লহু কে দো রঙ
লহু কে দো রঙ (হিন্দি: लहू के दो रंग, অনুবাদ 'রক্তের দুই রঙ') হচ্ছে ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র। মহেশ ভাট পরিচালিত চলচ্চিত্রটিতে নায়ক-নায়িকার ভূমিকায় ছিলেন বিনোদ খান্না[২] এবং শাবানা আজমি[৩], দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করা বিনোদের আরেক নায়িকা ছিলেন হেলেন, এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন ড্যানি ডেনজংপা, এবং প্রেমা নারায়ণ আর রঞ্জিত। ফারুক কায়সারের গীতিতে চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন বাপ্পী লাহিড়ী এবং চলচ্চিত্রটির দুটি গান অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। চলচ্চিত্রটি ১৯৭৯ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর তারিখে মুক্তি পায় এবং এটি ভারত সহ হংকং-এ শুটিং হয়েছিলো। চলচ্চিত্রটির গল্প, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছিলেন সূর্য সনিম। নায়িকা হেলেন শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন 'সুজি' চরিত্রে অভিনয়ের জন্য।
লহু কে দো রঙ | |
---|---|
পরিচালক | মহেশ ভাট |
প্রযোজক | সিরু দারইয়াননী ভাগওয়ান এস সি |
রচয়িতা | সূর্য সনিম |
শ্রেষ্ঠাংশে | বিনোদ খান্না শাবানা আজমি ড্যানি ডেনজংপা |
সুরকার | বাপ্পী লাহিড়ী |
চিত্রগ্রাহক | প্রবীণ ভাট |
সম্পাদক | বমন ভোঁসলে গুরুদত্ত শিরালি |
মুক্তি | ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
আয় | ₹3,10,00,000[১] |
সারাংশ
সম্পাদনাশমশের সিংহ নামের একজন পুরুষ যিনি ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন (বিপ্লবী নেতা সুভাষ চন্দ্র বসুর অনুসারী) তিনি হংকংয়ে সুজি নামের এক মেয়ের প্রেমে পড়েন এবং তার সঙ্গে সহবাস করেন, ফলশ্রুতিতে সুজি গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং তার একটি বাচ্চা হয়। শমশের ভারতে চলে আসেন এবং ভারতে এক গ্রামীণ নারীকে বিয়ে করেন, এখানেও শমশের তার পত্নীকে অন্তঃসত্ত্বা বানান এবং বাচ্চার নাম রাখেন রাজ সিংহ যে বড় হয়ে তার মতোই দেখতে হয়। ভারাতের স্বাধীনতার একটু আগে শমশের ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে খুন হন।
রাজ সিংহ পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে চাকরি করে এবং সে রোমা নামের এক মেয়ের প্রেমে পড়ে যাকে সে দার্জিলিং-এ দেখে।
অভিনয়ে
সম্পাদনা- বিনোদ খান্না - শমশের সিং/পুলিশ পরিদর্শক রাজ সিংহ (দ্বৈত চরিত্র)
- শাবানা আজমি - রোমা
- ড্যানি ডেনজংপা - সূর্য
- হেলেন - সুজি
- রঞ্জিত - শঙ্কর কাঠুরিয়া/দেবী দয়াল
- প্রেমা নারায়ণ - অনিতা/মীনা
- ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় - লাড়জো (শমশেরের গ্রামীণ পত্নী)
সঙ্গীত
সম্পাদনাসব গানগুলোর সুরকার ছিলেন বাপ্পী লাহিড়ী এবং গানগুলোর মধ্যে 'চাহিয়ে থোড়া প্যায়ার' এবং 'মুস্কুরাতা হুয়া মেরা ইয়ার' জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো।[৪]
নং. | শিরোনাম | গায়ক-গায়িকা | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|
১. | "চাহিয়ে থোড়া প্যায়ার" | কিশোর কুমার | ০৫ঃ১৬ |
২. | "মুস্কুরাতা হুয়া মেরা ইয়ার" | কিশোর কুমার | ০৬ঃ৪১ |
৩. | "মস্তি মেঁ জো নিকলি" | কিশোর কুমার, সুলক্ষ্মণা পণ্ডিত | ০৪ঃ২৩ |
৪. | "জিদ না করো" | লতা মঙ্গেশকর | ০৪ঃ১৬ |
৫. | "মাথে কি বিন্দিয়া -১" | মোহাম্মাদ রফি, অনুরাধা পৌডওয়াল | ০৬ঃ০০ |
৬. | "হামসে তুম মিলে" | চন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়, ড্যানি ডেনজংপা | ০৪ঃ১৬ |
৭. | "যিদ না করো -২" | কে. জে. জেসুদাস | ০৪:১৭ |
৮. | "মাথে কি বিন্দিয়া-২" | মোহাম্মাদ রফি, অনুরাধা পৌডওয়াল | ০৪ঃ০৫ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Box Office 1979"। Box Office India। ২০ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানু ২০১২।
- ↑ Farhana Farook (৬ অক্টোবর ২০১৯)। "Birthday Special: Mahesh Bhatt pays tribute to the late Vinod Khanna"। filmfare.com।
- ↑ Amitava Banerjee (২৮ এপ্রিল ২০১৭)। "Queen of Hills fondly remembers starry-eyed Vinod Khanna"। millenniumpost.in।
- ↑ Manash Firaq Bhattacharjee (৪ আগস্ট ২০১৯)। "Kishore Kumar was the Mood of a Generation"। thewire.in।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে লহু কে দো রঙ (ইংরেজি)