লিন্ডসে লোহান
লিন্ডসে লোহান (ইংরেজি: Lindsay Dee Lohan; জন্ম: ২ জুলাই ১৯৮৬)[১] হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, গায়িকা, ব্যবসায়ী ও ফ্যাশন ডিজাইনার। নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করা লোহান শিশু বয়সেই ফোর্ডের মডেল হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন। ১০ বছর বয়সেই নিয়মিত অ্যানাদার ওয়ার্ড-এ অভিনয় করতে থাকা লোহান ডিজনি পিকচার্সের দ্য প্যারেন্ট ট্র্যাপ (১৯৯৮) চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ পান। এই ছবির সফলতা তাকে টেলিভিশন চলচ্চিত্র ফ্রিকি ফ্রাইডে (২০০৩)-এ কাজের সুযোগ করে দেয়। শিশুশিল্পী হিসেবে লোহানের কাজগুলো তাকে তারকা খ্যাতি এনে দেয় এবং মিন গার্লস (২০০৪) তাকে কিশোর আদর্শ অভিনয়শিল্পী হিসেবে তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে। তিনি পরবর্তীতে হার্বি ফুল্লি লোডেড (২০০৫) ও জাস্ট মাই লাক (২০০৬) চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন।
লিন্ডসে লোহান | |
---|---|
Lindsay Lohan | |
জন্ম | লিন্ডসে ডি লোহান ২ জুলাই ১৯৮৬ |
পেশা | অভিনেত্রী, গায়িকা, ফ্যাশন ডিজাইনার |
কর্মজীবন | ১৯৮৯-বর্তমান |
সঙ্গী | দিমিত্রি তারাবাসভ (বাগদত্তা ২০১৬-২০১৭) |
পিতা-মাতা | মাইকেল লোহান ডিনা লোহান |
আত্মীয় | মাইকেল লোহান জুনিয়র (ভাই) অ্যালাইনা লোহান (বোন) |
লোহান আইনি জটিলতায় পড়ে গণমাধ্যমের আলোচনায় আসেন এবং তাকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রেও যেতে হয়। এই সময়ে তিনি আ প্রেইরি হোম কম্প্যানিয়ন (২০০৬), ববি (২০০৬) ও চ্যাপ্টার টুয়েন্টি সেভেন (২০০৭) চলচ্চিত্রে প্রাপ্ত বয়স্ক চরিত্রে কাজের দিকে মনোযোগ দেন। কিন্তু তার আইনি জটিলতার জন্য তিনি আরও কয়েকটি কাজ হারান এবং দর্শকদের কাছে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে থাকে। ২০১০-এর দশকে তিনি মাশেটি (২০১০), লিজ অ্যান্ড ডিক (২০১২), ও দ্য ক্যানিয়ন্স (২০১৩) ছবিতে কাজ করেন। ওপরা উইনফ্রির সাথে তার একটি সাক্ষাৎকার ব্যাপকহারে প্রচারিত হলে তাকে নিয়ে লিন্ডসে (২০১৪-১৫) নামে একটি প্রামাণ্য-ধারাবাহিক নির্মিত হয়। ২০১৫ সালে স্পিড-দ্য-প্লো নাটক দিয়ে লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডে তার মঞ্চনাটকে অভিষেক হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Lohan's troubled celebrity life"। বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ জুলাই ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৮।