শার্ল লুই আলফোঁস লাভরঁ
শার্ল লুই আলফোঁস লাভরঁ (ফরাসি: Charles Louis Alphonse Laveran, ১৮ই জুন, ১৮৪৫ – ১৮ই মে, ১৯২২) একজন ফরাসি চিকিৎসক যিনি ১৯০৭ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞান নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ম্যালেরিয়া ও ট্রিপানোসোমিয়াসিসের মতো সংক্রামক রোগগুলি সৃষ্টিকারী অণুজীব হিসেবে পরজীবী প্রোটোজোয়া জাতীয় প্রাণীগুলিকে আবিষ্কারের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। তিনি পিতা লুই তেওদর লাভরঁ-র পদাঙ্ক অনুসরণ করে সামরিক চিকিৎসাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। এর আগে ১৮৬৭ সালে তিনি স্ত্রাসবুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসক হিসেবে সনদ বা উপাধি লাভ করেন।
শার্ল লুই আলফোঁস লাভরঁ | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৮ মে ১৯২২ প্যারিস, ফ্রান্স | (বয়স ৭৬)
সমাধি | সিমতিয়ের দ্যু মোঁপারনাস (মোঁপারনাস সমাধিক্ষেত্র) ৪৮°৫০′ উত্তর ২°২০′ পূর্ব / ৪৮.৮৪° উত্তর ২.৩৩° পূর্ব |
জাতীয়তা | ফরাসি |
মাতৃশিক্ষায়তন | স্ত্রাসবুর বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | ঘুমন্ত ব্যাধি (Trypanosomiasis), ম্যালেরিয়া |
দাম্পত্য সঙ্গী | সোফি মারি পিদঁসে |
পুরস্কার | চিকিৎসাবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার (১৯০৭) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান পরজীবীবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ভাল-দ্য-গ্রাস সামরিক চিকিৎসা বিদ্যালয় পাস্তুর গবেষণা প্রতিষ্ঠান |
স্বাক্ষর | |
১৮৭০ সালে যখন ফ্রান্স-প্রুশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, তখন তিনি ফরাসি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ২৯ বছর বয়সে তিনি ভাল-দ্য-গ্রাস চিকিৎসা বিদ্যালয়ের সামরিক রোগব্যাধি ও তাদের বিস্তার বিষয়ক চেয়ারের পদে আসীন হন। ১৮৭৮ সালে পদের মেয়াদের শেষের দিকে তিনি আলজেরিয়াতে কাজ করেন এবং সেখানে তার জীবনের সেরা গবেষণাকর্মগুলি সাধন করেন। তিনি আবিষ্কার করেন যে প্লাসমোডিয়াম নামের একটি প্রোটোজোয়া জাতীয় পরজীবী ম্যালেরিয়া রোগের কারণ এবং ট্রিপানোসোমা নামের আরেকটি প্রোটোজোয়া প্রাণী আফ্রিকান ঘুমন্ত অসুখের কারণ।[১] ১৮৯৪ সালে তিনি ফ্রান্সে ফেরত আসেন এবং বিভিন্ন সামরিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ করেন। ১৮৯৬ সালে তিনি পাস্তুর গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সাম্মানিক বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন এবং সেখানে কর্মরত অবস্থাতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি নোবেল পুরস্কার থেকে লব্ধ অর্থের অর্ধাংশ দান করে দেন, যে দানের টাকা দিয়ে পাস্তুর গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯০৮ সালে তিনি সোসিয়েতে দ্য পাতোলোজি এক্জোতিক (Société de Pathologie Exotique, "দূরদেশীয় রোগবিজ্ঞান সমাজ") প্রতিষ্ঠা করেন।[২]
১৮৯৩ সালে লাভরঁকে ফরাসি বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির সদস্য নির্বাচিত করা হয়। ১৯১২ সালে তাঁকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ উপাধি (সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে) "লেজিওঁ দনর" প্রদান করা হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Nye, Edwin R (২০০২)। "Alphonse Laveran (1845–1922): discoverer of the malarial parasite and Nobel laureate, 1907"। Journal of Medical Biography। 10 (2): 81–7। ডিওআই:10.1177/096777200201000205। পিএমআইডি 11956550।
- ↑ Garnham, PC (১৯৬৭)। "Presidential address: reflections on Laveran, Marchiafava, Golgi, Koch and Danilewsky after sixty years"। Transactions of the Royal Society of Tropical Medicine and Hygiene। 61 (6): 753–64। ডিওআই:10.1016/0035-9203(67)90030-2 । পিএমআইডি 4865951।