শার্ল ওগ্যুস্তাঁ দ্য কুলোঁ

ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী

শার্ল ওগ্যুস্তাঁ দ্য কুলোঁ[] (ফরাসি: Charles Augustin de Coulomb) (জুন ১৪, ১৭৩৬- আগস্ট ২৩, ১৮০৬) একজন ফরাসি পদার্থ বিজ্ঞানী ছিলেন। ১৭৩৬ সালের জুন ১৪ তারিখে ফ্রান্সের অঙ্গুলেমে তার জন্ম। তিনি সামরিক প্রকৌশলীর পেশা বেছে নিয়েছিলেন কিন্তু শারীরিক আঘাতের কারণে তাকে তিন বছর মার্টিনিকের ফোর্ট বুরবনে কাটাতে হয়। পুনরায় কাজে যোগদান করে তিনি লা রোশেল, আইল অফ এইক্স এবং শেরবুর্গে দায়িত্ব পালন করেন।

শার্ল ওগ্যুস্তাঁ দ্য কুলোঁ-র প্রতিকৃতি

১৭৮১ সালে তাকে প্যারিসে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয় কিন্তু ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের প্রারম্ভে তিনি “এটেন্ডেন্ট অফ ওয়াটার এন্ড ফাউন্টেইন্স” এর পদ থেকে পদত্যাগ করে এবং ব্লয় এ একটি ক্ষুদ্র এস্টেটে অবসর জীবন যাপন করতে থাকেন। বিদ্রোহী সরকারের জারিকৃত ফরমান অনুযায়ী ওজন ও মাপ এর নতুন মানদন্ড তৈরির কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য তাকে আবার প্যারিসে ডেকে পাঠান হয়। তিনি ছিলেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটের প্রথম সদস্যদের একজন। ১৮০২ সালে তাকে “ইন্সপেক্টর অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন” হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু ততদিনে তার স্বাস্থ্য অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। চার বছর পর প্যারিসে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

কুলম্ব যন্ত্রকৌশল এবং তড়িৎচুম্বকতার ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। তিনি ১৭৭৯ সালে ঘর্ষন এর সূত্র সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার প্রকাশ করেন। এর বিশ বছর পর প্রকাশিত হয় সান্দ্রতা বিষয়ক স্মারক রচনা।

১৭৮৫ সালে পরকাশিত হয় তার গবেষণাপত্র “ধাতুর উপর বিকৃতি বলের প্রয়োগ ও স্থিতিস্থাপকতা সংক্রান্ত পরীক্ষা ও তত্ব” (Recherches théoriques et expérimentales sur la force de torsion et sur l'élasticité des fils de metal)। এই রচনায় তিনি “টরসন ব্যালান্স” যন্ত্রের বিভিন্ন ধরেনের গঠনের বর্ণনা দেন। এই যন্ত্রটি তিনি অত্যন্ত সাফল্যের সাথে ব্যবহার করেন আধান এর তলমাত্রিক বিস্তার এবং তড়িৎচুম্বক বলের সূত্র পরীক্ষার কাজে। তড়িৎচুম্বক বলের গাণিতিক তত্ব আবিষ্কারের পথপ্রদর্শক হিসেবে তিনি বিবেচিত। আধান এর একক কুলম্ব এবং কুলম্বের সূত্র তার নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে।

পাদটীকা

সম্পাদনা
  1. এই ফরাসি ব্যক্তিনামটির বাংলা প্রতিবর্ণীকরণে উইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় ফরাসি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ-এ ব্যাখ্যাকৃত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে। ফরাসি নামটির ইংরেজিকৃত রূপের বাংলা প্রতিবর্ণীকরণ চার্লস অগাস্টিন ডি কুলম্ব, ইত্যাদি হতে পারে।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা