লাল শিয়াল
লাল শিয়াল হচ্ছে জাত শিয়ালের সবচেয়ে বড় অংশ এবং এরা মাংসভুক বর্গ হিসেবে সমগ্র উত্তর গোলার্ধ, সুমেরু বৃত্ত থেকে উত্তর আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা এবং ইউওরেশিয়ায় ছড়িয়ে আছে। এটি আই ইউ সি এন'র ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ প্রাণীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এরা মানব সম্প্রদায়ের বিস্তারের পাশাপাশি বিস্তার লাভ করেছে এবং অস্ট্রেলিয়ায় স্থানীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী ও পাখি সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতিকারক প্রাণী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। অস্ট্রেলিয়ায় এর এমন উপস্থিতির কারণে এটি বিশ্বের ' ১০০ খারাপ আক্রমণাত্মক প্রজাতি' হিসেবে তালিকার অন্তর্ভুক্ত।
লাল শিয়াল Vulpes vulpes সময়গত পরিসীমা: ০.৭–০কোটি Middle Pleistocene – present | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
উপপর্ব: | Vertebrata |
শ্রেণী: | Mammalia |
অধঃশ্রেণী: | Eutheria |
বর্গ: | Carnivora |
পরিবার: | Canidae |
গণ: | Vulpes |
প্রজাতি: | Vulpes vulpes |
দ্বিপদী নাম | |
Vulpes vulpes (Linnaeus, 1758) | |
Subspecies | |
Distribution of the red fox native
introduced presence uncertain | |
প্রতিশব্দ | |
|
লাল শিয়াল মধ্য ভিলাফ্রান্সিয়াস যুগে ইউরেশিয়ায় ছোট আকারের পুর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত হয়, এবং উত্তর আমেরিকায় উইসকনসিন হিমবাহের পর পরই বসতি গড়ে। অন্যান্য জাতের শেয়ালের মধ্যে , এই লাল শেয়াল মাংসভুক হিসেবে নিজেদের উন্নত করে। এদের বড় আকার ছাড়াও এরা নতুন পরিবেশে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারার কারণে অন্য প্রজাতির শেয়ালের তুলনায় তাঁদের আলাদা করে দেয়। এদের লাল শেয়াল নামকরণ সত্ত্বেও এদের মধ্যে শ্বেত ও কৃষ্ণকায় বর্নের শেয়াল দেখা যায়।
বর্তমান পর্যন্ত এদের ৪৫টি উপপ্রজাতি চিহ্নিত করা গেছে, যা দুটি ভাগে বিভক্ত; বড় নর্দান ফক্স এবং এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার বেসাল সাউথার্ন ফক্স।
লাল শেয়াল সাধারনত একসঙ্গে জুটি বেঁধে অথবা ছোট দল বেঁধে থাকে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে, যেমন একটি জুটি এবং তাঁদের তরুন সদস্য নিয়ে অথবা একটি পুরুষ তার সাথে কয়েকটি মাদী শেয়াল সহ।
লাল শিয়ালের প্রজননের সময় শীতকাল। বেশিরভাগ পুরুষের কেবল একটি মহিলা অংশীদার থাকে তবে কিছু পুরুষ একাধিক মহিলার সাথে প্রজনন কাজে অংশগ্রহণ করে। সঙ্গমের পরে, স্ত্রী শিয়াল প্রসবের জন্য গর্ত তৈরি করে। সাধারনত পুরুষ শিয়াল গর্তে প্রবেশ করে না। লাল শিয়ালের গর্বকালীন সময় প্রায় সাত থেকে আট সপ্তাহ। স্ত্রী লাল শিয়াল (ভিক্সেন) সাধরনত একসাথে ২-১২টি শাবকের জন্ম দেয়। সদ্যজাত শাবকগুলো অন্ধ হিসেবেই জন্মগ্রহণ করে মানে জন্মের সাথে সাথেই এদের চোখ ফোটে না। প্রসবের পর প্রায় পাঁচ সপ্তাহ শাবকগুলো অন্ধকারেই থাকে এবং গর্ত থেকে বের হয় না। এই সময় পুরুষ শিয়াল গর্তে প্রবেশ করে না তবে স্ত্রী শিয়াল ও শাবকদের জন্য খাবার সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। শাবকগুলোর চোখ খুলতে সময় লাগে প্রায় ১২-১৪ দিন।[২] এই সময় দলের অন্যান্য তরুন সদস্যরা নতুন শাবকদের যত্ন নেয়ার জন্য তাদের বাবা মায়ের সাথে থাকে।
এই প্রজাতিটি প্রাথমিক ভাবে ছোট ইঁদুরকে খাবার হিসেবে শিকার করে, যদিও এটি খরগোশ, গেম বার্ড, সরীসৃপ, অমেরুদণ্ডী প্রাণী এবং ছোট আনগোল্টসকে শিকারের লক্ষ্যবস্তু বানায়। মাঝে মাঝে তাদের ফল ও সবজী ও খেতে দেখা যায়। যদিও এরা অন্য প্রজাতির ছোট শেয়ালসহ ছোট ছোট শিকারী প্রাণীকে শিকার করে, তারাও অন্য বড় শিকারী যেমন নেকড়ে, কয়োট, সোনালী খেঁকশিয়াল, এবং মাঝারি ও বড় বুনো বিড়াল দ্বারা শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
কীট পতঙ্গ দমন এবং বহু দেশে এর ফার বাণিজ্যের মাধ্যমে,এই প্রজাতিটির মানুষের সাথে সহযোগিতার অনেক লম্বা ইতিহাস রয়েছে, এবং সে সাথে এটি মানব সভ্যতার বহু পৌরণিক এবং মিথলজিতে উপস্থাপিত হয়েছে। তাদের সংখ্যাধিক্য এবং বিস্তৃত অবস্থানের কারণে, এটি ফার ব্যবসার জন্য সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য প্রাণী হিসেবে দেখা হয়। মানুষের জন্য খুব সামান্য ক্ষতিকর, এবং মানুষের উপস্থিতিতে অনেক সুবিধা লাভ করে বলে, এরা সফলভাবে অনেক শহুরে এবং মফস্বল এলাকায় বসতি গাড়তে পেরেছে। রাশিয়ায় লাল শিয়ালকে গৃহপালিত করার চেষ্টা চললে, এবং একারণে গৃহপালিত লাল শেয়াল দেখা যায়।
চিত্রশালা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Hoffmann, M. & Sillero-Zubiri, C. (২০১৬)। "Vulpes vulpes"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন। 2016: e.T23062A46190249।
- ↑ "লাল শিয়াল পরিচিতি- আবাস, খাদ্যাভাস, আচরণ, প্রজনন ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব"। Familiarity with Animals-FWA। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |