রুখসানা আহমদ
রুখসানা আহমদ (জন্ম ১৯৪৮) হলেন একজন পাকিস্তানি ঔপন্যাসিক, ছোট গল্প, কবিতা, নাটক এবং অনুবাদক। তিনি বিয়ের পরে আরো পড়াশুনার জন্য ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান এবং লেখালেখিকে তার পেশা হিসাবে অর্জন করেন। তিনি এশীয় লেখকদের, বিশেষত নারীদের জন্য তিনি লেখালেখি করেছেন।[১][২]
রুখসানা আহমদ | |
|---|---|
| জন্ম | ১৯৪৮ |
| জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
| পরিচিতির কারণ | উপন্যাস, নাটক এবং কবিতা |
| ওয়েবসাইট | rukhsanaahmad.com |
জীবনী
সম্পাদনারুখসানা আহমদ ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের করাচীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছিলেন। তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং করাচিতে কলেজের পড়াশোনা করাচী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য ও ভাষাতত্ত্ব বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[১][২] তারপরে তিনি করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য বিষয়ে যোগ করেন এবং বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত ইংরেজি সাহিত্যের পাঠদান চালিয়ে যান।[৩] তার বিয়ের পরে তিনি ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। এবং সেখানে তিনি রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে শুরু করেন এবং সেখান থেকে কলা ডিগ্রি অর্জন করেন। [১]
তার পরিবারের সাথে তিনি লন্ডনে যান। সেখানে আহমদ বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি সেখানে একজন নাট্যকার এবং সাংবাদিক হিসাবে একটি ফ্রিল্যান্স পেশাজীবন শুরু করেন। তিনি উর্দু থেকে ইংরেজিতে বিভিন্ন কবিতা ও উপন্যাস অনুবাদ করা শুরু করেন। [১] আহমদের প্রথম উপন্যাসটি ছিল হোপ চিট (১৯৯৬) । এটি একটি যুবতীকে দুইভাবে "বিভিন্ন বিশ্বব্যাপী" উত্থাপিত করে তুলেছে।[২]
তিনি একজন জনপ্রিয় নাট্যকার হিসাবে অসংখ্য নাটক লিখেছেন। তেমনি তিনি ধর্মস্থানের জন্য বিভিন্ন গান লিখেছেন। গানগুলো রেডিও এবং মঞ্চে গেয়ে তিনি তার পেশা জীবন শুরু করেন এবং মাঝে মধ্যে ভুল করেছেন... ভারতের অ্যানি বেসেন্ট (২০০৭)। তিনি বিবিসি রেডিও এর জন্য বিভিন্ন নাটককে অভিযোজিত করেছেন। নাটকগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো জ্যান রেডিসের ওয়াইড সারগাসো সিয়া, ওমেন অ্যাট পয়েন্ট জিরো যার লেখক নওয়াল এল সাদাউই, মিন্ডিগেঠস চিল্ড্রেন যার লেখক সালমান রুশদি এবং ম্যাপস ফর লাস্ট লভারস যার লেখক হলেন নাদিম আসলাম।[১][২] জুন এবং অক্টোবর ১৯৯১ সালে, আহমদের একটি অভয়ারণ্যের জন্য একটি ধর্মস্থানের গান ব্রিটেনের অনেক থিয়েটারে অভিনয় তিনি করেছিলেন।[৩]
আহমদ ১৯৮৪ সালে লন্ডনে এশিয়ান মহিলা লেখকদের একজন সদস্য হন। রিতা উলফের পাশাপাশি তিনি ১৯৯০ সালে লন্ডনের কালী থিয়েটার কোম্পানিটিকে সহযোগিতা করেছিলেন। তিনি কোম্পানিটিকে আট বছর ধরে নেতৃত্ব দেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ান আর্টস অ্যান্ড সাহিত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন যুক্তরাজ্যের ডায়াসপোরা আর্কাইভে সালিদা (এখন সাদা) নামে পরিচিত। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের রানী মেরি কলেজের রয়্যাল সাহিত্য তহবিলের উপদেষ্টা সহকর্মীও হিসাবেও আছেন।[১][২]
পুরস্কার
সম্পাদনাআহমদ জাতিগত সমতা পুরস্কার কমিশনের মতো সুপরিচিত পুরস্কারের জন্য মনোনয়নপত্রসহ বিভিন্ন আকর্ষণ জিতেছেন, লেখক গিল্ড পুরস্কার, সোনি পুরস্কার এবং ২০০২ সুসান স্মিথ ব্ল্যাকবার্ন পুরস্কার জিতেছেন।[১] তিনি কাজ করেছেন ফায়ার রিভারের জন্য ২০০১ সালে। তিনি সুসান স্মিথ ব্ল্যাকবার্ন থিয়েটার পুরস্কারের জন্য দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে জিতেছিলেন। তার করা ওয়াইড সারগাসো সিয়ার জন্য তিনি গ্রেট ব্রিটেন রেডিও অ্যাডাপ্টেশন লেখক রাইটার গিল্ড পুরস্কার পেয়েছেন।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "Rukhsana Ahmad"। The Feminist Press। ৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Rukhsana Ahmad"। Diaspora Writers UK। ৪ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৬।
- ↑ ক খ "2nd Advisory Committee of NPCP in Islamabad - National ..." (পিডিএফ)। NPCP.net। ৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল (pdf) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৬।