লাওসের জাতীয় পতাকা
লাওসের বর্তমান জাতীয় পতাকাটি (Lao: ທຸງຊາດລາວ; thungsad Lāo) ১৯৭৫ সালের ২রা ডিসেম্বর তারিখ হতে প্রবর্তিত হয়। এই পতাকাটি পূর্বে ১৯৪৫ সালে স্বল্পস্থায়ী জাতীয়তাবাদী লাওস সরকার ব্যবহার করেছিলো।
ব্যবহার | জাতীয় পতাকা এবং ensign |
---|---|
অনুপাত | ২:৩ |
গৃহীত | ১২ অক্টোবর ১৯৪৫;
২ ডিসেম্বর ১৯৭৫ (পুনরায় গৃহীত) |
অঙ্কন | অনুভূমিকভাবে লাল, নীল (দ্বিগুণ উচ্চতা) ও লাল রঙের ব্যান্ড। কেন্দ্রে একটি সাদা বৃত্ত, যার ব্যাস নীল ব্যান্ডের উচ্চতার ৪⁄৫ অংশ। |
এঁকেছেন | মহা সিলা ভিরাভং |
বর্ণনা
সম্পাদনাপতাকাটিতে রয়েছে তিনটি আনুভূমিক অংশ, যার মাঝের নীল রঙের অংশটি উপর ও নিচের লাল অংশের চাইতে প্রস্থে দ্বিগুণ। পতাকার কেন্দ্রে রয়েছে একটি সাদা বৃত্ত। বৃত্তটির ব্যাস নীল অংশের উচ্চতার ০.৮ গুণ। পতাকাটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ২:৩।
পতাকার লাল বর্ণটি লাওসের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিসর্জিত রক্তের প্রতীক। নীল বর্ণটি দেশের সমৃদ্ধির প্রতীক। সাদা বৃত্তটি মেকং নদীর উপরে উদীত চাঁদের মতো, এবং এটি কমিউনিস্ট সরকারের অধীনে দেশের একতার তাৎপর্যবাহী।
পূর্বের পতাকা
সম্পাদনা১৯৫২ হতে শুরু করে ১৯৭৫ সালে রাজতন্ত্রের পতন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত লাওসে প্রচলিত ছিলো লাল বর্ণের একটি পতাকা,. যার মধ্যস্থলে ছিলো সাদা বর্ণের তিন মাথা বিশিষ্ট একটি হাতি, যা দেবতা ঐরাবতের প্রতীক। হাতির উপরে ছিলো নয় ভাঁজের একটি ছাতা, আর হাতিটি একটি পাঁচ স্তরের বেদীর উপরে বসে ছিলো। সাদা হাতি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে রাজ বংশের প্রতীক। এর তিনটি মাথা লাওসের তিনটি প্রাচীন রাজ্য - ভিয়েনতিয়েন, লিয়াংপ্রবাং, এবং জিএংখৌং, এর প্রতীক। নয় মাথা বিশিষ্ট ছাতাটিও একটি রাজকীয় প্রতীক, যা বৌদ্ধ ধর্মের সুমেরু পর্বতের প্রতীক। বেদীটি ছিলো দেশের আইন শৃংখলার পরিচায়ক।