শিখ সংস্কৃতি
শিখ সংস্কৃতি বলতে প্রায় ২৫ মিলিয়ন অনুসারীর[১] অনুসৃত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম সংগঠিত ধর্ম শিখধর্মের অনুগামীদের সংস্কৃতিকে নির্দেশ করে। শিখ ইতিহাস প্রায় ৫০০ বছরের এবং সেই সময়ে শিখরা শিল্প ও সংস্কৃতির অনন্য অভিব্যক্তি তৈরি করেছে যা তাদের বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত এবং ধর্মের অনুসারীদের স্থানীয়তার উপর নির্ভর করে অন্যান্য অনেক সংস্কৃতি থেকে ঐতিহ্যকে সংশ্লেষিত করে গড়ে তুলেছে। শিখ ধর্ম হল একমাত্র ধর্ম যা পাঞ্জাব অঞ্চলে পাঞ্জাবের বাইরে থেকে আগত অন্যান্য ধর্মের সাথে উদ্ভূত হয়েছে (পাঞ্জাবি হিন্দু ধর্মের সম্ভাব্য ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে যেহেতু প্রাচীনতম হিন্দু ধর্মগ্রন্থ - ঋগ্বেদ - পাঞ্জাব অঞ্চলে রচিত হয়েছিল। জৈন ধর্মের মতো কিছু অন্যান্য ধর্ম, সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শনগুলির মধ্যে জৈন প্রতীক পাওয়া যাওয়ার পর থেকে পাঞ্জাবে উৎপত্তি হয়েছে বলে দাবি করে)। শিখ ইতিহাসের সমস্ত শিখ গুরু, অনেক সাধু এবং অনেক শহীদ পাঞ্জাব এবং পাঞ্জাবি জনগণের (সেইসাথে ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য অংশ) মধ্য থেকে এসেছেন। ভুলভাবে পাঞ্জাবি সংস্কৃতি এবং শিখধর্মকে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত বলে মনে করা হয়। সঠিক অর্থে "শিখ" বলতে শিখধর্মের অনুগামীদের একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীকে বুঝায়, কঠোরভাবে একটি জাতিগত গোষ্ঠীকে নয়। যাইহোক, যেহেতু শিখধর্ম কদাচিৎ ধর্মান্তরিত দেখা যায় ফলে বেশিরভাগ শিখ দৃঢ় জাতিগত-ধর্মীয় বন্ধনে জড়িত, তাই এটি একটি সাধারণ ধারণা যে সমস্ত শিখ একই জাতিগত উত্স হতে আগত। অনেক দেশ, যেমন যুক্তরাজ্য, তাই ভুল ধারণার সাথে শিখদের তাদের আদমশুমারিতে একটি মনোনীত জাতিসত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[২] আমেরিকান অলাভজনক সংস্থা ইউনাইটেড শিখস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারিতে শিখদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য লড়াই করেছে, তারা যুক্তি দেয় যে শিখরা "একটি 'জাতিগত সংখ্যালঘু' হিসাবে আত্ম-পরিচয় দেয়" এবং বিশ্বাস করে যে "তারা কেবল একটি ধর্মের চেয়ে বেশি"।[৩]
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
একটি দশম গ্রন্থের সামনের অংশ।
-
হুজুরীবাগে নির্মিত রঞ্জিত সিংয়ের বারদারি।
-
রামবাগের প্রবেশদ্বার, অমৃতসরের উত্তর-পূর্ব; মহারাজা রঞ্জিত সিং কর্তৃক নির্মিত।
-
১৮শ শতকের শেষের দিকের একটি শিখ হেলমেট। শিখদের না-কাটা চুলের জন্য বিশেষ আকৃতি বিশিষ্ট।
-
দিল্লির গুরুদ্বার বাংলা সাহিব নামের শিখ মন্দিরের একটি দরজা।
-
গুরু গোবিন্দ সিং-এর নিশান (অটোগ্রাফ বা স্বাক্ষর) -সহ আদি গ্রন্থে পাণ্ডুলিপির পৃষ্ঠা।
-
কাগজের নাকাশি অনুলিপিতে অস্বচ্ছ জলরঙ; আনু. ১৮৮০ খ্রি.।
-
হরমন্দির সাহিব বা স্বর্ণ মন্দির, অমৃতসর, ভারত।
-
অকাল তখতের অভ্যন্তরীণ সজ্জ্বা।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Sikhism"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Petition to Disaggregate Sikhs Correctly in the 2010 Census"। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Memorandum Regarding the Tabulation of Sikh Ethnicity in the United States Census" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৪।