শকুনি দীঘি
শকুনি দীঘি বা শকুনি লেক বাংলাদেশের মাদারীপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মানবসৃষ্ট দীঘি। তটভূমিসহ শকুনি দীঘির আয়তন ১,০১,১৭২ বর্গমিটার, দৈর্ঘ্য ৪৮৬ মিটার ও প্রস্থ ১৯৮ মিটার। ১৯৪৩ সালে মাদারীপুর শহরকে প্রমত্তা আড়িয়াল খাঁ নদের পাড় থেকে নতুন করে স্থাপনের জন্য দক্ষিণে সরিয়ে আনার লক্ষ্যে এ দীঘিটি খনন করা হয়। কাগজপত্রে এর নাম ‘শকুনি দীঘি’ হলেও স্থানীয়দের কাছে এটি ‘মাদারীপুর লেক’ হিসেবে সুপরিচিত।[১]
শকুনি দীঘি | |
---|---|
অবস্থান | মাদারীপুর |
স্থানাঙ্ক | |
ধরন | কৃত্রিম জলাশয় |
অববাহিকার দেশসমূহ | বাংলাদেশ |
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য | ৪৮৬ মিটার |
সর্বাধিক প্রস্থ | ১৯৮ মিটার। |
পৃষ্ঠতল অঞ্চল | ১,০১,১৭২ বর্গমিটার |
গড় গভীরতা | ১০ মিটার (প্রায়) |
জনবসতি | মাদারীপুর |
অবস্থান
সম্পাদনামাদারীপুর পৌর এলাকায় শহরের কেন্দ্রে ১১১নং শকুনি মৌজায় (দাগ নং ৪২১) ১৯.৪৫ একর ভূমির উপর শকুনি দীঘির অবস্থান।[২][৩]
ইতিহাস
সম্পাদনাঐতিহাসিকদের মতে, পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙ্গান রক্ষায় ১৯৪৩ সালে লেকটি খনন করে এর চারপাশে নতুন শহর স্থাপন করা হয়।[৪][৫] চল্লিশের দশকে এ অঞ্চলে মাটিকাটা শ্রমিকের অভাব থাকায় ২০ একর আয়তনের এই লেক খনন করার জন্য তৎকালীন ব্রিটিশ প্রসাশন ভারতের বিহার ও উড়িষ্যা অঞ্চল থেকে ২ হাজার শ্রমিক ভাড়া করে আনে। ৯ মাসে এর খনন কাজ সম্পন্ন হয়। এটি এ অঞ্চলের দীর্ঘতম লেক হিসেবে পরিচিত।[৬] মাদারীপুর পৌরসভা ২০১৩ সালে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে এর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শেষ করে। বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, শহীদ কানন, শিশু পার্ক, স্বাধীনতা অঙ্গন, এমপি থিয়েটার মঞ্চ, শান্তি ঘাটলা, পানাহারসহ মাদারীপুর ঘড়ি নামে একটি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে ‘শকুনি লেক’ প্রকল্পে।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "শকুনি লেক | আয়োজন | The Daily Ittefaq"। archive1.ittefaq.com.bd। ২০১৯-০৭-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৩।
- ↑ "বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা" (পিডিএফ)।
- ↑ "ঐতিহ্যবাহী শকুনী দীঘি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি দর্শনীয় স্থান"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ মাহমুদ, লিখন (১০ ডিসেম্বর ২০১২)। মাদারিপুর ইতিবৃত্ত। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মাদারিপুর। পৃষ্ঠা ৭। আইএসবিএন 978-984-35-3208-4।
- ↑ "পযর্টন শিল্পের এক অপার সম্ভাবনাময় 'শকুনি লেক'"। www.jaijaidinbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৩।
- ↑ travelnews; travelnews (২০১৯-০৫-২৪)। "শকুনি লেক"। Travel News Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৩।
- ↑ webdesk@somoynews.tv। "শেষ হয়েছে শকুনী লেকের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ, দর্শনার্থীদের ভিড়"। somoynews.tv (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৩।
আরও দেখুন
সম্পাদনা- সেনাপতি দিঘি
- রামসাগর
- কমলারাণীর দীঘি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দীঘি