শামাখি জুমা মসজিদ

আজারবাইজানের শামাখির মসজিদ

শামাখি জুমা মসজিদ (আজারবাইজানি: Şamaxı Cümə Məscidi) আজারবাইজানের শামাখি শহরে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি আজারবাইজান ও সমগ্র ককেশাস অঞ্চলের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম মসজিদগুলির মধ্যে একটি। মসজিদটি ১০৭৮ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি আজারবাইজানের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।

বর্ণনা

সম্পাদনা

মসজিদটি একটি বিশাল চতুর্ভুজাকার কাঠামো যাতে একটি বড় কেন্দ্রীয় হল রয়েছে। হলটি একটি লম্বা গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত যা মসজিদের কেন্দ্রে অবস্থিত। মসজিদের বাইরের দেয়ালগুলোতে সুন্দর মোজাইক নকশা রয়েছে। শামাখি জুমা মসজিদটি ১৯৯৫ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

ইতিহাস

সম্পাদনা

শামাখি জুমা মসজিদটি ১০৭৮ সালে শামাখির তৎকালীন শাসক শাহ আবদুল্লাহর নির্দেশে নির্মিত হয়। মসজিদটি নির্মাণের জন্য ইরানের কিরমাহ থেকে কারিগরদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। মসজিদটি ১২২৫ সালে মঙ্গোল আক্রমণের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে পরে এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। ১৭ শতকে মসজিদের অভ্যন্তরে একটি নতুন গম্বুজ নির্মিত করা হয়। শামাখি জুমা মসজিদটি ১৯ শতকে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে পরে এটি পুনরুদ্ধার করা হয়। ১৯৯৫ সালে মসজিদটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

স্থাপত্য

সম্পাদনা

মসজিদের কেন্দ্রীয় হলটি প্রায় ১৬০০ জন মুসল্লির জন্য জায়গা দিতে পারে। হলটি একটি বিশাল খিলান দ্বারা আচ্ছাদিত যা উপরে গম্বুজের সাথে সংযুক্ত। গম্বুজটি মসজিদের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং এটি চুনাপাথর এবং সিমেন্ট দিয়ে তৈরি। নকশাগুলিতে কুরআনের আয়াত, ফুলের নকশা এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতীক রয়েছে।

গুরুত্ব

সম্পাদনা

শামাখি জুমা মসজিদ আজারবাইজান ও সমগ্র ককেশাস অঞ্চলের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম মসজিদগুলির মধ্যে একটি। এটি আজারবাইজানের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। মসজিদটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  • "Shamaxı Juma Mosque." UNESCO World Heritage Centre, 2023, https://whc.unesco.org/en/list/1192.
  • "Şamaxı Cümə Məscidi." Wikipedia, the Free Encyclopedia, 2023, https://az.wiki.x.io/wiki/Şamaxı_Cümə_Məscidi.
  • "Jumah Mosque of Shamakhi." Archnet, https://archnet.org/sites/2047.