লকমা জমিদার বাড়ি
লকমা জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার কড়িয়া গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। স্থানীয়দের কাছে এটি চৌধুরী বাড়ি নামে বেশ পরিচিত।
লকমা জমিদার বাড়ি | |
---|---|
বিকল্প নাম | চৌধুরী বাড়ি |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | পাঁচবিবি উপজেলা |
ঠিকানা | কড়িয়া গ্রাম |
শহর | পাঁচবিবি উপজেলা, জয়পুরহাট জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
উন্মুক্ত হয়েছে | আনুমানিক ১৫০০ শতকে |
স্বত্বাধিকারী | হাদী মামুন চৌধুরী |
কারিগরী বিবরণ | |
উপাদান | ইট, চুন ও সুরকি |
তলার সংখ্যা | ০৩ (তিন) |
তলার আয়তন | ০৩ একর |
অন্যান্য তথ্য | |
কক্ষসংখ্যা | ৩০ (ত্রিশ) |
ইতিহাস
সম্পাদনাবাংলাদেশের উত্তরপ্রান্তে ভারতের সীমান্ত ঘেষা জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় এই জমিদার বাড়িটি আনুমানিক প্রায় ১৫০০-১৬০০ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠা করেন জমিদার হাদী মামুন চৌধুরী। কথিত আছে এই জমিদার বাড়ির জমিদাররা ছিলেন খুবই অত্যাচারী ও নিষ্ঠুর। জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার অনেক আগেই এই জমিদার বাড়ির জমিদারী শেষ হয়ে যায়। কারণ এরা অত্যাচারী হওয়াতে গায়েবি মাধ্যমে এদেরকে জমিদার বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়। তারপর তারা তাই করেন এবং এরপর থেকেই এখানের জমিদারী বিলুপ্ত হয়।
অবকাঠামো
সম্পাদনাতিন একর জায়গা জুড়ে দুই ভাগে নির্মিত এই জমিদার বাড়ি। বাড়িটির প্রাসাদ মূলত তিন তলা বিশিষ্ট্য ছিল। তবে বর্তমানে দুই তলা রয়েছে। একতলা বা নিচের তলা মাটির নিচে চাপা পড়েছে। পুরো প্রাসাদটিতে মোট ২৫/৩০টি কক্ষ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে হাতিশালা, ঘোড়াশালা ও কাছারিঘরসহ ইত্যাদি।
বর্তমান অবস্থা
সম্পাদনাজমিদার বাড়ির সবকিছুই এখন প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। লতাপাতায় জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে। বর্তমানে এই জমিদারীর আওতাভুক্ত অধিকাংশ এলাকা এখন ভারতের ভূখণ্ডে। এগুলো হলো জামালপুর, মথুরাপুর, গয়েশপুর, চিঙ্গিশপুর, সতনূল, সানাপাড়া ও মজাতপুর। বাংলাদেশে শুধু পাঁচবিবি উপজেলার এলাকাই রয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |