রোহিনী (অভিনেত্রী)
রোহিনী হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার, কণ্ঠাভিনেত্রী এবং পরিচালক।[১] তিনি মূলত তামিল, মালয়ালম, তেলুগু চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি কন্নড় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করার পরে, তিনি প্রায় ১৩০টির অধিক দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[২] তিনি ১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত স্ত্রী চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় নারী পুরস্কার এবং অন্ধ্র প্রদেশের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন।[৩]
রোহিনী | |
|---|---|
| জন্ম | ১৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ |
| জাতীয়তা | ভারতীয় |
| অন্যান্য নাম | রোহিনী মোলেট্টি |
| পেশা | অভিনেত্রী, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার, কণ্ঠাভিনেত্রী, পরিচালক |
| কর্মজীবন | ১৯৭৬–৯৫ ২০০৪-বর্তমান |
| পিতা-মাতা | রভু নায়ডু সরস্বতী |
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনারোহিনী ১৯৬৯ সালের ১৫ই ডিসেম্বর তারিখে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের আনাকাপাল্লে-তে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি চেন্নাইয়ে তাঁর শৈশব অতিবাহিত করেছেন।[৪] তাঁর বাবা রভু নায়ডু ছিলেন একজন পঞ্চায়েত কর্মকর্তা এবং মা সরস্বতী ছিলেন একজন গৃহিনী।[৫] তাঁর বাবা সর্বদা অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন, যদিও তিনি অভিনেতা হতে পারেন না, তবে তিনি নিজের মেয়েকে অভিনেত্রী হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন এবং তিনি তাঁর মেয়ের মাধ্যমে তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করেছিলেন। পাঁচ বছর বয়সে তাঁর মা মারা যান, অতঃপর তাঁর বাবা আবার বিবাহ করেছিলেন। [৬]
রোহিনী প্রখ্যাত অভিনেতা প্রয়াত রঘুবরণের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
পেশা
সম্পাদনাতিনি ১৯৭৭ সালে একজন শিশু শিল্পী হিসাবে অভিনয় জগতে তার জীবন শুরু করেছিলেন। তেলুগু চলচ্চিত্র যশোদা কৃষ্ণ-তে তাকে প্রথম পাঁচ বছরের একটি মেয়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। তিনি তেলুগু এবং তামিল শিল্পের জনপ্রিয় নেপথ্যকণ্ঠ শিল্পী ছিলেন। তিনি মণি রত্নমের পাঁচটি চলচ্চিত্রে ছয়টি চরিত্রের জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন।[৭] তিনি জ্যোতিকা (ভেট্টাইয়াদু ভিল্লাইয়াদু), ঐশ্বর্যা রাই (ইরুভার এবং রাবণন),[৪] মনীষা কৈরালা (বম্বে )[১] এবং অমলা আক্কিনেনি (শিব)-এর মতো অভিনেত্রীদের জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন। তিনি গিরিজা শেত্তর হয়ে আজ পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্ত মণি রত্নমের একমাত্র তেলুগু চলচ্চিত্র গীতাঞ্জলি -তে নেপথ্যকণ্ঠ দানের কাজ করেছেন।
তিনি তামিল ছবি পাচাইকিলি মুঠুচরম-এর জন্য গানের কথা লিখেছিলেন। মালাই পোঝুদিন মায়াকথিলিয়ে নামক অ্যালবামের সমস্ত গান লিখে বেশ কয়েকদিনের জন্য তিনি বিরতি গ্রহণ করেছিলেন।[৮] তাঁর অভিনয়ের দক্ষতার স্বীকৃত প্রদান করে সম্প্রতি তাঁকে কালাইমামনি পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।
এইডস সচেতনতার একজন কর্মী হিসেবে রোহিনী এমজিআর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং তামিলনাড়ু এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির জন্য স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন।[৩] ২০০৮ সালে, রোহিনী চলচ্চিত্র শিল্পের শিশু শিল্পীদের সম্পর্কে সাইলেন্ট হিউস নামে একটি ৫০ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র পরিচালনা করেছিলেন।[৯] ২০১৩ সালে, তিনি আপ্পাভিন মীসাই নামে একটি বৈশিষ্ট্যযুক্ত চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন, যা এখনও মুক্তি পায়নি।[১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Welcome To Amrita TV - Super Dancer Junior 3"। Amritatv.com। ১৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-১৭।
- ↑ "Rohini makes documentary film on child artists"। The Hindu। ২০০৮-০১-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-১৭।
- ↑ ক খ "Documentary on child artists"। Indiaglitz। ২০০৮-০১-০৮। ২০০৮-০১-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-১৭।
- ↑ ক খ "Metro Plus Hyderabad / Profiles : Actor with substance"। The Hindu। ২০১০-০৯-১৪। ২০১০-০৯-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-১৭।
- ↑ http://www.mangalam.com/news/detail/181748-mangalam-varika.html
- ↑ "ഈ ജീവിതം മകനുവേണ്ടി..."। mangalamvarika.com। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৫।
- ↑ Baradwaj Rangan (২০১১-০৮-২৫)। "Roles of a lifetime"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-১৭।
- ↑ "Rohini's Meesai"। Behindwoods। ২০১২-০৭-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-১৭।
- ↑ "Exploring "fragile world" of child actors"। The Hindu। ২০০৮-০২-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-১৭।
- ↑ "''I cannot do a film like Thuppakki'', Rohini, Appavin Meesai"। Behindwoods। ২০১৩-০৭-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-১৭।