রোনালদিনহো
রোনালদিনহো (Ronaldinho) হলেন ব্রাজিলের বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড়। ইদানীং কালের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফুটবলার হিসেবে তিনি স্বীকৃত। তিনি স্পেনের বার্সেলোনা ক্লাবে খেলতেন। রোনালদিনহো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে ব্যাপকভাবে বিবেচিত, তিনি দুটি ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় পুরস্কার এবং একটি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি একটি বিশ্বকাপ, একটি কোপা আমেরিকা, একটি কনফেডারেশন্স কাপ, একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, একটি কোপা লিবার্তাদোরেস এবং একটি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রোনালদো ডে আসিস মোরেরা | |||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২১ মার্চ ১৯৮০ | |||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম স্থান | পোর্তো আলেগ্রে, ব্রাজিল | |||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮১ মি (৫ ফু ১১ ইঞ্চি)[১] | |||||||||||||||||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান |
আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড়, উইঙ্গার | |||||||||||||||||||||||||||||||
যুব পর্যায় | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৭–১৯৯৮ | গ্রেমিয়ো | |||||||||||||||||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | ||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৮–২০০১ | গ্রেমিয়ো | ৫২ | (২১) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০১–২০০৩ | প্যারিস সেন্ট-জার্মেই | ৫৫ | (১৭) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩–২০০৮ | বার্সেলোনা | ১৪৫ | (৭০) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮–২০১১ | এসি মিলান | ৭৬ | (২০) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০১১–২০১২ | ফ্ল্যামেঙ্গো | ৩৩ | (১৫) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০১২–২০১৪ | এটলেটিকো মিনেইরো | ৪৮ | (১৭) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪–২০১৫ | কোয়েরেটারো | ২৫ | (৮) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫ | ফ্লুমিনেন্স | ৭ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৭ | ৬ | (২) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ | ৫ | (৩) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯–২০০৮ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ | ২৭ | (১৮) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯–২০১৩ | ব্রাজিল | ৯৭ | (৩৩) | |||||||||||||||||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| ||||||||||||||||||||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
তিনি বেশিরভাগ সময় আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন। তিনি তার ক্যারিয়ারে ইউরোপীয় ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই, বার্সেলোনা এবং মিলানে খেললেও তিনি মূলত ব্রাজিলের জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি প্রায়ই তার সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হন। রোনালদিনহো দুইটি ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার এবং একটি ব্যালন ডি অর পুরস্কার লাভ করেন।
প্রারম্ভিক ও ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনারোনালদিনহো ডি অ্যাসিস মোরেরা ২১ মার্চ, ১৯৮০ সালে ব্রাজিলের রিও গ্র্যান্ডে দো সুল রাজ্যের রাজধানী পোর্তো আলেগ্রে শহরে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার মা, মিগুয়েলিনা এলোই অ্যাসিস ডস সান্তোস,[৩] একজন বিক্রেতা যিনি নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। [৪] তার পিতা, জোয়াও দে অ্যাসিস মোরেরা ছিলেন একজন শিপইয়ার্ড কর্মী এবং স্থানীয় ক্লাব করুজেইরো এর একজন ফুটবলার। [৫] রোনালদিনহোর বড় ভাই রবার্তো দে অ্যাসিস মোরেরা গ্রেমিও ফুট-বল পোর্টো অ্যালেগ্রেন্স এর সাথে স্বাক্ষর করার পর তাদের পরিবারটি আরও ধনী শহর গুরুজা, রিও গ্র্যান্ডে দো সুল (যা পোর্তো আলেগ্রের বিভাগীয় শহর) এলাকার একটি বাড়িতে চলে আসে । যেটি রবার্তোকে ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাকে থাকার জন্য উপহার দিয়েছিলো। তবুও, রবার্তোর ক্যারিয়ার শেষ পর্যন্ত ইনজুরির কারণে কেটে যায়। এটি তাদের নতুন বাড়ি ছিল যেখানে তার বাবা তার মাথায় আঘাত করেছিলেন এবং রোনালদিনহো যেখানে আট বছর বয়সে সুইমিং পুলে ডুবে গিয়েছিলেন।
আট বছর বয়সে রোনালদিনহোর ফুটবল দক্ষতা ফুটে উঠতে শুরু করে, এবং তাকে প্রথমে ডাকনাম দেওয়া হয় রোনালদিনহো - ইনহো যার অর্থ ছোট - কারণ তিনি প্রায়শই যুব ক্লাবের ম্যাচগুলিতে সর্বকনিষ্ঠ এবং সবচেয়ে ছোট খেলোয়াড় ছিলেন। [৬] তিনি ফুটসাল এবং সৈকতে ফুটবল খেলার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন, যা পরে বড় ফুটবল দলে তাকে স্থান পাইয়ে দিতে সহায়ক হয়।[৭] মিডিয়ায় তিনি প্রথমবার নজরে আসেন যখন তিনি ১৩ বছর বয়সে একটি স্থানীয় দলের বিরুদ্ধে ২৩-০ জয়ে একাই ২৩টি গোল করেছিলেন।[৮] রোনালদিনহোকে মিশর ১৯৯৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ এ একজন উঠতি তারকা হিসেবে চিহ্নিত করে, যেখানে তিনি পেনাল্টি কিকে দুটি গোল করেছিলেন।[৯][১০]
বড় হয়ে তিনি ফিফা বিশ্বকাপ জয়ী রিভেলিনো ( ১৯৭০), দিয়াগো ম্যারাডোনা ( ১৯৮৬), রোমারিও ( ১৯৯৪), এবং তার দুজন ভবিষত বিশ্বকাপ জয়ী সতীর্থ খেলোয়াড় রোনালদোএবং রিভালদো যারা ২০০২ বিশ্বকাপে ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপে খেলেছিলো তাদের অনুসরণ করেন এবং সে বছর ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতেছিলো.[১১] রোনালদিনহোর জোও মেন্ডেস জোয়াও নামে একজন পুত্র সন্তান রয়েছে যার নাম তার স্বর্গীয় পিতার নামে নামকরণ করা এবং তার পুত্র একজন ফুটবল খেলোয়াড় । রোনালদিনহো ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০০৫ সালে ব্রাজিলিয়ান নৃত্যশিল্পী জনাইনা মেন্ডেস এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন । [১২] ২০০৭ সালে তিনি স্পেন এর নাগরিকত্ব লাভ করেন । [১৩] ২০১৮ সালে তিনি ব্রাজিল রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ দেন যে দলের সাথে ইউনিভার্সাল চার্চ অফ দ্য কিংডম অফ গড এর সংযোগ ছিলো । [১৪] ২০১৮ সালের ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রোনালদিনহো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জাইর বলসোনারো কে সমর্থন করেন এবং যিনি বর্তমানের ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত আছেন .[১৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Ronaldinho"। goal.com। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Ronaldinho"। FC Barcelona (স্পেনীয় ভাষায়)। ২৪ এপ্রিল ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Soutar, Jethro (২০০৬)। Ronaldinho: Football's Flamboyant Maestro। Robson Books। আইএসবিএন 978-1-86105-978-9।
- ↑ "Ronaldinho"। Biography (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২০।
- ↑ "Dieci cose su Ronnie Da Little Italy in poi"। Gazzetta dello Sport। ১৮ জুলাই ২০০৮। ১৩ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০।
- ↑ Wahl, Grant (১ জুন ২০০৬)। "One-on-one with Ronaldinho"। Sports Illustrated। ১৬ জুন ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০০৬।
- ↑ Futsalfeed.com (14 March 2020). "Top 10 Footballers Who Played Futsal! ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ জুন ২০২০ তারিখে", "futsalfeed.com". Retrieved 14 March 2020.
- ↑ Mitten, Andy (জানুয়ারি ২০০৬)। "The Master"। FourFourTwo। পৃষ্ঠা 72–74। ১ জুলাই ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Egypt 1997: Brazil restore some pride"। FIFA। ৪ জুলাই ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০০৬।
- ↑ "Egypt 1997 goalscorers"। FIFA। ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০০৬।
- ↑ "Ronaldinho: I was about to join Manchester United; how I lobbed David Seaman; I was good for Messi"। FourFourTwo। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Ronaldinho Gaúcho fala sobre seu filho pela primeira vez"। UOL Esporte। ২৪ আগস্ট ২০০৫। ১৬ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০০৬।
- ↑ Ronaldinho Becoming the Face of Soccer ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে, Jack Bell, The New York Times. 26 March 2007. Retrieved 26 March 2007.
- ↑ "Brazil World Cup winner Ronaldinho joins evangelical conservative party" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ জুন ২০১৮ তারিখে. The Guardian. Retrieved 15 September 2018.
- ↑ "Ronaldinho endorses far-right Brazil presidential candidate" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে. Daily Herald. Retrieved 7 October 2018.
পূর্বসূরী আন্দ্রেই শেভচেঙ্কো |
ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার ২০০৫ |
উত্তরসূরী ফাবিও কান্নাভারো |
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |