লতা কস্তুরী
লতা কস্তুরী (বৈজ্ঞানিক নাম Abelmoschus moschatus) পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জন্মে থাকে। অঞ্চল ভিত্তিক বিভিন্ন নামে এ উদ্ভিদের পরিচিতি আছে লতা কস্তুরীর। মুসকদানা 'বনঢেড়শ এবং কলকস্তুরী লতাকস্তুরী বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এর চাষ হয়ে থাকে বনে জঙ্গলে লতা কস্তুরী দুষ্প্রাপ্য।[১] আর এক প্রকারের লতা কস্তুরী জার্মানিতে পাওয়া যায এ প্রজাতির ফুলগুলো ফোটে পিঙ্ক ও লাল।
লতাকস্তুরী/Abelmoschus moschats | |
---|---|
লতাকস্তুরী | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
জগৎ: | plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Tracheophytes |
বিভাগ: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
বর্গ: | Malvales |
পরিবার: | মালভেসি |
গণ: | Abelmoschus |
প্রজাতি: | A.moschats |
দ্বিপদী নাম | |
লতা কস্তুরী/Abelmoschus moschats Medic |
প্রাপ্তিস্থান
সম্পাদনাদক্ষিণ আমেরিকার দেশ সহ অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া (ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান ) থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, বার্মা এবং আফ্রিকার দেশসমূহে দেখতে পাওয়া যায় লতা কস্তুরী । এটি একটি মূল্যবান ঔষধি উদ্ভিদ যা মানব কল্যাণে বহুবিধ অবদান রাখে। লাল প্রজাতির লতা কস্তুরী ভারত, আফ্রিকা, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়াতে দেখতে পাওয়া যায়। এর ফুলের সৌন্দর্য সবাইকে আকৃষ্ট করে। [২] [৩]
লতা কস্তুরীর বৈশিষ্ট্য
সম্পাদনালতা কস্তুরী বর্ষজীবী উদ্ভিদ , আকারে খুব ছোট। উচ্চতা ফুট তিনেকের মত হয়। ডাটা শক্ত এবং শক্ত সরু লোমে ঢাকা। বোটা পাতা থেকে লম্বা হয়। পাতা দেখতে ঠিক হৃদপিন্ডের মত , মোট তিন থেকে পাঁচটি অংশে বিভক্ত।পাতার আগার দিকটা সরু, কিনারা করাতের দাঁতের মতো খাঁজকাটা। পাতার উভয় দিক লোমে ঢাকা। আকাশে হলুদ রঙের ফুল ফোটে উল্টে দেখতে খুবই সুন্দর অবিরাম দেখতে ইচ্ছে করে ।এই গোষ্ঠীর পরিচিত নাম লতা কস্তুরী বা মুসুকদানা লতা কস্তুরী গ্রামাঞ্চলে খুব বেশি দেখতে পাওয়া যায় না উঁচু এবং সমতল জমিতে লতাকস্তুরি জন্মে, কোন কোন সময় পথের ধারে বন জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায়। এই গ্রাম অঞ্চলে গাছটি বনঢেড়স নামে পরিচিত। লতা কস্তুরী বীজ মাছ ধরার চারের এর জন্য বিখ্যাত। শহরের বাজারের দোকানে লতা কস্তুরী বীজ কিনতে পাওয়া যায়। বীজে প্রচুর পরিমাণে সৌরভ সুগন্ধি আছে। লতা কস্তুরী বীজের সুগন্ধির কারণে একসময় মৃগনাভির বিকল্প হিসেবে কাজ করতো এবং ব্যবহৃত হতো এবং এ কারণেই এর কস্তুরী নাম হয়েছে ।এর ফল অনেকটা ঢেড়সের মত দেখতে, বীজ খেতে মিষ্টি স্বাদ যুক্ত। কার্তিক মাসে ফুল ফোটা শুরু হয় এবং বৈশাখ মাসে শেষ হয়। লতা কস্তুরী বিভিন্ন রোগে ঔষধি রুপে ব্যবহৃত হয়।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "pink okra Edible oranmensl"। shopper.ph (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৭।
- ↑ "useful tropical plant"। theferns.info। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৭।
- ↑ "লতাকস্তুরি: ওষুধিগুণে ভরপুর দুষ্প্রাপ্য এক ফুল"। eyebrows.news। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৭।
- ↑ "লতা কস্তুরি একটি ওষুধি গাছ"। barciknews.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৭।