লেন বাটারফিল্ড
লিওনার্ড আর্থার বাটারফিল্ড (ইংরেজি: Len Butterfield; জন্ম: ২৯ আগস্ট, ১৯১৩ - মৃত্যু: ৫ জুলাই, ১৯৯৯) ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৬ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | লিওনার্ড আর্থার বাটারফিল্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড | ২৯ আগস্ট ১৯১৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৫ জুলাই ১৯৯৯ ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড | (বয়স ৮৫)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৩৬) | ২৯ মার্চ ১৯৪৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩৪/৩৫ - ১৯৪৫/৪৬ | ক্যান্টারবারি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন লেন বাটারফিল্ড।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৮৩৪-৩৫ মৌসুম থেকে ১৯৪৫-৪৬ মৌসুম পর্যন্ত লেন বাটারফিল্ডের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডানহাতে সিম বোলিং করতে পারতেন।
১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে ক্যান্টারবারির পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে আরও তিনটি খেলায় অংশ নেন লেন বাটারফিল্ড। এ পর্যায়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করা থেকে শুরু করে আট নম্বর অবস্থান পর্যন্ত ব্যাট হাতে মাঠে নামতেন। তবে, তেমন সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। ১৯৪৩-৪৪ মৌসুমে অল-রাউন্ডার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপনায় সচেষ্ট হন। এ পর্যায়ে মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন ও বোলিং উদ্বোধন করতেন। ৫/২৪ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে ক্যান্টারবারিকে অকল্যান্ডের বিপক্ষে জয়লাভে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। এর পরের খেলায় ওয়েলিংটনের বিপক্ষে ৫/৪৭ নিয়ে দলকে জয়ী করান। এর পরপরই নিউজিল্যান্ডে একাদশের সদস্যরূপে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ও নিউজিল্যান্ড সার্ভিসেস একাদশের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪০ রান সংগ্রহ করেন। ঐ পর্যায়ে এটিই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল।
১৯৪৪-৪৫ মৌসুমে ওতাগোর বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন। এরফলে, অকল্যান্ডে মৌসুমের শেষ খেলায় সাউথ আইল্যান্ডের সদস্যরূপে নর্থ আইল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্যে মনোনয়ন লাভ করেন। নিম্নমুখী রানের খেলায় সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬ ও ৫৮ রান তুলেন। প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে উদ্বোধনে নেমে ৩/৪৭ পান। এ পর্যায়ে তার দল ৬৭ রানে পিছিয়ে ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে নর্থ আইল্যান্ডের প্রথম পাঁচ-উইকেট করায়ত্ত করেন। আঘাতের কারণে মাঠ ত্যাগ করার পূর্বে তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ১২-৫-৯-৫।[১] এরফলে, নর্থ আইল্যান্ড দূর্দান্তভাবে খেলায় ফিরে আসে। ২৬২ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় ধাবিত হয় তার দল। বাটারফিল্ডের ৫৮ ও ইয়ান ক্রম্ব ৬২ রান করা সত্ত্বেও ৩৪ রানে পরাজয়বরণ করে।[২]
১৯৪৫-৪৬ মৌসুমে অকল্যান্ড ও ওতাগোর বিপক্ষে যথাক্রমে ৭৬ ও ৬৯ রান তুলেন। এছাড়াও, প্রথম ইনিংসে ২৮.৫-২১-১৭-৪ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন তিনি। মার্চে অস্ট্রেলীয় একাদশের বিপক্ষে ক্যান্টারবারি পরাজিত হয়। ব্যাট কিংবা বল হাতে নিয় উভয় বিভাগেই তিনি ব্যর্থতার স্বাক্ষর রাখেন। তাসত্ত্বেও ঐ মাসের শেষদিকে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিতব্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলার জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন লেন বাটারফিল্ড। ২৯ মার্চ, ১৯৪৬ তারিখে ওয়েলিংটনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
১৯৪৫-৪৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দল নিউজিল্যান্ড গমন করে। বল হাতে নিয়ে বেশ মিতব্যয়ী বোলিং করেন। তবে, কোন উইকেটের সন্ধান পাননি তিনি। একমাত্র টেস্টের উভয় ইনিংসে শূন্য রানের অধিকারী গর্ডন রো ছয় নম্বরে আউট হবার পর তিনি সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে নামেন। খেলায় ১০ বল মোকাবেলা করেও কোন রানের সন্ধান পাননি। উভয় ক্ষেত্রেই বিল ও’রিলি’র এলবিডব্লিউতে আউট হন তিনি।[৩]
১৩ ওভারে ২৪ রান খরচ করেছিলেন। এরফলে দশজন ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে তাদের একমাত্র টেস্টের উভয় ইনিংসে শূন্য রানে খেলোয়াড়ী জীবন সম্পন্ন করেছেন। এ তালিকায় জি. এফ. গ্রেস সর্বাগ্রে ও সাম্প্রতিককালে গ্যাভিন হ্যামিলটন রয়েছেন। ১৯৪৬ সালে অংশগ্রহণকৃত একমাত্র টেস্টের উভয় ইনিংসেই তিনি জোড়া শূন্য রানের সন্ধান পেয়েছিলেন। তবে, এ থেকে তার উত্তরণের কোন উপায় ছিল না। এটিই তার সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা হিসেবে পরিগণিত হয়।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাক্রিকেট খেলা থেকে সড়ে আসার পর ২১ বছর নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করেন। ঘোড়ার সাজসজ্জার প্রতিষ্ঠান নিউজিল্যান্ড ট্রটিং কনফারেন্সের প্রধান বেতনভুক কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন।[৪]
৫ জুলাই, ১৯৯৯ তারিখে ৮৫ বছর বয়সে ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় লেন বাটারফিল্ডের দেহাবসান ঘটে। মৃত্যু পূর্ব-পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম বয়োজ্যেষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Wisden 2000, p. 1536.
- ↑ North Island v South Island 1944-45
- ↑ New Zealand v Australia, Wellington 1945-46
- ↑ One of NZ's oldest test cricketers dies aged 85 Retrieved 14 December 2012.
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে লেন বাটারফিল্ড (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে লেন বাটারফিল্ড (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)