শার্শা উপজেলা
শার্শা উপজেলা বাংলাদেশের যশোর জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।[২]
শার্শা | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে শার্শা উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪′২৩″ উত্তর ৮৮°৫১′৫৫″ পূর্ব / ২৩.০৭৩০৬° উত্তর ৮৮.৮৬৫২৮° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | যশোর জেলা |
প্রতিষ্ঠা | ১৭৮১ |
একক | ৮৫ যশোর-১ শার্শা |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন (আওয়ামীলীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ৩৩৬.৩৬ বর্গকিমি (১২৯.৮৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৩,৪১,৩২৮ |
• জনঘনত্ব | ১,০০০/বর্গকিমি (২,৬০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৯.৮% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ৪১ ৯০ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
শার্শা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়,উপজেলা ভুমি অফিস,শিক্ষা অফিস,শার্শা মডেল প্রাইমারি স্কুল,শার্শা পাইলট হাইস্কুল সহ বিভিন্ন সরকারি,আধা-সরকারি ও বেসরকারি অফিস এই উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত।
এছাড়াও শার্শা উপজেলায় অবস্থিত দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর (বেনাপোল স্থলবন্ধর) এবং দেশের প্রথম শ্রেণির পৌরসভা বেনাপোল পৌরসভা এই উপজেলার অন্তর্গত।
বেসরকারি ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান হিসাবে এই উপজেলাতে আফিল জুট উইভিং মিলস লিঃ নামের একটি জুট মিল ও আফিল এগ্রো লিঃ নামে কৃষিভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাজেলা সদর হতে ৩১ কিলোমিটার দুরত্বে শার্শা উপজেলার বুক চিরে চলে গেছে ঐতিহাসিক যশোর রোড। শার্শা উপজেলাটি প্রায় ২২. ৫৪ডিগ্রি ও ২৩. ১৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮. ৫১ ডিগ্রি ও ৮৯.০১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। শার্শা উপজেলার উত্তরে চৌগাছা উপজেলা, দক্ষিণে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা, পূর্বে ঝিকরগাছা উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত।
ইতিহাস
সম্পাদনাশার্শা উপজেলার নামকরণের সঠিক কোন ইতিহাস জানা যায় না। তবে জনশ্রুতি আছে, শার্শা মৌজায় উপজেলা হেডকোয়ার্টার অবস্থিত হওয়ায় শার্শা মৌজার নাম অনুসারে শার্শা উপজেলার নামকরণ হয়েছে।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাএই উপজেলার একটি পৌরসভা 11 টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। যথাক্রমে;
# পৌরসভা :
সম্পাদনা# ইউনিয়ন :
সম্পাদনাজনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনামোট পরিবার সংখ্যাঃ ৬৬,১৯৫টি এবং মোট জনসংখ্যা ৩,০৯,৬৩৩ জন।
শিক্ষা
সম্পাদনাশিক্ষার হার ৪২.৭৪%। এখানে রয়েছেঃ
- কলেজ - ৮টি (ডিগ্রী - ৫টি, উচ্চ মাধ্যমিক - ৩টি);
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ৩১টি;
- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ৪টি;
- মাদ্রাসা - ১০২ (ফাজিল - ৭টি, আলিম - ৭টি, দাখিল - ১৮টি, এবতেদায়ী - ৪০টি, ফোরকানিয়া - ৩০টি);
- প্রাথমিক বিদ্যালয় - (সরকারি - ৭৩টি, বে-সরকারি - ২৯টি, স্যাটেলাইট - ১০টি, কিন্ডারগার্ডেন - ১৮টি, কমিউনিটি - ১২টি, এনজিও পরিচালিত - ১০০টি)।
জানুয়ারী ২০০৯ এর তথ্যানুযায়ীঃ ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাঃ
- সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৩৬,৯৬৯ জন
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় + মাদ্রাসা- ২৭,৯২৫ জন
- কলেজ - ৩,০৩৯ জন।
কৃষি
সম্পাদনা- মোট জমির পরিমাণঃ ৩৩,৬৪২.১৯ হেক্টর। মোট আবাদী জমির পরিমানঃ ২৯,২৪০ হেক্টর; ফল, বাগান ও বনজঃ ১,০০০ হেক্টর, মৌসুমী আবাদী জমিঃ ২৮,২৪০ হেক্টর। এক ফসলী জমির পরিমানঃ ৫২৩ হেক্টর, দো-ফসলী জমির পরিমানঃ ১৪,১২৪ হেক্টর, তে-ফসলী জমির পরিমানঃ ১৩,৯৯৩ হেক্টর, তিনের অধিক ফসলীঃ ৬০০ হেক্টর। আউশ (উন্নত) - ৩৬,৪৩২ একর, রোপা আমন(উফসী) - ৫০,৩৩৮ একর, বোরো(উফসী) - ৫৬,১০০ একর, গমঃ ১৮,০৫২ একর, পাটঃ ৬,২৯৮ একর, তুলাঃ ২৪ একর।
- গভীর নলকুপঃ ৩৭৮টি, অগভীর নলকুপঃ ১৩,৪৩৪টি, পাওয়ার পাম্পঃ ১৯৫টি।
- বিসিআইসি সার ডিলার সংখ্যাঃ ১৪ জন, মোট বিএুয় কেন্দ্রের সংখ্যাঃ ৪৩ টি, কীটনাশক হোলসেল ডিলারঃ ১২ জন, খুচরা ডিলারঃ ২১৯ জন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (ব্লক সুপারভাইজার) - ২৪ জন।
- মোট উৎপাদিত খাদ্যশস্যঃ ১,৮১,৮৫৫ মেঃ টন, মোট খাদ্যশস্যের চাহিদাঃ ৮৩,৮৯৮ মেঃ টন, উদ্বৃত্ত খাদ্য শস্যঃ ৯৭,৯৯৭ মেঃ টন।
- নার্সারিঃ ৩০টি(পুকুর), জলমহালঃ ৮টি, পুকুরঃ সরকারীঃ ৩২টি এবং বে-সরকারীঃ ৪১৩২টি।
- মৎস্য ঘেরের সংখ্যা-৪৫১টি, উৎপাদিত মাছের নামঃ রুই,কাতলা, মৃগাল, পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া,পাবদা,ব্লাককার্প,কইমাছ ইত্যাদি ।
- রেজিঃ দুগ্ধ খামারঃ ৬৩টি, মোটাতাজাকরণ খামারঃ ৭৬টি, ছাগলের খামারঃ ০৯টি, রেজিঃ ব্রয়লার খামারঃ ৬৮টি, রেজিঃ লেয়ার খামারঃ ১৪টি, হাঁসের খামারঃ ০১টি।
- পশু চিকিৎসালয়ঃ ০১টি, কৃত্রিম প্রজনন উপ-কেন্দ্রঃ ০১টি, কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্টঃ ০৩টি, কৃত্রিম প্রজনন সেবা কেন্দ্রঃ ০৬টি।
বিবিধ
সম্পাদনা- পাঠাগার - ১টি।
- সাহিত্যপত্রিকা- অর্বাচীন, শ্রদ্ধাঞ্জলি(২১ শে সংকলন)
- গানের দল- Offline (লোকজ ও সমসাময়িক)
- পর্যটন- বাহাদুরপুর মেন্দে বাওড়, সোনামুখি বিল,বনমান্দার বিল, জিয়ার খাল
- দর্শনীয়স্থান- বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের মাজারশরীফ
- বাংলাদেশের পর্যটন কর্পোরেশন- পর্যটন মোটেল।
- আধুনিক রেঁস্তোরা- THE SUN ROOF
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে শার্শা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১২ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারী ২০১৫।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১২ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৪।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
খুলনা বিভাগের স্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |