শিকোকু
শিকোকু (四国, "চারটি প্রদেশ") হল জাপানের চারটি মূল দ্বীপের মধ্যে ক্ষুদ্রতম (বিস্তার ২২৫ কিমি অথবা ১৩৯.৮ মা) ও সবচেয়ে কম বসতিপূর্ণ (৪১,৪১,৯৫৫ জন- ২০০৫-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ])। হোনশুর দক্ষিণে ও কিউশুর পূর্বে এর অবস্থান। এর প্রাচীন নামসমূহের মধ্যে আছে "ইয়ো-নো-ফুতানা-শিমা" (伊予之二名島), "ইয়ো-শিমা" (伊予島) ও "ফুতানা-শিমা" (二名島)। বর্তমান শিকোকু নামটি পুরোনো যে চারটি প্রদেশে দ্বীপটি বিভক্ত ছিল, তাদের নির্দেশ করে। এই চারটি প্রদেশ ছিল আওয়া, তোসা, সানুকি ও ইয়ো।[২]
স্থানীয় নাম: 四国 | |
---|---|
ভূগোল | |
অবস্থান | পূর্ব এশিয়া |
দ্বীপপুঞ্জ | জাপান দ্বীপপুঞ্জ |
আয়তন | ১৮,৮০০ বর্গকিলোমিটার (৭,৩০০ বর্গমাইল) |
আয়তনে ক্রম | 50th |
দৈর্ঘ্য | ২২৫ কিমি (১৩৯.৮ মাইল) |
প্রস্থ | ৫০–১৫০ কিলোমিটার (৩১–৯৩ মাইল) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ১,৯৮২ মিটার (৬,৫০৩ ফুট) |
সর্বোচ্চ বিন্দু | ইশিযুচি পর্বত |
প্রশাসন | |
জাপান | |
প্রশাসনিক অঞ্চল | এহিমে প্রশাসনিক অঞ্চল কাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল কোওচি প্রশাসনিক অঞ্চল তোকুশিমা প্রশাসনিক অঞ্চল |
বৃহত্তর বসতি | মাৎসুয়্যামা (জনসংখ্যা 516,459[১]) |
জনপরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | ৪১,৪১,৯৫৫ (২০০৫) |
জনঘনত্ব | ২২০.৩২ /বর্গ কিমি (৫৭০.৬৩ /বর্গ মাইল) |
জাতিগত গোষ্ঠীসমূহ | জাপানি |
ভূগোল
সম্পাদনামূল শিকোকু দ্বীপ ছাড়াও সংলগ্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপগুলিও শিকোকু দ্বীপ অঞ্চলের অন্তর্গত। সমগ্র অঞ্চলটির ক্ষেত্রফল প্রায় ১৮,৮০০ বর্গ কিলোমিটার (৭,২৫৯ বর্গমাইল)। এর অন্তর্গত চারটি প্রশাসনিক অঞ্চল হল এহিমে, কাগাওয়া, কোওচি ও তোকুশিমা। উত্তরে সেতো সাগরের অপর পাড়ে অবস্থিত হোনশু দ্বীপের ওয়াকায়ামা, ওসাকা, হিয়োগো, ওকায়ামা, হিরোশিমা এবং য়ামাগুচি প্রশাসনিক অঞ্চল। পশ্চিমে অবস্থান করছে কিউশু দ্বীপের ওওইতা এবং মিয়াযাকি প্রশাসনিক অঞ্চল।
আয়তনের নিরিখে শিকোকুর অবস্থান বিশ্বের দ্বীপগুলির মধ্যে ৫০ তম, এবং জনসংখ্যার দিক দিয়ে ২৩ তম।
দ্বীপের মাঝ বরাবর পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত কিছু পর্বত শিকোকুকে সেতো সাগরের উপকূলবর্তী এক সংকীর্ণ উত্তরাঞ্চল ও প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দক্ষিণাঞ্চলে ভাগ করেছে। ৪২ লক্ষ অধিবাসীর অধিকাংশই উত্তরাঞ্চলে থাকেন, এবং দ্বীপের বড় শহরগুলির অধিকাংশই এখানে অবস্থিত। এহিমের ইশিযুচি পর্বত (石鎚山) শিকোকুর উচ্চতম শৃঙ্গ, এর উচ্চতা ১৯৮২ মিটার (৬৫০৩ ফুট)। শিল্প বর্তমান, যার মধ্যে পড়ে বেশ্শি তাম্রখনি থেকে উত্তোলিত আকরিক শোধন। দ্বীপটিতে নিবিড় কৃষিকাজ হয়। বিশেষত পূর্বদিকে অবস্থিত বিস্তীর্ণ পলল সমভূমি অঞ্চলে প্রতি বছর ধান ছাড়াও শীতকালে গম ও বার্লি চাষের মাধ্যমে বহুফসলি চাষ করা হয়। উত্তরাঞ্চলে ফল চাষ গুরুত্বপূর্ণ ও বৈচিত্র্যময়। এদের মধ্যে আছে বিভিন্ন প্রকার লেবু, পার্সিমন, পীচ ও আঙুর। গম উৎপাদনের প্রাচুর্যের জন্য এদো যুগ থেকে কাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলের (পূর্বতন সানুকি প্রদেশ) মূল খাদ্য হয়ে উঠেছে সানুকি উদোন (讃岐うどん) নামক মোটা নুড্লস।
দক্ষিণাঞ্চলের অবশিষ্টাংশ পর্বতময় ও জনবিরল। কোওচি প্রশাসনিক অঞ্চলের রাজধানী কোওচি শহরের ছোট মাপের সমভূমিটি একমাত্র উল্লেখযোগ্য সমভূমি। মৃদু শীতকালের জন্য কৃত্রিম পদ্ধতিতে কিছু কৃষিকাজ হয়। বিশেষত প্লাস্টিক আচ্ছাদনের তলায় বে-মরশুমী সবজি চাষ উল্লেখযোগ্য। দক্ষিণ শিকোকুতে বছরে দুই বার ধান চাষ হয়। ঘন বন ও খরস্রোতা নদী থেকে প্রাপ্ত জলবিদ্যুতের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে এখানে সমৃদ্ধ কাগজ শিল্প গড়ে উঠেছে।
শিকোকুর প্রধান নদী য়োশিনো। ইশিযুচি পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে এই নদী কোওচি ও তোকুশিমা প্রশাসনিক অঞ্চলের উত্তর সীমা বরাবর পূর্ববাহিনী হয়ে তোকুশিমা নগরের কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে মিশেছে। য়োশিনো নদীর দৈর্ঘ্য ১৯৬ কিমি (১২১.৮ মাইল)।
জাপানের অন্য তিনটি মূল দ্বীপের সাপেক্ষে শিকোকুর একটি স্বাতন্ত্র্য হল, এই দ্বীপে কোনও আগ্নেয়গিরি নেই।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ http://www.citypopulation.de/php/japan-admin.php?adm2id=38201
- ↑ "Shikoku and Awaji Island" (PDF)। Japan National Tourism Organization। সেপ্টেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-০২।
- ↑ "Shikoku: Frommer's Guide from"। Answers.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-২৮।