৪৫৪ জন এবং মহিলা ৫৬০,৭৯৯ জন। মহিলার সংখ্যা প্ৰতি ১০০০ পুরুষের বিপরীতে ৯৫১ জনী। জন-ঘনত্ব প্ৰতি বৰ্গ কি.মি.-এ ৪৩১ জন। প্রতি বছরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৯.৩৭%। স্বাক্ষরতার হার ৮১.৩৬%।[২]
জিলা সদর
- শিৱসাগর নগর
শিৱসাগর জেলা ৩টা মহকুমা নিয়ে গঠিত-
- ১.শিবসাগর মহকুমা
- ২.নাজিরা মহকুমা
- ৩.চরাইদেও মহকুমা
জিলাটির উন্নয়ন খণ্ড ৮ টা
সেইকয়টা হচ্ছে
- ১.আমগুরি
- ২.ডিমৌ
- ৩.গৌরীসাগর
- ৪.নাজিরা
- ৫.সোণারি (দিচাংপানী) (গাঁও পঞ্চায়ত ১১খন)
- ৬.লাকুবা (গাঁও পঞ্চায়ত ৪খন)
- ৭.সাপেখাটী (গাঁও পঞ্চায়ত ১৫খন)
- ৮.পশ্চিম অভয়পুর (গাঁও পঞ্চায়ত ৬খন)
- ৯.খেলুবা
শিবসাগর জিলার মোট পৌর নগর ৬ খান
জেলাটি বিধানসভার মোট সমষ্টি ৬টা-
- ১০৩, আমগুরি
- ১০৪, নাজিরা
- ১০৫, মাহমরা
- ১০৬, সোণারি
- ১০৭, থাওরা
- ১০৮, শিবসাগর
শিবসাগরের বৰ্তমানের উপায়ুক্ত-যতীন্দ্ৰ লহকর আরক্ষী অধীক্ষক-অখিলেষ সিং
যাতায়াত
সম্পাদনাউল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- চন্দ্র প্রসাদ সাইকিয়া
- দেবব্রত সাইকিয়া
- ইমরান শাহ(লেখক)
- বেণুধর শর্মা
উল্লেখযোগ্য শিক্ষানুষ্ঠান
সম্পাদনা
গ্যালারিসম্পাদনাতথ্যসূত্রসম্পাদনা
|