লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজ
লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজ (এলবিসি) কলকাতা শহরে অবস্থিত ভারতের শীর্ষস্থানীয় নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অগ্রগণ্য। এই কলেজ প্রাক-স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের ভরতি নেয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত উপাধি প্রদান করে। এটা রাজ্য সরকার দ্বারা প্রশাসিত একটা কলেজ এবং এর অবস্থান অন্যতম মহানগরীয় অঞ্চলের মধ্যে। [১]
ধরন | প্রাক-স্নাতক কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৩৯ |
অধিভুক্তি | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
অধ্যক্ষ | শিউলি সরকার |
ঠিকানা | পি-১/২, সোহরাবর্দি অ্যাভিনিউ, বেনিয়াপুকুর , , , ৭০০০১৭ , ২২°৩২′৪৪″ উত্তর ৮৮°২২′০৮″ পূর্ব / ২২.৫৪৫৪৮৭৫° উত্তর ৮৮.৩৬৮৯৯২৬° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
ওয়েবসাইট | www.ladybrabourne.com |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে সেই সময়কালের বাংলার প্রধানমন্ত্রী এ কে ফজলুল হকের উদ্যোগ অনুযায়ী কলিকাতার (বর্তমানে কলকাতা ) পার্ক সার্কাসের একটা ভাড়া করা বাড়িতে লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। একজন অ্যাংলো-আইরিশ অভিজাত মহিলা, ব্যারোনেস ব্র্যাবোর্ন ডোরিন মহাশয়ার নামে এই কলেজের নামকরণ করা হয়েছিল, যিনি তৎকালীন বাংলার গভর্নর মহামান্য পঞ্চম ব্যারন ব্রেবোর্ন মহাশয়ের স্ত্রী ছিলেন। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩ ফেব্রুয়ারি লর্ড ব্র্যাবোর্নের জীবনাবসান হয়। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ অগস্ট পরবর্তী গভর্নর স্যর জন হার্বার্ট লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এই কলেজে মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল এবং বাকি শিক্ষার্থী নেওয়া হোত হিন্দু, পার্সি, শিখ, জৈন এবং অন্যান্য মানবগোষ্ঠীর মধ্যে থেকে।[২] শুধুমাত্র মুসলিম শিক্ষার্থীদেরই ছাত্রী আবাসের সুবিধা দেওয়া হোত। মুসলিম শিক্ষার্থীদের অভাবের কারণেই এই কলেজে হিন্দু শিক্ষার্থীদের ভরতি করা শুরু হয়।[৩] অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য অনুযায়ী এই কলেজে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ভরতি হওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।[৪] ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য সংসৃষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই কলেজকে তাদের শিক্ষার্থীদের পিএইচডি প্রদান করার অনুমতি দিয়েছিল। [৫]
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তনী এবং অনুষদ
সম্পাদনা- অরুন্ধতী ভট্টাচার্য
- অরুন্ধতী ঘোষ
- অসীমা চট্টোপাধ্যায়
- বেগজাদি মাহমুদা নাসির
- গৌরী ধর্মপাল
- হেলেনা খান
- জাহানারা ইমাম
- কোয়েনা মিত্র
- রিমি বি চ্যাটার্জি
- ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
- সৈয়দা সাকিনা ইসলাম
- তারা চ্যাটার্জি
- ইন্দ্রাণী সেন
- শ্রাবণী সেন
- সুস্মিতা বসু মজুমদার
- আবদুল খালেক
আরো দেখুন
সম্পাদনা- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত কলেজগুলির তালিকা
- ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা
- পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Ladybrabourne College"। www.ladybrabourne.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৫।
- ↑ Tamanna Khan (২০১০-০৭-২৩)। "Brabourne's Bengali Muslim Women : Holding the Mast of Education"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০১৯-১২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-১৭।
- ↑ হেনা মুখার্জী (২০১২)। "লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজ"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "Aliah University no longer under Minority Affairs department, Muslims fear this will impact minority enrollment"। twocircles.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৫।
- ↑ "Lady Brabourne College and Bethune College: Latest News, Videos and Photos"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৫।