শাহ মালুম
শাহ মালুম (আরবি: شاه معلوم) ছিলেন সিলেট অঞ্চলের চতুর্দশ শতাব্দীর মুসলিম সুফি। ফেনচুগঞ্জে ইসলাম প্রচার ও মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠায় শাহ মালুম বিশেষভাবে জড়িত। ১৩০৩ সালে তিনি শাহ জালালের নেতৃত্বে সিলেট বিজয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। বিজয়ের পরে তিনি মহুরাপুর পরগনায় (বর্তমানে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর) খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন।[১][২]
শাহ মালুম | |
---|---|
অন্য নাম | জুনায়েদ গুজরাতি (গুজরাতের জুনাইদ) |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ২-৪ জানুয়ারী |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
অন্য নাম | জুনায়েদ গুজরাতি (গুজরাতের জুনাইদ) |
মুসলিম নেতা | |
ভিত্তিক | ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা |
কাজের মেয়াদ | ১৪ শতাব্দীর শুরুর দিকে |
পদ | শাহ জালালের অনুসারী |
জন্ম
সম্পাদনাজুনায়েদ ১৩ শতাব্দীতে ভারতের গুজরাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইয়েমেনের হাদারামাউট থেকে ভারতীয় উপদ্বীপের দিকে শাহ জালালের অভিযানের সময়, দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খলজির অধীনস্থ উলুগ খান দিল্লির সুলতানির অধীনে গুজরাত রাজ্য পেরিয়েছিলেন। শাহ জালালের সাথে সময়কালে জুনেদ তার বুদ্ধি, সাধারণ জ্ঞান এবং নেতৃত্ব জন্য ১৩০৩ সালে সিলেটের বিজয়ের আগে তিনি শাহ মালুম খেতাব অর্জন করেছিলেন।
মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার
সম্পাদনাতিনি কীভাবে এবং কখন মারা গিয়েছিলেন তার সঠিক তথ্য নেই, তবে তাকে রাজপুরের ফেঞ্চুগঞ্জ রেল লাইনের বিপরীতে তাঁর খানকাহের কাছে মাজারে দাফন করা হয়েছে। কয়েক শতাব্দী ধরে বিপুল সংখ্যক ভক্ত তাঁর সমাধিতে যাতায়াত করে যা আজও অব্যাহত রয়েছে। ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারী শাহ মালুমের উরস অনুষ্ঠিত হয়।
ফেঞ্চু শাহের নাম অনুসারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নাম রাখা হয়েছে। ফেঞ্চু ছিলেন শাহ মালুম এর মাজারের একজন খাদেম। তিনি প্রতিদিনি বিকাল বেলা কুশিয়ারা নদীর ঘাটে এসে বসতেন। পরে এখানে দোকানপাট গড়ে উঠলে এর নাম ফেঁচুগঞ্জ রাখা হয়।[৩]
শাহ মালুমের নামানুসারে ইতালির পালেরমোতে একটি দক্ষিণ এশীয় রেস্তোঁরা রয়েছে। এটি প্রদেশের একমাত্র দক্ষিণ এশীয় রেস্তোঁরা হিসাবে উল্লেখযোগ্য।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ উপজেলা প্রশাসনের পটভূমি। fenchuganj.sylhet.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Choudhury, Achyutcharan। "2: Dervish Shah Jalal"। Sreehatter Itibritta – Purbangsho (A History of Sylhet), Part 2। 1। Mustafa Selim; Source publication, 2004। পৃষ্ঠা 193।
- ↑ অন্যান্য। fenchuganj.sylhet.gov.bd। ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০২১।
- ↑ Hall, Nick (১০ ফেব্রু ২০০৫)। "Eye openers"। The Guardian।