মিনামোতো শিযুকা
শিজুকা মিনামোতো হচ্ছে ফুজিকো ফুজিও কর্তৃক সৃষ্টি একটি মাঙ্গা চরিত্র যা, মূলত ডোরেমন সিরিজের অংশ।
শিজুকা মিনামোতো/শিজুকা নোবি | |
---|---|
প্রথম উপস্থিতি | ডিসেম্বর ১৯৬৯ |
স্রষ্টা | ফুজিকো ফুজিও |
কণ্ঠ প্রদান | জাপানি: মাসাকু এবিসু (১৯৭৩), মিচিকো নমুরা (১৯৭৯ – মার্চ ২০০৫), রেই সাকুমা (২০০০), ইউমি কাজাকু (২০০৫–বর্তমান) ইংরেজি: কাসান্দ্রা মরিস |
তথ্য | |
ডাকনাম | শিজুকা সুই |
লিঙ্গ | নারী |
আত্মীয় | নোবিতা নোবি (স্বামী) যশিও মিনামোতো (বাবা) মিসেস মিনামোতো (মা) কাজু (চাচাতো ভাই) শিজুনাদাহামে (পূর্বপুরুষ) শিজু (পূর্বপুরুষ) নোবিসুকে নোবি (পুত্র) নোবিসোকির পুত্র (নাতি) শিবাসির বাবা (নাতির নাতি) শিবাসি নোবি (নাতির নাতির নাতি) শিবাসির চাচাতো বোন (নাতির নাতির নাতনি) |
জাতীয়তা | জাপানি |
বয়স | ৯-১০ |
জন্মদিন | মে ৮, ১৯৬২ (১৯৬৯) মে ৮, ১৯৬৫ (১৯৭৩) মে ৮, ১৯৭৪ (১৯৭৯) মে ৮, ২০০০ (২০০৫) |
বাসস্থান | টোকিও |
জীবনবৃত্তান্ত
সম্পাদনাশিজুকা (জন্ম ৮ মে, বৃষরাশি) সাধারণত শিজুকা-চ্যান (しずかちゃん) নামে ডাকা হয়। সে একটি স্মার্ট, দয়াশীল এবং সুন্দর মেয়ে। 'শিজুকা(しずか)' শব্দের অর্থ শান্ত, ভদ্র। সে নোবিতার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। শিজুকা ইংরেজি ডাবে সু নামে পরিচিত। শিজুকার বয়স ১০ বছর। শিজুকার উচ্চতা ১৪১ সে.মি.। শিজুকার চুল ১৯৭৯ সিরিজের পর্বগুলোতে বাদামি বর্ণের থাকলেও ২০০৫ সিরিজের পর্বে চুলের রং কালো দেখায়। সে নোবিতার সাথে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে। তার কোনো ভাই-বোন নেই, তবে চাচাতো ভাই-বোন রয়েছে। শিজুকার প্রিয় খাবার মিষ্টি অালু। সে ভায়োলিন বাজাতে পছন্দ করে। তবে মায়ের নির্দেশ অনুযায়ী সে পিয়ানো বাজানো শিখতে যায়। শিজুকার একটি পোষা কুকুর (পেরো) এবং ক্যানারি পাখি (পিকো) রয়েছে। দিনে সে বেশ কয়েকবার স্নান করে। মাঝেমধ্যে ডোরেমনের গ্যাজেটের ভুল ব্যবহারের কারণে শিজুকার স্নানে ব্যাঘাত ঘটে এবং শিজুকা সাধারণত চেঁচিয়ে ওঠে।
ভবিষ্যতে নোবিতার সাথে শিজুকার বিয়ে হয়। বর্তমানে তার কারো প্রতি নির্দিষ্ট আকর্ষণ নেই (তবে শিজুকা নোবিতাকে পছন্দ করে)। টেলিভিশনের সুদর্শন আইডলের প্রতি তার আগ্রহ দেখা যায়।
কন্ঠাভিনেতা
সম্পাদনা- কাকাজু ইয়ুমি (জাপানি)
- পারুল ভাহ্তনাগার (হিন্দি)
- শিওয়ারফা রেউঅ্যানেক (থাই)
- সোনিয়া টরেচিলা (স্পেনীয় )
- ফ্যানিমা কাসাডো (স্পেনীয় ২০০৩-২০০৬)
- ফেডেরিকা ভেলেন্টি (ইতালীয়)
- মায়া বারান (ফরাসি)
- ওলগা সুপারভিয়া (কাতালান)
- বিঅ্যাটা ওয়ারাবকেউইজ (পোলিস্)
- বারবারা লোয়ারেনকো (ইউরোপীয়, পর্তুগিজ)
- অনিকা হোসেন (বাংলা, বেশিরভাগ পর্বে)
- মাফিয়া চৌধুরী (বাংলা)
- ক্রিসটিনা হারনানডেজ (লাতি)
- অ্যালা খাদের (আরবি)
সম্পর্ক
সম্পাদনানোবিতা নবি
সম্পাদনাশিজুকা নবিতাকে তার অন্যন্য বন্ধুদের থেকে বেশি ভালোবাসে। যাহোক, সে মাঝেমাঝে রাগান্বিত হয় নবিতার অশিষ্ট আচরণ এবং অকস্মাৎ বা ইচ্ছাপূর্বক নবিতার স্নানকক্ষে প্রবেশের জন্য। তার সত্ত্বেও সে প্রায়ই তা মিটমাট করে নেয়। অনেক পর্বে যা দেখা গেছে সে সত্যই নবিতার প্রতি যত্নশীল এবং সাহায্য করে যখন নবিতা জটিল অবস্থার মধ্যে পড়ে যেমন জিয়ান ও সুনিওর দ্বারা পীড়িত হয়, অথবা অন্য কিছুর জন্য দুঃখ পায়। সে তাকে পড়াশোনায়ও সাহায্য করে এবং নবিতাকে তার বানানো কেক এবং কুকি চেখে দেখার দাওয়াত দেয়।
নবিতার বেশি কোন দক্ষতা না থাকলেও ও কাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলেও, শিজুকা তার প্রশংসা করে এবং তার সদয় মনোভাব পছন্দ করে। সে শেষপর্যন্ত ভবিষ্যতে নবিতাকে বিয়ে করবে এবং "নবিসুকে নবি" নামের একজন ছেলের মা হবে।
ডোরেমন
সম্পাদনাডোরেমন শিজুকাকে পছন্দ করে এবং তার সঙ্গ দেয়। শিজুকা প্রায়ই ডোরেমন এবং নবিতাকে নিজের বানানো কেক এবং কুকি খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করে থাকে। মাঝেমধ্যে সে ডোরেমনকে তার গ্যাজেট ধার দিতে অনুরোধ করে, যেখানে ডোরেমন খুশির সাথেই রাজি হয় যেহেতু সে একজন দায়িত্বশীল মেয়ে।
সুনিও হোনেকাওয়া
সম্পাদনাসুনিও এবং শিজুকা ভাল বন্ধু। সুনিও জিয়ান, শিজুকা, নবিতা ও মাঝেমধ্যে ডোরেমনকে তার বাসায় আমন্ত্রণ জানায় এবং তার সাথে কোন জায়গা ভ্রমণের জন্য জিজ্ঞেস করতে চেষ্টা করে(যেখানে নবিতা কদাচিৎ তাদের সাথে আসতে সুযোগ পায়।)। যেমন কিছু পর্বে দেখা যায়, শিজুকা স্পষ্টতই সুনিওর আকার প্রতিভাকে প্রশংসা করে। মাঝেমাঝে সে সুনিওর উপর রেগে যায় তার স্বার্থপরতা ও অন্যের উপর ঔদ্ধত্যের জন্য, বিশেষ করে নবিতার উপর। যখন সুনিও ইচ্ছা করে নবিতার মন খারাপ করার জন্য নবিতাকে তার কোন শৌখিন ভ্রমণে আমন্ত্রণ জানায় না, শিজুকা তাকে দেওয়া আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে। শিজুকাকে সুনিওর নিদ্রাস্বপ্নেও দেখা যায়, যেখানে সুনিও শিজুকাকে উদ্ধার করে।
তাকেশী গৌডা
সম্পাদনাশিজুকা এবং জিয়ান বন্ধু, কিন্তু শিজুকা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে যখন জিয়ান তাকে ও তার অন্য বন্ধুদের তার গানের কনসার্টে একাকী আমন্ত্রণ জানায়। জিয়ানের নবিতার প্রতি আচরণ শিজুকার একদম পছন্দ নয়। কিছু পর্বে যেমন দেখা গেছে, তার রূঢ় আচরণ থাকলেও শিজুকা জিয়ানের প্রতি যত্নশীল।
হিদেতোশী ডেকিসুগী
সম্পাদনাডেকিসুগী শিজুকার খুব ভালো বন্ধু। ডেকিসুগী শিজুকাকে পড়াশোনায় সাহায্য করার জন্য পরিচিত। সে মাঝেমধ্যে নবিতার সাথে সাথে ডেকিসুগীকেও বাসায় বানানো কেক চেখে দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। সে তার সাথে মাঝে মাঝে লাইব্রেরীতেও যায়।
পিকো
সম্পাদনাপিকো হল শিজুকার পোষা এক হলদে পাখি, যা বহুসংখ্যকবার খাচা হতে উড়ে যায় এবং নবিতা আর শিজুকার শহরে দৌড়ে দৌড়ে খোজার কারণ হয়।
পেরো
সম্পাদনাপেরো একটি কুকুর, যেটিকে শিজুকা তার বাল্যকাল হতে রেখেছিল এবং যে নবিতা এবং ডোরেমনের জন্য মরণাপন্ন রোগ থেকে বেঁচে গিয়েছিল।